বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি যেভাবে শুরু করবেন

বিসিএস পরীক্ষার সবগুলো ধাপের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপটি হচ্ছে বিসিএস লিখিত পরীক্ষা। কারন বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর পরবর্তী ধাপগুলোতে প্রার্থীর মোট নম্বরের সাথে যুক্ত হয়ে বাকী প্রতিযোগীদের সাথে একটি ব্যাবধান তৈরি করে দেয়। আর বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় ভালো করতে চাই একটি গুছানো বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি।

বিগত কয়েকটি বিসিএস এর পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মাত্র ৫০-৬০ শতাংশ প্রার্থীই লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া অনেকটা তীরে এসে তরী ডুবার মতো। একটু গুছিয়ে বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি নিলেই বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় একটি ভালো ফলাফল করা সম্ভব এবং আপনার কাঙ্ক্ষিত ক্যাডার পদ টি পাওয়া সম্ভব।

আশাকরি আজকের ব্লগটি পড়ার পর বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে আপনার মনে আর কোন কনফিউশন থাকবে না। কিভাবে বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করবেন। কিভাবে প্রস্তুতি নিলে সফল হতে পারবেন। কিভাবে একসাথে বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার প্রস্ততি নিবেন সেই সব জানতে পারবেন এই ব্লগে।

বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস ও মানবন্টন (BCS Written Syllabus and Mark Distribution):

বিসিএস সাধারণ ক্যাডার (General Cadre) এবং টেকনিক্যাল ক্যাডার / প্রফেশনাল ক্যাডার এর জন্য প্রার্থীদের মূলত ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। নিম্নে বিসিএস সাধারণ ক্যাডার ও টেকনিক্যাল ক্যাডার / প্রফেশনাল ক্যাডার – এর জন্য লিখিত পরীক্ষার মানবন্টন দেওয়া হল। পাশাপাশি যদি কোন প্রার্থী একই সাথে সাধারণ ক্যাডার এবং টেকনিক্যাল ক্যাডার (Both Cadre) এর জন্য আবেদন করেন সেটির মানবন্টনও দেওয়া হল:

বিসিএস সাধারণ ক্যাডারের জন্য লিখিত পরীক্ষার মানবন্টন
বিষয়পূর্ণমানসময়
বাংলা (০০২)২০০ নম্বর৪ ঘন্টা
ইংরেজি২০০ নম্বর৪ ঘন্টা
বাংলাদেশ বিষয়াবলী২০০ নম্বর৪ ঘন্টা
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী১০০ নম্বর৩ ঘন্টা
গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা(৫০+৫০) = ১০০ নম্বর৩ ঘন্টা
সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি১০০ নম্বর৩ ঘন্টা
সর্বমোট৯০০ নম্বর২১ ঘণ্টা
বিসিএস টেকনিক্যাল / পেশাগত / প্রফেশনাল ক্যাডারের জন্য লিখিত পরীক্ষার মানবন্টন
বিষয়পূর্ণমানসময়
বাংলা (০০১)১০০ নম্বর৩ ঘন্টা
ইংরেজি২০০ নম্বর৪ ঘন্টা
বাংলাদেশ বিষয়াবলী২০০ নম্বর৪ ঘন্টা
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী১০০ নম্বর৩ ঘন্টা
গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা(৫০+৫০) = ১০০ নম্বর৩ ঘন্টা
পেশাগত বিষয়২০০ নম্বর৪ ঘন্টা
সর্বমোট৯০০ নম্বর২১ ঘন্টা
বিসিএস উভয় ক্যাডার (Both Cadre) ক্যাডারের জন্য লিখিত পরীক্ষার মানবন্টন
বিষয়পূর্ণমানসময়
বাংলা (০০১)১০০ নম্বর৩ ঘন্টা
বাংলা (০০২)২০০ নম্বর৪ ঘন্টা
ইংরেজি২০০ নম্বর৪ ঘন্টা
বাংলাদেশ বিষয়াবলী২০০ নম্বর৪ ঘন্টা
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী১০০ নম্বর৩ ঘণ্টা
গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা(৫০+৫০) = ১০০ নম্বর৩ ঘন্টা
পেশাগত বিষয়২০০ নম্বর৪ ঘন্টা
সর্বমোট১১০০ নম্বর২৫ ঘন্টা

বিসিএস লিখিত পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি (BCS Written Subjective Preparation):

বিসিএস বাংলা লিখিত প্রস্তুতি (BCS Bangla Written Preparation):

বিসিএস বাংলা লিখিত পরীক্ষার যথাযথ প্রস্তুতি নিতে আপনাকে অবশ্যই কিছু দিক নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। আপনারা নিশ্চয়ই জেনে গেছেন বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় ক্যাডার চয়েজের উপর ভিত্তি করে বাংলা বিষয় থেকেই বাংলা (০০১) এবং বাংলা (০০২) বিষয়কোড থেকে ২ রকম প্রশ্ন হয়ে থাকে।

বিসিএস বাংলা লিখিত প্রস্তুতি

বিসিএস লিখিত বাংলা ব্যাকরণ প্রস্তুতি:

বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় বাংলা ব্যাকরণ অংশ থেকে পরীক্ষায় মোট ৩০ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। এখানে ৫টি প্রশ্নের উত্তর করতে হয় এবং প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ৬ নম্বর নির্ধারিত থাকে। এই অংশে একেবারে সলিড মার্কস তোলার সুযোগ আছে। যেকোনো পরীক্ষার্থী চাইলেই বাংলা ব্যাকরণ অংশে ২৮/২৯ নম্বর তুলতে পারে।

বিসিএস লিখিত ব্যাংলা ব্যাকরণের গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • শব্দগঠন: শব্দ কী, শব্দের বিভিন্ন শ্রেণিবিভাগ, বিভিন্ন প্রকারে শব্দ গঠনের উপায়, সন্ধি, সমাস, উপসর্গ, অনুসর্গ, বিপরীতার্থক ও সমার্থক শব্দ।
  • বাক্যগঠন: বাক্য কী, বাক্যের শ্রেণিবিভাগ, বাক্যের রূপান্তর, বাক্য প্রকরণ, বাচ্য ও বাচ্যের পরিবর্তন ইত্যাদি।
  • বানান/বানানের নিয়ম: বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম, ণ-ত্ব বিধান ও ষ-ত্ব বিধান ইত্যাদি।
  • বাক্যশুদ্ধি/প্রয়োগ-অপ্রয়োগ: বাক্যশুদ্ধি বা প্রয়োগ অপপ্রয়োগ থেকেই বেশি প্রশ্ন আসে। তবে, শুদ্ধ বানান নিয়ে প্রশ্ন হতে পারে। সাধারণত সকল পরীক্ষাতেই বাক্য শুদ্ধীকরণই আসে। একটি বাক্যের এক বা একাধিক জায়গায় অশুদ্ধ বানান বা অপপ্রয়োগ থাকতে পারে। এক্ষেত্রে প্রয়োগ-অপ্রয়োগ জানতে হবে।
  • বাগ্‌ধারা ও প্রবাদ-প্রবচনের নিহিতার্থ: প্রথম কথা হলো পড়তে হবে অনেক। না বুঝে মুখস্থ করবেন না। প্রবাদ-প্রবচনের একটা ইতিহাস বা স্টোরি থাকে, আপনি সেই ইতিহাস বা স্টোরি যদি জানতে পারেন তবে সহজে মনে থাকবে, পড়েও মজা পাবেন। এক্ষেত্রে দুটি বই দেখেতে পারেন। অর্থ জানার পর আপনি আপনার মতো একটি সুন্দর বাক্য রচনা করুন বা মাথায় সেট করে রাখুন, যাতে পরীক্ষায় চট করে লিখতে পারেন।
বিসিএস লিখিত পরীক্ষার জন্য বাংলা ব্যাকরণ পড়ার কৌশল:
  • লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য উপর্যুক্ত টপিকগুলোর ক্ষেত্রে পূর্বের বিসিএস লিখিত পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন সমাধান করুন। বিগত বিসিএস লিখিত পরীক্ষার বাংলা ব্যাকরণ অংশের প্রশ্নের সমাধান নামে একটা নোট করে ফেলতে পারেন। ব্যাকরণসহ অন্যান্য সকল অংশই খুব সহজে রিভিশন দেওয়া যাবে।
  • বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের নিয়মগুলো বাংলা একাডেমি অভিধান থেকেই সংগ্রহ করে নোট করুন। ব্যাকরণের নিয়মের ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমির উপরে আর কোনো অথরিটি নেই। তাই তাদের প্রণীত নিয়মগুলো সবচেয়ে নির্ভুল। এই অংশ থেকে মোটামুটি সব বিসিএসেই প্রশ্ন থাকে, তাই এই টপিকের ভালো একটি নোট থাকা উচিত। পাশাপাশি নিয়মগুলো প্রতিদিন একবার করে রিভিশন দিলে পরীক্ষায় আর ভুল হবে না। এই নিয়মগুলো প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
বিসিএস লিখিত পরীক্ষার জন্য বাংলা ব্যাকরণ অধ্যয়নের উৎস:
  • মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ বই (২০২১ ও ২০১৯ সংস্করণ)।
  • মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক ব্যাকরণ বই, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
  • বাংলা একাডেমি অভিধান (প্রয়োজন অনুসারে)।
  • Live MCQ বাংলাবিদ ব্যাকরণ
  • ভাষা শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।
  • বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
  • প্রবাদ প্রবচনের উৎসসন্ধান, সমর পাল।
  • পৌরাণিক শব্দের উৎস, ড. মোহাম্মদ আমীন।
  • যেকোনো ভালো গাইড বইয়ের সাহায্য নিতে পারেন; তবে অবশ্যই ক্রসচেক করে নিতে হবে।
Install Live Written App Button

বিসিএস লিখিত ভাব সম্প্রসারণ প্রস্তুতি:

বিসিএস বাংলা লিখিত পরীক্ষায় ১টি ভাব-সম্প্রসারণ উত্তর করতে হবে। এক্ষেত্রে ২টি ভাব-সম্প্রসারণ থেকে ১টি অথবা শুধু ১টি থাকতে পারে সেটিই উত্তর করতে হবে। এই অংশে ২০ নম্বর থাকে।

ভাব সম্প্রসারণ সাজেশন ও পড়ার কৌশল:

ভাব সম্প্রসারণ অংশে ভালো করার জন্য প্রদত্ত বাক্যটির অন্তর্নিহিত ভাব বুঝতে পাড়ার কোনো বিকল্প নেই। এছাড়া ভাব সম্প্রসারণের একটি নির্দিষ্ট ফরমেট রয়েছে, সেটিও অনুসরণ করা জরুরি। প্রদত্ত বাক্যের অন্তর্নিহিত তাৎপর্যের সাথে কোন বিখ্যাত লেখকের উক্তির মিল থাকলে সেগুলো এতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

১। ভালো কয়েকটা বই ঘেঁটে ২৫/৩০টি জনপ্রিয় ভাব-সম্প্রসারণের একটা লিস্ট তৈরি করে নিন এবং সংক্ষিপ্ত আকারে একটা নোট করে রাখুন। আশা করি এগুলো থেকেই পরীক্ষায় কমন চলে আসবে। আমরা নিচে একটা ছোট তালিকা দিয়ে দিবো, আপনারা এর বাইরেও যদি কোনো কিছু গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, তাহলে সেগুলোও পড়ে নিবেন। নোট করার জন্য যে বইয়ের লিস্ট দেওয়া হচ্ছে সেগুলো থেকে সাহায্য নিতে পারেন।

২। মূলভাব, সম্প্রসারিত ভাব, মন্তব্য/উপসংহার – এই ফরমেটে ভাব সম্প্রসারণ লিখতে হয়।

৩। আলাদা নোট করে রাখলে সেগুলো রিভিশন সহজ হবে। তাই নোট করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।

৪। নোট করার জন্য – ভাষা শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ সহ অন্যান্য স্কলারের বইয়ের সাহায্য নিতে পারেন। তাছাড়া ভাব সম্প্রসারণের প্রস্তুতি আরো সমৃদ্ধ করার জন্য স্কলার লেখকদের বইয়ের সাহায্য নিতে পারেন।

৫। আগের পরীক্ষায় আসা ভাব-সম্প্রসারণগুলো পড়ে রাখলে ভালো হয়।

বিসিএস লিখিত পরীক্ষার জন্য ভাব সম্প্রসারণ অধ্যয়নের উৎস:
  • ভাষা শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।
  • প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ ও ড. মোহাম্মদ আমীন।
  • বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ৯ম-১০ম শ্রেণি (২০২৩ সংস্করণ)।
  • ভালো প্রকাশনীর SSC ও HSC পরীক্ষার টেস্ট পেপার।
  • সর্বশেষ সংস্করণের যেকোনো ভালোমানের গাইডবই প্রভৃতি।

বিসিএস লিখিত বাংলা (সারাংশ/সারমর্ম) প্রস্তুতি:

বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় মূল ১টি সারাংশ/সারমর্ম উত্তর করতে হয়। এক্ষেত্রে ১টি সারাংশ অথবা ১টি সারমর্ম থেকে যেকোনো ১টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় অথবা শুধু ১টি থাকতে পারে সেটিই উত্তর করতে হবে। এই অংশে ২০ নম্বর থাকে।

বিসিএস লিখিত প্রস্ততির জন্য সারাংশ/সারমর্ম লেখার গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
  • প্রথমেই আপনাকে নির্ধারিত অংশটি বার বার পড়তে হবে এবং মূল বক্তব্যটি অনুধাবন করতে হবে।
  • মূল অংশে যেসব অপ্রয়োজনীয় উপমা, অলঙ্কার এবং দৃষ্টান্ত রয়েছে সারাংশে সেসকল অংশ বাদ দিয়ে শুধুমাত্র আসল কথাটা লিখতে হবে।
  • একই কথার পুনরাবৃত্তি করা যাবে না। তেমনি প্রয়োজনীয় অংশ বাদ দেয়া যাবে না।
  • সারাংশ খুব বেশি ছোট কিংবা খুব বেশি বড় হবে না। তবে মূল অংশের চেয়ে তা অবশ্যই আকারে অনেক ছোট হবে।
  • বক্তব্যের বর্ণনায় বিশেষণ, ক্রিয়াপদ, অলঙ্কার, উপমা, রূপক ইত্যাদি অবান্তর। বাহুল্য বাদ দিয়ে মূল বিষয়টি সরাসরি লিখতে হবে।
  • মূল বিষয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ কোনো বিষয় সারাংশে অবতারণা করা যাবে না। অনুমান নির্ভর কোনো ব্যাখ্যা বাঞ্ছনীয় নয়।
  • সারমর্ম কিংবা সারাংশ রচনার ভাষা মূলের অনুগামী হওয়া প্রয়োজন। সহজ-সরল মৌলিক ভাষায় বিষয়টি এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে সবার সহজবোধ্য হয়।
  • উদ্ধৃত রচনায় একাধিক বিষয় থাকলে তা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে এবং মূল বিষয়টি থেকে যাতে রচিত অংশটি সরে না আসে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।
  • সারাংশে শব্দ ও বাক্য প্রয়োগে সংযম অবলম্বন করুন। এখানে একাধিক বিশেষণ প্রয়োগ বাঞ্ছনীয় নয়।
  • কোনো সাংকেতিক বিষয় থাকলে তার তত্ত্ব বের করতে হবে। ব্যক্তি বা বস্তু সম্পর্কে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য থাকলে দুই পক্ষের বক্তব্য আলাদাভাবে প্রকাশ করতে হবে।
  • প্রদত্ত অনুচ্ছেদ অথবা কবিতাংশটি বারবার পড়ে মূলভাবটি বোঝার চেষ্টা করতে হবে।
  • উদ্ধৃত অংশের মূলভাবের বাক্য/বাক্যগুলি চিহ্নিত করতে হবে।
  • উপমা, উদাহরণ, উদ্ধৃতি ও রূপক আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে হবে।
  • সারাংশ লিখনের সময় লেখার আয়তনের দিকে লক্ষ রাখুন।
  • মূলভাবটি যথাযথ ও সহজ বাক্যবিন্যাসে লিখতে হবে।
  • উপমা, রূপক উদ্ধৃতসহ সকল বাহুল্য বর্জন করতে হবে।
  • একই কথার যেন বারবার পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • উদ্ধৃতাংশটি কোন কবি বা লেখকের সেটি উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই।
  • প্রথম বাক্যটি হবে সহজ সরল ও মূলভাবের প্রতি নির্দেশক।
  • সারাংশটি লেখা হলে কয়েকবার পড়ে নিশ্চিত হন যে প্রয়োজনীয় কোনো কিছু বাদ যায়নি।

ভাষায় দক্ষতা অর্জনের জন্য অনুশীলন প্রয়োজন। সারাংশ রচনায় ভাষা পড়ে বুঝতে পারা ও সংক্ষিপ্ত করে লেখা এ দুটি বিষয়ের দক্ষতা প্রয়োজন হয়। এ দক্ষতা অর্জন করতে হলে সারাংশ রচনার অনুশীলন করতে হবে।

অধ্যয়নের উৎস:
  • ভাষা শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ,
  • ভালো প্রকাশনীর SSC ও HSC – পরীক্ষার টেস্ট পেপার,
  • সর্বশেষ সংস্করণের যেকোনো ভালোমানের গাইডবই ইত্যাদি।
Install Live Written App Button

বিসিএস লিখিত বাংলা (সাহিত্য) প্রস্তুতি:

বাংলা সাহিত্য থেকে ১০টি প্রশ্ন থাকে ১০টিরই উত্তর করতে হয়, প্রতিটিতে ৩ নম্বর করে থাকে। অথবা ৫টি প্রশ্ন প্রতিটি ৬ নম্বর করে মোট ৩০ নম্বর থাকতে পারে। এখানে যেহেতু কোনো অপশন থাকে না তাই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এই অংশে একেবারে সলিড মার্কস তোলার সুযোগ আছে। সুপরিকল্পিত প্রস্তুতির মাধ্যমে এখানে ২৫+ নম্বর তোলা সম্ভব।

বিসিএস লিখিত বাংলা সাহিত্য অংশের গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:

প্রাচীন যুগ: এই অংশে প্রশ্ন রিপিট হয়। তাই বিগত সালে অনুষ্ঠিত হওয়া বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো ভালোভাবে পড়ে রাখতে হবে। প্রাচীন যুগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য নিদর্শন চর্যাপদ। এক্ষেত্রে প্রাচীন যুগের গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো নিম্নরূপ:

  • চর্যাপদের আবিষ্কার,
  • পদকর্তা,
  • চর্যাপদের ভাষা,
  • চর্যাপদের সাহিত্যিক মূল্য,
  • চর্যাপদে বিধৃত সমাজচিত্র,
  • চর্যাপদে বিধৃত নিম্নবর্গের মানুষের জীবন,
  • চর্যাপদে নারীর অবস্থান।

মধ্যযুগ: মধ্যযুগ থেকেও প্রশ্ন রিপিট হয়। তবে এই যুগের পরিধি একটু বড়। তাই মধ্যযুগের বিগত বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো ভালো করে পড়ে রাখবেন। মধ্যযুগ থেকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো পড়তে হবে:

  • অন্ধকার যুগ ও এর সাহিত্যিক নিদর্শন;
  • শ্রীকৃষ্ণকীর্তন ও বড়ু চন্ডীদাস;
  • সাহিত্যিক ধারা ও সেগুলোর কবি (যেমন- মঙ্গলকাব্য, বৈষ্ণব পদাবলী, অনুবাদ সাহিত্য (রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান), লোকসাহিত্য, গীতিকাসহ অন্যান্য);
  • রামায়ণ ও মহাভারত (রচয়িতা ও অনুবাদক);
  • আরাকান/রোসাঙ্গ রাজসভায় বাঙ্গালি কবি (আলাওল, দৌলত উজির বাহরাম খান প্রমুখ ও তাঁদের সাহিত্যকর্ম);
  • ডাক ও খনার বচন, কবিগান, বাউল পদাবলি, শাক্ত পদাবলি, ব্রজবুলি ইত্যাদি।

আধুনিক যুগ:

  • ১৮০১ থেকে ১৯৪৬ পর্যন্ত সাহিত্যকর্ম।
  • ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বর্তমান পর্যন্ত সাহিত্য।
  • সাহিত্য বিষয়ক পত্রিকা।
  • ১৮০১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত যেসব সাহিত্যিকদের রচনার প্রতি গুরুত্বারোপ করবেন।
বিসিএস বাংলা সাহিত্য অংশ থেকে লেখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
  • এখানে উত্তর খুব বড় করার দরকার নেই, যা চাওয়া হবে তাই লিখুন (To the Point)।
  • যথাসম্ভব সাল, তারিখ উল্লেখ করুন। গল্প-কবিতা বা গ্রন্থের নাম লেখার সময় উদ্ধৃতি (বামপাশে ইংরেজি সিক্সের মতো, আর ডান পাশে ইংরেজি নাইনের মতো করে লিখবেন) দিন।
  • কোনো উদ্ধৃতি লেখার প্রয়োজন হলে নীল কালি দিয়ে লিখুন। অবশ্যই মার্জিন করবেন। লাইনগুলো সোজা রাখবেন।
  • কোনো অবস্থাতেই কাটাকাটি করা যাবে না। মনে রাখবেন, কাটাকাটি হলো ভুলের সাক্ষী। সুতরাং, কাটাকাটি করে নিজের ক্ষতি করবেন না। ভুল লিখলেও (সাল, তারিখ বা কোনো তথ্য ছাড়া) কাটবেন না, বরং যা লিখেছেন তা ভাষার মারপ্যাঁচে ফেলে যথাসম্ভব মিলিয়ে নিবেন।
  • আধুনিক যুগে অপরিচিত বা আনকমন প্রশ্ন আসার যথেষ্ঠ সুযোগ আছে। তাই আধুনিক যুগের প্রতি গুরুত্ব দিবেন।
বিসিএস লিখিত বাংলা সাহিত্য অধ্যয়নের উৎস:
  • বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম।
  • লাল নীল দিপাবলি, হুমায়ুন আজাদ।
  • বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
  • বাংলাদেশের সাহিত্যের সম্পূর্ণ ইতিবৃত্ত, ড. শহীদ ইকবাল।
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সাহিত্য পাঠ।
  • নবম-দশম শ্রেণির সাহিত্য পাঠ।
  • বাংলাপিডিয়া।
  • বাজারের প্রচলিত ভালোমানের যেকোনো গাইড বই।
Install Live Written App Button

বিসিএস লিখিত অনুবাদ (ইংরেজি থেকে বাংলা) প্রস্ততি:

বিসিএস বাংলা লিখিত পরীক্ষায় ১টি অনুবাদ উত্তর করতে হবে। অনুবাদটি থাকবে ইংরেজি থেকে বাংলা। কোনো বিকল্প থাকবে না। এই অংশে ১৫ নম্বর থাকে।

ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ লিখার গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
  • অনুবাদের অংশটুকু একাধিকবার পড়ে অন্তর্নিহিত মূলভাব বুঝে নিতে হবে শুরুতেই।
  • মূল বাক্যে যে ধরণের Tense, Verb, voice থাকে তা অনূদিত অংশেও একই ধরণের Tense, Verb, voice ব্যবহার করতে হয় । ইংরেজি Proper Noun গুলোর অনুবাদ হয়না।
  • বড় বাক্যগুলো সহজে অনুবাদ করার জন্য Break-Translate-Rearrange টেকনিক অনুসরণ করা ভালো। এক্ষেত্রে প্রথমেই বাক্যের Subjet-Predicate বের করে নিলে সুবিধা হয়। পরে সুবিধামতো ভেংগে ভেংগে অনুবাদ করে পুনরায় বাক্যটি সাজিয়ে লিখলে ভুল হবার সম্ভাবনা কমে।
  • ভাষা হবে প্রাঞ্জল, অপ্রচলিত পরিভাষা না লেখাই উত্তম। কোন অংশই বাদ দেয়া যাবেনা, কোন শব্দ অসংখ্যবার রিপিট করা যাবেনা এবং গুরুচন্ডালী দোষ অর্থ্যাৎ সাধু চলিতের সংমিশ্রণ করা চলবে না।
  • বাংলা শব্দের বানান এর ব্যাপারে যত্নশীল হতে হবে।
  • অপ্রচলিত পরিভাষা ব্যবহারের চেয়ে মূল ভাষা ব্যবহার করলে ভালো হয়।
অনুবাদের জন্য অধ্যয়নের উৎস:
  • দেশি ইংরেজি পত্রিকা ও বিদেশী অনলাইন নিউজ পোর্টাল– এর গুরুত্বপূর্ণ নিউজ প্রতিবেদন ও সম্পাদকীয় (ইংরেজি থেকে বাংলা করার অনুশীলন করুন।)
  • Live Written Free Hand Writing Exercise.
  • যেকোনো ভালোমানের গাইডবই।
  • বিগত কয়েক বছরের ব্যাংক ও বিসিএস লিখিত পরীক্ষার অনুবাদ অনুশীলন।
  • উপরোক্ত সোর্স থেকে অনুবাদ নিয়মিত অনুশীলন এর মাধ্যমে ভোকাবুলারি সমৃদ্ধ করতে হবে।

বিসিএস লিখিত বাংলা (কাল্পনিক সংলাপ) প্রস্ততি:

বিসিএস লিখিত পরীক্ষার বাংলা অংশে ১টি কাল্পনিক সংলাপ উত্তর করতে হবে। কোনো বিকল্প থাকবে না। এই অংশে ১৫ নম্বর থাকে।

সংলাপের বৈশিষ্ট্য:
  • সংলাপে একটি বিষয় থাকবে। কোনো সংলাপ রচনা করতে গেলে একটি বিষয় ঠিক করে নিয়ে মনের মধ্যে তা গুছিয়ে নিতে হবে ভালোভাবে।
  • সংলাপ খুব দীর্ঘ বা অতি সংক্ষিপ্ত হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।
  • সংলাপের ভাষা সর্বদা সহজ সরল প্রাঞ্জল ও সুস্পষ্ট হওয়া উচিত।
  • সংলাপ যেন গুরুগম্ভীর ও বক্তৃতাধর্মী না হয়।
  • ইতিবাচক বক্তব্যের মাধ্যমে সংলাপ শেষ হওয়া ভালো।
অধ্যয়নের উৎস:
  • ভাষা শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।
  • ভালো প্রকাশনীর SSC ও HSC – পরীক্ষার টেস্ট পেপার।
  • সর্বশেষ সংস্করণের যেকোনো ভালোমানের গাইডবই ইত্যাদি।

বিসিএস লিখিত বাংলা (পত্র লিখন) প্রস্ততি:

বিসিএস লিখিত সাধারণত মূল পরীক্ষায় সংবাদপত্রে খবর প্রকাশের জন্য সম্পাদক বরাবর পত্র এবং বন্ধু বা আত্মীয়-স্বজনের নিকট ব্যক্তিগত পত্র প্রভৃতি থেকে ১টির প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। এই অংশে নম্বর থাকে ১৫।

বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় (পত্র লিখন) এর গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:

  • বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা বা জন-গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য সম্পাদকের নিকট পত্র।
  • জীবনের মূল্যবোধ বা ব্যক্তিগত কোনো অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে বন্ধু, বাবা-মা বা ছোট ভাই-বোন অথবা কোনো আত্মীয় স্বজনকে ব্যক্তিগত পত্র।
বিসিএস পত্র লিখন অংশে ভালো করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস:
  • পত্র লেখার সময় অবশ্যই পত্রের ফরমেট অনুসরণ করতে হবে। পত্রের ৬টি অংশের সবগুলোই যাতে পরীক্ষার উত্তরপত্রে লেখার সময় থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে।
  • সবচেয়ে ভালো হয়, ২/৩টা করে ব্যক্তিগত পত্র, অফিসিয়াল পত্র, সংবাদপত্রের সম্পাদকের কাছে লিখিত পত্র ইত্যাদি নোট করে রাখলে এবং ২/১ দিন পর পর সেগুলো চোখ বুলালে ফরমেটিং ভাল করে মনে থাকবে এবং কোনো অংশ মিস হবে না। তাছাড়া সপ্তাহে অন্তত একদিন লিখে অনুশীলন করা যেতে পারে। ফরম্যাটিং নোট করার জন্য ভাষা শিক্ষা বইটির সাহায্য নিতে পারেন।
  • পত্র লেখার ক্ষেত্রে সম্বোধন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পত্রের প্রাপকের উপর নির্ভর করে কি ধরনের সম্বোধন হবে। পত্রের ক্ষেত্রে কি ধরনের সম্বোধন ব্যবহার করা যাবে, সেগুলো বাংলা একাডেমি অভিধান ঘেঁটে সেগুলো নোট করে রাখলে পরবর্তীতে সুবিধা পাওয়া যাবে।
অধ্যয়নের উৎস:
  • ভাষা শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ,
  • ভালো প্রকাশনীর SSC ও HSC – পরীক্ষার টেস্ট পেপার।
  • সর্বশেষ সংস্করণের যেকোনো ভালোমানের গাইডবই ইত্যাদি।
Install Live Written App Button

বিসিএস লিখিত বাংলা (গ্রন্থ সমালোচনা) প্রস্ততি:

বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় ১টি গ্রন্থ সমালোচনা উত্তর করতে হবে। কোনো বিকল্প থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। এই অংশে ১৫ নম্বর থাকে।

গ্রন্থ সমালোচনা লেখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
  • প্রথম কাজ: লেখকের নাম (জন্ম-মৃত্যু সাল ব্রাকেটে লিখে দিবেন) শুদ্ধ করে লিখতে হবে। যেমন: আবুল মনসুর আহমদ (১৮৯৮-১৯৭৯)।
  • দ্বিতীয় কাজ: গ্রন্থ সমালোচনায় দ্বিতীয় কাজ হলো গ্রন্থের নাম উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রেখে ব্যাকেটে গ্রন্থের প্রকাশ সাল লেখা।
  • তৃতীয় কাজ: বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যা কত, প্রকাশনীর নাম কী, বইটির প্রচ্ছদ শিল্পী কে, উৎসর্গ কাকে করা হয়েছে, বইটির দাম কত ইত্যাদি উল্লেখ করা যেতে পারে।
  • চতুর্থ কাজ: বইটির বিষয় বিশ্লেষণ করতে হবে। এক্ষেত্রে সমজাতীয় এক বা একাধিক বইয়ের (বিখ্যাত দেশি বা বিদেশি বই) সঙ্গে তুলনা করতে হবে।
  • পঞ্চম কাজ: বইটির সাহিত্যিক মূল্য কেমন তা উল্লেখ করতে হবে। বইটির শব্দ, বাক্য, ভাষা কেমন তা উল্লেখ করতে হবে।
  • যষ্ঠ কাজ: খুব কোমল ভাষায় বইটির অপূর্ণতা বা গ্যাপ বা দুর্বলতা (যদি থাকে) উল্লেখ করতে হবে।

সপ্তম কাজ: সব মিলিয়ে বইটি যে একটা অসাধারণ সৃষ্টি তা বলবেন। বইটি যে টিকে থাকবে এবং বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশিদের মেধা, মনন, মূল্যবোধ, ইতিহাস ও ঐতিহ্য চেতনায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে তা বলে শেষ করবেন।

Install Live Written App Button

বিসিএস লিখিত বাংলা (প্রবন্ধ রচনা) প্রস্ততি:

বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় ১টি বাংলা রচনা উত্তর করতে হয়। বিকল্প অপশন থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। রচনার নম্বর হচ্ছে ৪০।

প্রবন্ধ রচনায় ভালো করার জন্য কিছু টিপস:
  • প্রবন্ধ লেখার সময় রচনার ভাষা, উদ্ধৃতি, তথ্য উপস্থাপন, রচনার দৈর্ঘ্য ইত্যাদি খেয়াল রাখতে হবে।
  • যে বিষয়ের ওপর প্রবন্ধ লিখবেন সে বিষয়-সংশিষ্ট বিভিন্ন তথ্য ও উপকরণ আগেই ঠিক করে রাখবেন।
  • যে বিষয়ে প্রবন্ধ লিখবেন সেই বিষয়ের ওপর নানা দিক থেকে আলোকপাত করবেন। অর্থাৎ যত দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টিকে দেখা যায় ততগুলো উপশিরোনাম বা অনুচ্ছেদ ঠিক করতে হবে।
  • উপশিরোনামগুলো বা অনুচ্ছেদগুলোর মধ্যে একটি ঐক্য থাকতে হবে।
  • একই কথার যেন বারবার পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • প্রবন্ধের এক অংশের সঙ্গে অন্য অংশের সম্পর্ক হবে জৈবিক। গঠনগত ঐক্য প্রবন্ধের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
  • প্রবন্ধের মধ্যে প্রাবন্ধিকের চিন্তার স্বচ্ছতা থাকা অত্যন্ত জরুরি।
  • প্রবন্ধের মধ্যে প্রাবন্ধিকের বক্তব্য যথাযথভাবে বিন্যাস করতে হবে।
বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে ভালো করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস:
  • বিসিএস বাংলা (০০১) বিষয়ে মোট ১০০ নম্বর থাকে এবং পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য সময় থাকে ৩ ঘন্টা। এখানে প্রতি ১ নম্বরের মাত্র ১.৮ মিনিট। অর্থাৎ একটি ২০ নম্বরের প্রশ্নের জন্য আপনি মাত্র ৩৬ মিনিট সময় পাবেন।
  • বিসিএস বাংলা (০০২) বিষয়ে মোট ২০০ নম্বর থাকে এবং পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য সময় থাকে ৪ ঘন্টা। এখানে প্রতি ১ নম্বরের মাত্র ১.২ মিনিট সময় পাবেন যা খুবই নগণ্য। অর্থাৎ একটি ২০ নম্বরের প্রশ্নের জন্য আপনি মাত্র ২৪ মিনিট সময় এবং একটি ১৫ নম্বরের প্রশ্নের জন্য আপনি মাত্র ১৮ মিনিট সময় পাবেন। তাই সম্পূর্ণ উত্তর করার জন্য টাইম ম্যানেজমেন্ট খুবই গুরত্বপূর্ণ। আগে থেকেই মডেল টেস্ট দেওয়ার মাধ্যমে টাইম ম্যানেজমেন্ট রপ্ত করতে হবে।
  • বাংলা পরীক্ষার মূল চ্যালেঞ্জ হবে এই স্বল্প সময়ে সম্পূর্ণ নম্বরের উত্তর করে আসতে পারাটা। আর এই পরীক্ষায় প্রচুর লিখতে হয়। তাই বাসায় সবসময় দ্রুত হাতের লেখার অভ্যাস করতে হবে। আবার দ্রুত লিখতে গিয়ে হাতের লেখা যাতে অস্পষ্ট এবং দুর্বোধ্য না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বানানের প্রতি বিশেষ নজর দিবেন।
  • প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় দেওয়ার চেষ্টা করবেন। অযথা উত্তর বড় করার দরকার নেই। একদম ‘To the point’ এ উত্তর করতে চেষ্টা করবেন। অতিরিক্ত বড় লিখতে গিয়ে পরে সম্পূর্ণ উত্তর করে আসতে পারবেন না। যত বেশি অভ্যাস করবেন, পরীক্ষায় ভালো লেখার চান্স ততো বেশি বেড়ে যাবে।
  • অবশ্যই সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আসার চেষ্টা করবেন। আপনার হাতের লেখার সাইজ এবং স্পিডের উপর নির্ভর করে একটি ১৫ বা ২০ নম্বরের প্রশ্নের জন্য কতটুকু লিখবেন তা আগে থেকেই নির্ধারন করে যাবেন। সমান নম্বরের প্রশ্নগুলো সমান সংখ্যক পৃষ্ঠায় লেখার চেষ্টা করবেন।
  • প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর তিনটা অংশে লিখার চেষ্টা করবেন। ভূমিকা, মূল বিষয় এবং উপসংহার এই তিনটি প্রধান অংশে ভাগ করে মূল অংশকে সাব-অংশে ভাগ করবেন।
  • উক্তি, পয়েন্ট, রেফারেন্স বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নীল কালিতে লিখার চেষ্টা করবেন। এতে পরীক্ষকের চোখ এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো এড়াবে না।
যাদের হাতের লেখা সুন্দর না তাদের জন্য করণীয়:
অনেকের হাতের লেখা সুন্দর না বা কারো লেখার স্টাইল ভালো না। এজন্য মূল পরীক্ষায় নম্বরে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আপনারা চাইলে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। কৌশলগুলো নিম্নরূপ-
  • প্রতিটি লাইনের পর ১ আঙুল পরিমাণ ফাঁকা জায়গা রেখে পরের লাইন টি লিখুন।
  • দুইটি শব্দের মধ্যে ১ আঙুল ফাঁক রাখবেন।
  • মার্জিন থেকে একটু ফাঁক জায়গা রেখে লিখা শুরু করুন।
  • পৃষ্ঠার একেবারে নিচে ২ আঙুল জায়গা খালি রাখবেন। ওই জায়গায় কোন কিছু লিখবেন না।
  • চেষ্টা করবেন যাতে কাটাকাটি কম হয়।
Install Live Written App Button

বিসিএস ইংরেজি লিখিত প্রস্তুতি (BCS English Written Preparation):

বিসিএস ইংরেজি লিখিত পরীক্ষার যথাযথ প্রস্তুতি নিতে আপনাকে অবশ্যই কিছু দিক নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। ইতোমধ্যে আপনারা নিশ্চই জেনে গেছেন বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষাটি সাধারণ ক্যাডার, প্রফেশনাল ক্যাডার / টেকনিক্যাল ক্যাডার এবং উভয় ক্যাডার সকলের জন্যই প্রযোজ্য।

বিসিএস ইংরেজি বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষার সাবজেক্ট কোড (০০৩) এবং পূর্ণমান ২০০ নম্বর। এই পরীক্ষার জন্য সর্বমোট ৪ ঘন্টা সময় বরাদ্দ থাকে।

বিসিএস ইংরেজি লিখিত প্রস্তুতি
বিসিএস লিখিত ইংরেজি Unseen Passage – Thematic Questions অংশের প্রস্তুতি

এই অংশে একটি Unseen Passage দেয়া থাকবে। এ অংশে ভালো করার জন্য অনুশীলনের কোন বিকল্প নেই। এই অংশ দ্বারা মূলত একজন পরীক্ষার্থীর Understanding ক্ষমতা পরীক্ষা করা হয় । তাই Unseen Passage টি বুঝে তা থেকে উত্তর দিতে হবে । এখান থেকে মূলত ১০ অথবা ৬টি টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এগুলোর সর্বমোট মান হবে ৩০। অর্থাৎ প্রত্যেকটি প্রশ্নের জন্য ৩ বা ৫ মার্কস বরাদ্দ থাকবে।

Unseen Passage টি মোটামোটি বড় আকারের হয়ে থাকে। এটি সাধারণত কোন পত্রিকার কলাম বা কোন ম্যাগাজিনের আর্টিকেল হয়ে থাকে। নির্দিষ্ট কোন টপিক নিয়ে এটি হয় না। তাই নির্দিষ্ট কোন বই পড়লে কমন আসবে এমন কোন সুযোগ নেই। তবে কিছু কৌশল অনুসরণ করে একজন পরীক্ষার্থী তার English Language Understanding ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এখান থেকে Effectively উত্তর দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে পূর্ববর্তী পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন বিশ্লেষণের করে প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে একটা ধারনা পাওয়া যায়।

Unseen Passage – Thematic Question লেখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
  • প্রথমেই সময় পরিকল্পনা। এটা লিখিত পরীক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। অনেকেই Unseen Passage এর প্রশ্নের উত্তরে বেশি সময় দিতে গিয়ে পরে অন্যান্য প্রশ্নগুলো যথাযথভাবে উত্তর দিতে পারেন না। তাই আগেই ঠিক করে রাখতে হবে এই অংশে সর্বোচ্চ কত সময় ব্যায় করা যাবে।

  • এবার Passage টি যেহেতু ভালোভাবে বুঝা অত্যন্ত জরুরী তাই উত্তর লেখা শুরু করার আগে এটি একাধিকবার পরে ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আগে প্রশ্নগুলো পড়ে নিলে টার্গেট সেট করে নেয়া যায় যে ঠিক কি ধরণের ইনফরমেশন আপনাকে Passage থেকে বের করতে হবে। তাই শুরুতেই প্রশ্ন পড়ে নিয়ে প্রশ্নের গুরুত্বপূর্ণ Keyword মার্ক করে নিতে হবে। এবার একটা একটা প্রশ্নের একটা একটা Keyword ধরে প্যাসেজে ওই কি ওয়ার্ড টি চিহ্নিত করতে পারলে সহজেই উত্তর দেয়া যাবে।
  • Passage থেকে উত্তর দেয়ার সময় কোন বাক্য কপি করা যাবেনা, Sentence এর structure/ formation পরিবর্তন করে বা synonym/antonym ব্যবহার করে বা Sentence কে paraphrase করে উত্তর করা যেতে পারে।
  • Grammar এবং বানান (Spelling) এ কোনভাবেই ভুল করা যাবেনা। এক্ষেত্রে Complex এবং Compound Sentence ব্যবহার করলে নিঃসন্দেহে উত্তরের গুণগত মান অনেক বেড়ে যায়। তবে যদি ভুল হবার সম্ভাবনা থাকে বা Complex এবং Compound Sentence ব্যবহারে যথাযথ পারদর্শীতা না থাকে, তবে Simple Sentence ব্যবহারই শ্রেয়।
  • যেহেতু ৩/৫ মার্কের প্রশ্ন তাই কমপক্ষে ৩/৫টি বাক্য লেখা উচিত প্রতি উত্তরে। তবে কোন তথ্য যাতে বারবার রিপিট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বা কোন তথ্য যাতে একেবারেই প্রশ্নের সাথে unrelated না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • Passage এর বাইরের কোন বিষয়ের সাথে এর অভ্যন্তরীণ কোন কিছু না মিলানোই ভালো।
  • গত কয়েক বছরের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় Passage এর Title নিয়ে একটি প্রশ্ন থাকে। সচরাচর Passage এর শুরু এবং শেষের দিক analysis করলে এই প্রশ্নের উত্তর সহজেই পাওয়া যায়।

Formal language ব্যাবহার করতে হবে। Passive Voice & Modal Auxiliary এর ব্যবহারে ভাষাটা Formal করে তুলতে হবে। Contraction/Slang ব্যবহার করা যাবেনা।

অধ্যয়নের উৎস:
  • দেশি ইংরেজি পত্রিকা ও বিদেশী অনলাইন নিউজ পোর্টাল– এর গুরুত্বপূর্ণ নিউজ প্রতিবেদন ও সম্পাদকীয়।
  • ভালোমানের যেকোনো গ্রামার বই।
  • Live MCQ English Wizard Grammar – By Saleh Ahmed.
  • সর্বশেষ সংস্করণের ভালোমানের যেকোনো গাইড বই।
  • এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি – টেস্ট পেপার থেকেও পড়তে পারেন।
  • গত কয়েক বছরের বিসিএস ইংরেজি লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন।

এছাড়াও আরো অধিক অনুশীলনের জন্য Cambridge IELTS Reading (8 – 16) এর Passage গুলো পড়ে দেখা যেতে পারে।

Install Live Written App Button

(A) বিসিএস লিখিত ইংরেজি Summary of the given passage অংশের প্রস্তুতি

বিসিএস ইংরেজি লিখিত পরীক্ষার Summary of the given passage অংশের জন্য ২০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। সাধারণত একটি Unseen Passage থেকে যুক্তি, দৃষ্টান্ত, উপমা ও অলঙ্কার বাদ দিয়ে সহজ-সরল ভাষায় বিষয়টি সংক্ষিপ্তভাবে লেখার নামই Summary Writing। এই অংশে Given Unseen Passage টির উপর Summary লিখতে হবে।

Summary Writing এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
  • প্রথমেই Given passage-টি বারবার পড়ে ভালো করে পড়ে মর্মার্থ বা গুরুত্ব বুঝতে হবে। এক্ষেত্রে Skimming and Scanning Techniques এর মাধ্যমে Passage এর মূল কথাটুকু ধরার চেষ্টা করতে হবে। বোঝার সুবিধার্থে পুরোটা একবারে বুঝার চেষ্টা না করে প্যারা প্যারা করে বিভক্ত করে প্রত্যেক প্যারার Topic Sentence Catch করার চেষ্টা করতে হবে।
  • Passage-টি পড়ার সময় যেসব বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করবে সেটা মার্ক করে রাখুন। Passage থেকে মূল শব্দ (Keyword) গুলো খুঁজে বের করতে হবে ও Underline করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় শব্দগুলো বাদ দিতে হবে। খসড়া পত্র (Rough Draft) বানিয়ে মূল Point-গুলো Note Down করতে হবে যাতে প্রয়োজনীয় Point-গুলো বাদ না যায়।
  • বুঝার জন্য Transition words, যেমন- However, therefore, and, thus etc এই জাতীয় শব্দগুলোর দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। তাহলে লেখকের Logic flow কোনদিকে যাচ্ছে ধরাটা সহজ হবে।
  • Passage থেকে Major and Minor Details আলাদা করে ফেলুন এবং লেখার সময় Minor Details avoid করুন।
  • লেখার সময় একাধিক Simple Sentence কে Participle, Gerund or Noun in Apposition ব্যবহার করে একটি Simple Sentence এ রুপান্তর করতে হয়। আবার দীর্ঘ Complex বা Compound Sentence কে Simple Sentence এ রুপান্তর করতে হয়। তাই Grammar এর Transformation of Sentences এর নিয়মাবলী ভালো করে জানা প্রয়োজন।
  • একাধিক বাক্য না লিখে Clause & Phrase, Reduction System, Apposition, Participle ব্যবহার করতে হবে৷ যত পারা যায় দীর্ঘ বাক্যকে ছোট ও তথ্যবহুল করতে হবে। লেখার সময় শব্দসমূহকে ‘এক কথায় প্রকাশ’ করলে ভালো হবে। যেমন- Use the word ‘Extravagant’ instead of ‘A person who spends too much’.
  • Summary লেখার অন্যতম গুরত্বপূর্ণ বিষয় – ‘Punctuation’ ও ‘Conjunction’ এর সঠিক ব্যবহার করা৷ কারণ অনেকগুলো তথ্য এড করার জন্য Comma, Colon, Semicolon, Dash, Hyphen ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে৷
  • Summary হতে হবে Connected whole and complete. আলাদা প্যারা ব্যাবহার না করাই উত্তম। উত্তর লেখার সময় নিজের সুবিধার জন্য Title, Body, Conclusion আকারে ভাঙতে হবে। Final Answer লেখার সময় একটা Paragraph এ লিখতে হবে।
  • Pasaage এর Order Follow না করলেও হয়। তবে কোন গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাদ দেয়া যাবে না। অবশ্যই Grammar or spelling এ ভুল করা যাবে না।
  • Summary সহজ ভাষায় লেখা উত্তম। তাই প্রাঞ্জলতার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে না বলে মূল Gist টুকু তুলে ধরাই Summary এর কাজ। কোন প্রকার উদাহারণ, ঘুরিয়ে লেখা, অতিরিক্ত শব্দ, পুনরাবৃত্তি, ব্যাখ্যা, কথোপকথন, অলংকারবহুল ভাষা ইত্যাদি ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না। লেখা হতে হবে অবশ্যই ‘স্পষ্ট, সহজ ও সংক্ষিপ্ত’ ভাষায়।
  • Passage এর কোনো লাইন হুবুহু লেখা যাবে না। Use synonymous words or phrase to avoid copying.
  • First Person এর ব্যবহার করা যাবে না। সবসময় Third Person এর ব্যবহার করতে হবে। সবসময় পরোক্ষ উক্তিতে লিখতে হবে (Indirect Speech)।
  • কোনোপ্রকার Quotations (উদ্ধৃতি), Comparisons (তুলনা), Exclamations (বিস্ময়বোধ), Analogies (উপমা) ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • Summary এর আকার বেশী বড় হবে না। সেরকম কোনও বাধ্যবাধকতা না থাকলেও, মূল Passage এর এক তৃতীয়াংশ শব্দ ব্যবহার করলে ভালো হয়। সাধারণত ১০০ শব্দে লেখার ইন্সট্রাকশন থাকে, ৪-৫ শব্দ এদিক সেদিক হতে পারে। তবে এর বেশী যাতে না হয়। ১০০ শব্দ হলো কিনা সেটা আসলে পরীক্ষার হলে গুণে গুণে লেখা মুশকিল, তাই বাসাতেই আগে প্র‍্যাক্টিস করার সময় খেয়াল করুন আপনার হাতের লেখায় একশো শব্দ আসলে একটা পৃষ্টার কতোটুকু পূর্ণ করে। তাহলে পরীক্ষার হলে ১০০ শব্দের জন্য কতটুকু জায়গা লাগে আপনার এ ব্যাপারে আইডিয়া থাকবে।
  • কোনভাবেই নিজের ইমোশন, নিজের কোন মত Summary তে লেখা যাবেনা। Stay in the passage. কেবলমাত্র Passage এ যা আছে তা তুলে ধরতে হবে। Passage-টির Original theme এর বাইরে নিজে থেকে কিছু সংযোজন (add) করা যাবে না।
Summary Writing ভালো করার জন্য যে বিষয় গুলো চর্চা করতেই হবে:
  • Tense, Sentence structure, Right form of Verbs, Connectors, Transformation of Sentences, Punctuation.
  • Skimming & Scanning.
Summary Writing এর জন্য অধ্যয়নের উৎস:
  • ইংরেজি পত্রিকা/ইংরেজি অনলাইন নিউজ পোর্টাল।
  • সর্বশেষ সংস্করণের ভালোমানের যেকোনো গাইডবই।
  • বিগত বছরের ব্যাংক/বিসিএস লিখিত পরীক্ষার Summary অংশ।
Install Live Written App Button

(B) বিসিএস ইংরেজি লিখিত Write letter to the Editor প্রস্তুতি

বিসিএস ইংরেজি লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় অংশে Letter to Editor থাকবে, যার জন্য ২০ নম্বর বরাদ্দ। Formal Letter writing এর ক্ষেত্রে আসলে Rules ই আসল কথা। সমস্যা হলো, এ ধরণের লেটারের কোন ফিক্সড ফরম্যাট খোঁজে পাওয়া বেশ মুশকিল৷ NCTB প্রণীত 9-10 এর Grammar বইয়ের Format টা ব্যবহার করা সেইফ। তবে বইটিতে Partial উত্তর দেয়া আছে -সেখানে Letter to the editor (যেখানে পাবলিশ করার পারমিশন চাওয়া হয়) আছে, তবে সংযুক্ত feature/Report/ যেটা পাবলিশ হবে পত্রিকায় সেটা নেই। আমাদের দুই অংশই লাগবে BCS এর জন্য।

বিসিএস এর জন্য Letter to Editor লেখার কৌশল:
  • প্রথমেই হেডিং ও প্রেরকের ঠিকানা থাকবে। অনেকেই সাবজেক্ট না দিলেও চলে বলে থাকেন, তবে দেওয়াটাই শ্রেয়। Editor কে সম্বোধন করার পর ৩-৪ বাক্যে লেটারটি প্রকাশ করার অনুরোধ করে Yours/Sincerely/With Regards দিয়ে নাম, সংক্ষিপ্ত ঠিকানা দিয়ে শেষ করে দিবেন।
  • এর ঠিক পরেই একটা সিম্পল টাইটেল।
  • এবার মূল feature/Report/ যেটা পাবলিশ হবে – সেটা লিখবেন। এ অংশকে ৪ ভাগে ভাগ করা যায়-
  1. Clarification of the issue.
  2. Practical Experience /Present Condition.
  3. Express your opinion.
  4. Concluding statement.
  • অনেকেই এটা পুরো লেখার পর আবার লেখকের নাম ঠিকানা দেন, অনেকে দেন না। দুইটাই শুদ্ধ। এ ধরণের লেটারের আসলে নানান ফরম্যাট প্রচলিত।
  • লেখার সময় Formal languae ব্যবহার করতে হবে। Passive Voice & Modal Auxiliary এর ব্যবহার Language কে Formal করে।
  • Alignment এর ক্ষেত্রে বৃটিশ অথবা আমেরিকান যেকোন একটা ব্যবহার করা যাবে।
অধ্যয়নের উৎস:
  • ভালো কোনো গ্রামার বই থেকে Structure দেখে নিতে হবে।
  • Advanced Learner’s HSC Communicative English Grammar & Composition, First Paper, Chowdhury & Hossain.
  • দেশি ইংরেজি পত্রিকা ও বিদেশী অনলাইন নিউজ পোর্টাল– এর গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন ও সম্পাদকীয়।
  • এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি – টেস্ট পেপার থেকেও পড়তে পারেন।
  • সর্বশেষ সংস্করণের যেকোনো ভালোমানের গাইডবই।
  • বিগত সালের বিসিএস লিখিত পরীক্ষার ইংরেজী বিষয়ের প্রশ্ন

(C) বিসিএস ইংরেজি লিখিত Essay Writing প্রস্তুতি

৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার পূর্বে বিসিএস লিখিত পরীক্ষার ইংরেজি অংশে ৩ টি Esaay থেকে একটি উত্তর করতে হতো। এবং একটা Essay এর জন্য ৫০ নম্বর বরাদ্দ থাকতো। কিন্তু ৪৫তম বিসিএসে এই প্যাটার্ন পরিবর্তন করে ২টি Essay লিখতে বলা হয়, যার প্রতিটিতে ২৫ নম্বর করে বরাদ্দ ছিল। তাছাড়া ৪৫তম বিসিএসে কোনো বিকল্প অপশন ছিল না। তাই আমাদেরকে Eassy Writing এর যেকোনো প্যাটার্নের প্রশ্নের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

পুরো Essay এর মার্ক ৫০ হওয়ায় এই অংশে সতর্কতার সাথে উত্তর দিতে হবে। মনে রাখবেন যে প্রশ্নের মার্ক যতো বেশি, তাতে মার্ক কম পাবার সম্ভাবনাও ততো বেশি। এখানে বড় ধরণের একটা মার্ক হারানোর সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই খুবই কেয়ারফুল প্রিপারেশন থাকতে হবে Essay এর ব্যাপারে।

বিসিএস ইংরেজি লিখিত পরীক্ষায় জন্য Essay লিখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
  • যেহেতু Essay লিখায় অনেক বড় একটা মার্ক থাকে, এবং লিখতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়, তাই কিছুটা লিখে ফিরে আসার কোন সুযোগ নেই। তাই লিখা শুরু করার পূর্বে Essay Select করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
  • আগের প্রশ্ন এনালাইসিস করলে যেখা যায় যদি ৩টা অপশন থাকে৷ এর মধ্যে একটা/দুইটা Essay থাকে বাংলাদেশের সমস্যা এবং সম্ভাবনা নিয়ে। এটা সচরাচর সমসাময়িক ইস্যু থেকে আসে। এই ধরনের Essay গুলোতে সাধারণত প্রচুর তথ্য দেয়ার সুযোগ থাকে। আবার বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক সমসাময়িক ইস্যু ও আসে। এখানেও তথ্য ই মুখ্য। এছাড়াও পরিবেশ সম্পর্কিত Essay থাকার সম্ভাবনাও থাকে যেটিও তথ্যভিত্তিক।
  • মাঝে মাঝে Imaginary situation (কাল্পনিক পরিস্থিতি) সম্পর্কিত Essay থাকে। এই ধরনের Essay তে তথ্য এর চেয়ে লেখার রচনাশৈলী অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়াও এই ধরনের Essay লিখতে তুলনামূলক বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়।
  • Essay সিলেকশন করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আপনি যে Essay টা লিখতে যাচ্ছেন সেটি সম্পর্কে আপনি Well Prepared কিনা। এক্ষেত্রে আপনি যে Essay টি সম্পর্কে সবচেয়ে বেশী তথ্যা জানেন এবং বেশী ভালো আইডিয়া আছে সেটিই লিখবেন।
  • একটি Essay এর জন্য সাধারণত ১০০০ শব্দের requirement থাকে। অর্থ্যাৎ হাতের লেখা অনুসারে ১২-১৪ পেইজ। হালকা বেশী হলে সমস্যা নেই। এর চেয়ে কম না হওয়াই ভালো।
  • সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পর সব শেষে ঠাণ্ডা মাথায় Essay লিখাটাই ভালো। তবে শুরুতে Essay উত্তর না করাটাই উত্তম।
  • একটি Essay লিখার জন্য কম বেশি ৫০ মিনিট হাতে রাখাটাই উত্তম। তবে ২টি Essay লিখতে বললে সে অনুসারে সময় ভাগ করে নিবেন।
  • Essay খুব ভালো ভাবে কমন পরে গেলে অনেকেই শুরুতেই Essay লিখা শুরু করে থাকেন। ভব্যা থাকেন শুরুতেই একটি সুন্দর Essay লিখলে Examiner মুগ্ধ হবেন। কিন্ত এখানে সমস্যা হচ্ছে – প্রথমেই Essay লিখলে সময় বেশী চলে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। এতে করে বাকী অংশ উত্তর করতে গিয়ে সময় অনেক কম পাবেন এবং যার জন্য পরীক্ষা খারাপ হতে পারে।
  • Essay লিখা শুরু করার পূর্বে পেন্সিল / কলম দিয়ে খাতার একটি পৃষ্ঠায় উক্ত Essay তে যা যা লিখবেন সেই সম্পকৃত পয়েন্ট আকারে একটি আউটলাইন প্রস্তুতু করে ফেলতে হবে। এতে করে লেখা শুরু করার পরে আপনার দিকভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যাবে এবং সময়ও অনেক কম লাগবে।
  • Essay এর শুরুতেই Eye catchy একটি Introduction লেখার চেষ্টা করবেন যাতে Examiner এর মনোযোগ দ্রুত আকর্ষিত হয়। সবসময় মবে রাখবেন “First Impression is the best impression”। ভালো Introduction লেখার অনেক ধরনের style রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম দুটি হলো –
    (১) প্রবাদবাক্য, কোন উক্তি দিয়ে শুরু করা। (২)ছোট্ট কোন গল্প দিয়ে শুরু করা।
  • Introduction যেন বেশী বড় না হয়, আবার বেশী ছোটও না হয়। Introduction এ সংজ্ঞায়ন করে ফেলার দরকার নেই।
  • Essay তে Introduction এবং Conclusion আলাদা ভাবে মেনশন করার প্রয়োজন নেই। বরং মাথার মধ্যে পয়েন্টটা আছে সেটা প্যারাগুলোর প্রথম বাক্যেই মেনশন করে ফেলুন। এতে কোন প্যারার প্রথম বাক্য দেখলেই পরীক্ষক বুঝে ফেলবেন ওই প্যারায় কী নিয়ে লেখা হয়েছে।
  • Essay এর Body সেকশন টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভূমিকা ও উপসংহারের মাঝখানের পয়েন্টগুলোর Order এবং Unity খেয়াল করতে হবে।
  • প্রথমেই সাজিয়ে নিতে হবে কোনটা আগে কোনটা পরে দিবেন। আবার একটার সাথে আরেকটার কানেকশন আছে কিনা সেটাও খেয়াল রাখা লাগবে। Transition Words use করে Coherence ঠিক রাখা লাগবে।
  • Conclusion – এ একটি ভালো সমাপ্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই উপসংহার চট করে শেষ করে দেন বা ১-২ বাক্যে শেষ করে দেন। যেটি একদম করা যাবেন। উপসংহার আকারে ছোট হলেও Well organized এবং Well thought হতে হবে। দুয়েকটা ইম্পর্টেন্ট সামারি এখানে আসবে। To the point, subject related প্রবাধ/উক্তি দিয়ে শেষ করা যায়।
  • Essay লিখা শেষ হলে Proofreading এর জন্য আলাদা সময় রাখতে হবে।
অধ্যয়নের উৎস:
  • ইংরেজি পত্রিকা/ইংরেজি অনলাইন নিউজ পোর্টাল।
  • ভালো কোনো Essay-সংকলন।
  • সর্বশেষ সংস্করণের ভালোমানের যেকোনো গাইডবই।
  • বিগত বছরের বিসিএস লিখিত পরীক্ষার ইংরেজি বিষয়ের প্রশ্ন।
Install Live Written App Button

বিসিএস ইংরেজি লিখিত English to Bengali Translation অংশের প্রস্তুতি:

বিসিএস ইংরেজি লিখিত পরীক্ষার এই অংশে ২৫ নম্বরের একটি অনুবাদ থাকবে। একটু ভালো ভাবে প্রস্তুতি নিলে এই অনুবাদ অংশ থেকে সম্পূর্ণ নম্বর টিই পাওয়া সম্ভব।

English to Bengali Translation লেখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
  • অনুবাদের অংশটুকু একাধিকবার পড়ে অন্তর্নিহিত মূলভাব বুঝে নিতে হবে শুরুতেই।
  • মূল বাক্যে যে ধরণের Tense, Verb, voice থাকে তা অনূদিত অংশেও একই ধরণের Tense, Verb, voice ব্যবহার করতে হয় । ইংরেজি Proper Noun গুলোর অনুবাদ হয়না।
  • বড় বাক্যগুলো সহজে অনুবাদ করার জন্য Break-Translate-Rearrange টেকনিক অনুসরণ করা ভালো। এক্ষেত্রে প্রথমেই বাক্যের Subjet-Predicate বের করে নিলে সুবিধা হয়। পরে সুবিধামতো ভেংগে ভেংগে অনুবাদ করে পুনরায় বাক্যটি সাজিয়ে লিখলে ভুল হবার সম্ভাবনা কমে।
  • ভাষা হবে প্রাঞ্জল, অপ্রচলিত পরিভাষা না লেখাই উত্তম। কোন অংশই বাদ দেয়া যাবেনা, কোন শব্দ অসংখ্যবার রিপিট করা যাবেনা এবং গুরুচন্ডালী দোষ অর্থ্যাৎ সাধু চলিতের সংমিশ্রণ করা চলবে না।
  • বাংলা শব্দের বানান এর ব্যাপারে যত্নশীল হতে হবে।
  • অপ্রচলিত পরিভাষা ব্যবহারের চেয়ে মূল ভাষাই ব্যবহার করলে ভালো হয়।
অধ্যয়নের উৎস:
  • দেশি ইংরেজি পত্রিকা ও বিদেশী অনলাইন নিউজ পোর্টাল – এর গুরুত্বপূর্ণ নিউজ প্রতিবেদন ও সম্পাদকীয় (ইংরেজি থেকে বাংলা করার অনুশীলন করুন।)
  • সর্বশেষ সংস্করণের ভালোমানের যেকোনো গাইডবই।
  • গত কয়েক বছরের বিসিএস ইংরেজি লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন।

উপরোক্ত সোর্স থেকে অনুবাদ নিয়মিত অনুশীলন এর মাধ্যমে ভোকাবুলারি সমৃদ্ধ করতে হবে।

বিসিএস ইংরেজি লিখিত Bengali to English Translation অংশের প্রস্তুতি:

এখানে ১ টি অনুবাদ থাকবে যার জন্য ২৫ নম্বর বরাদ্দ থাকবে। এই অনুবাদগুলোতে বাক্যের গঠন অনেকসময় যথেষ্ট জটিল হয়, এছাড়াও বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদটি অনেক সময়েই আকারেও বেশ বড় হয়। এক্ষেত্রে বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদের কৌশলগুলো লক্ষ্য করতে হবে।

বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ লেখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
  • English Grammar এ বিশেষ মনোযোগী হতে হবে। কোনভাবেই Grammar এ কোন ভুল করা যাবে না।
  • বাংলা প্রবাদ ও বিভিন্ন Terms এর অনুবাদে ইংরেজি প্রবাদ ও পরিভাষা ব্যবহার করতে হবে।
  • বিখ্যাত ব্যক্তি বা স্থানের নামের বানানে বহুল ব্যবহৃত ও স্বীকৃত ইংরেজি বানানটাই লিখতে হবে। যেমন -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নামের বানান।
  • অনুবাদে ভালো করার জন্য প্রতিদিন অনুশীলনের বিকল্প নেই।
  • সবসময় আক্ষরিক অনুবাদ না করে ভাবানুবাদ করার চেষ্টা করুন।
  • বাক্য খুব বড় হয়ে গেলে ভেঙ্গে সরল, প্রাঞ্জল ও বোধগম্য ভাষায় লিখবেন।
  • বিভিন্ন প্রত্রিকার (যেমন: ডেইলি স্টার, বিবিসি, আল জাজিরা প্রভৃতি) সম্পাদকীয়, বিজনেস পাতা এবং আন্তর্জাতিক পাতার গুরত্বপূর্ণ অংশগুলো প্রতিদিন পড়তে হবে।
অধ্যয়নের উৎস:
  • ইংরেজি পত্রিকার সম্পাদকীয়।
  • সর্বশেষ সংস্করণের ভালোমানের যেকোনো গাইডবই।
  • বাংলাপিডিয়ার ইংরেজি ও বাংলা দুইটা ভার্শন পাওয়া যায় অনলাইনে। এখান থেকে অনুবাদ অনুশীলন করলে প্রাঞ্জল সমাধানটি সাথে সাথেই চেক করে নিতে পারবেন।
  • গত কয়েক বছরের বিসিএস ইংরেজি লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন।
Install Live Written App Button

বিসিএস বাংলাদেশ বিষয়াবলী লিখিত প্রস্তুতি (BCS Bangladesh Affairs Written Preparation):

বিসিএস লিখিত পরীক্ষার বাংলাদেশ বিষয়াবলি পরীক্ষার সিলেবাস অনেক বড়। অধিকাংশ পরীক্ষার্থী এই সিলেবাস দেখে ভড়কে যান। তবে সুপরিকল্পিত এবং কৌশলে প্রস্তুতি নিলে আপনি এই অংশে সর্বোচ্চ ভালো করতে পারবেন।

বিসিএস লিখিত বাংলাদেশ বিষয়াবলীতে মোট ২০০ নম্বর থাকে এবং পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য সময় থাকে ৪ ঘন্টা। এখানে প্রতি ১ নম্বরের মাত্র ১.২ মিনিট সময় পাবেন যা খুবই নগণ্য। অর্থাৎ একটি ১০ নম্বরের প্রশ্নের জন্য আপনি মাত্র ১২ মিনিট সময় পাবেন। তাই সম্পূর্ণ উত্তর করার জন্য টাইম ম্যানেজমেন্ট খুবই গুরত্বপূর্ণ। তাই আগে থেকেই মক টেস্ট / মডেল টেস্ট দেয়ার মাধ্যমে টাইম ম্যানেজমেন্ট রপ্ত করতে হবে।

বিসিএস লিখিত বাংলাদেশ বিষয়াবলী প্রস্তুতি
বাংলাদেশের ভূগোল: প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ও এর পরিবর্তন:
গুরুত্বপূর্ণ টপিক সমূহ:
  • বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও ভূ-প্রকৃতি (কৌশলগত অবস্থান, গুরুত্ব, সুবিধা)।
  • বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান যেমন – ভূমিরূপ, নদ-নদী, বনাঞ্চল ইত্যাদি।
  • সংবিধানে পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব, পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন আইন ও অধ্যাদেশ।
  • ভূ-রাজনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান, বৃহৎ শক্তির প্লে-গ্রাউন্ড হিসাবে বাংলাদেশ।
  • ব-দ্বীপ পরিকল্পনা (কাঠামো, অর্থায়ন ও চ্যালেঞ্জ)।
  • সমুদ্র অর্থনীতি, সমুদ্র বিজয় (সরকারের পদক্ষেপ, বাস্তবায়নে করণীয়)।
  • বঙ্গবন্ধু দ্বীপ, ভাসানচর, প্রবাল দ্বীপ, সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড, বিগ-বি, গভীর সমুদ্রবন্দর।
বাংলাদেশের ভূগোল অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • এই অধ্যায়ে চিত্রভিত্তিক বিশ্লেষণযোগ্য প্রশ্নের উত্তরে চিত্র দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
  • মানচিত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন অঞ্চল চিহ্নিত করতে পারলে ভালো হয়।
  • রাজনৈতিক ইস্যু সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে বর্ণনার ক্ষেত্রে সরকারের কার্যক্রমের সরাসরি বিরোধিতা করা যাবে না। কৌশলে শব্দচয়ন করে শিরোনাম নির্ধারণ করতে হবে।
  • তথ্য উপস্থাপনার ক্ষেত্রে ছক, বক্স, গ্রাফ, চার্ট ইত্যাদি ব্যবহার বৃদ্ধি করলে উত্তরপত্র প্রশংসার সাথে মূল্যায়িত হবে।
অধ্যয়নের উৎস:
  • ৭ম থেকে ৯ম শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ মূলবই।
  • জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সংবাদ, কলাম ও সম্পাদকীয়।
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ের পাঠ্যপুস্তক।
  • ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উপর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স পর্যায়ের পাঠ্যবই।
  • প্রথিতযশা জাতীয় দৈনিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও সাম্প্রতিক কলামসমূহ।
  • সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সরকারি ওয়েবসাইট।
  • বাংলাপিডিয়া ও যেকোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যকোষ।
  • সর্বশেষ সংস্করণের কোনো নির্ভরযোগ্য গাইডবই।
  • Live MCQ – GKPedia – বাংলাদেশ বিষয়াবলি
  • Live MCQ সাম্প্রতিক সমাচার PDF
  • Live MCQ তথ্য সমাহার PDF
  • Live MCQ Daily NewsPicker PDF
  • Live MCQ Weekly Bulletin
Install Live Written App Button
জনমিতিক বৈশিষ্ট্য: নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য
গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, ক্ষুদ্র জাতিসত্তাসমূহের বৈচিত্র্য (পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক)।
  • মানব সম্পদ, সংবিধানে মানব সম্পদের উন্নয়ন, মানব সম্পদ উন্নয়নে করণীয়।
  • ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড, এর সমস্যা ও সম্ভাবনাসমূহ।
  • বাংলাদেশের জনসংখ্যা নীতি, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং প্রাসঙ্গিকতা।
  • জনশুমারি, জনশুমারি-২০২২ এর উল্লেখযোগ্য দিকসমূহ।
  • পরিবার পরিকল্পনা (পরিচিতি, প্রয়োজনীয়তা, সরকারের পদক্ষেপ ও বাস্তবায়নে করণীয়)।
জনমিতিক বৈশিষ্ট্য: নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • এই অধ্যায়টি তথ্যপূর্ণ একটি অধ্যায়। তাই সাম্প্রতিক তথ্যগুলো জাতীয় দৈনিক, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স বা সরকারি ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে হবে।
  • যে বিষয়গুলো সাম্প্রতিক নয়, সেগুলো পয়েন্ট আকারে লিখলে ভালো হবে। পয়েন্টগুলো প্রাসঙ্গিক হতে হবে। প্রতি পয়েন্টের অধীনে ৩/৪ বাক্যের বিশ্লেষণ থাকা ভালো।
  • পয়েন্টগুলো উত্তরপত্রে এমনভাবে লিখবেন যাতে খুব সহজেই পরীক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়। সেক্ষেত্রে রঙিন কালির ব্যবহার বা আন্ডারলাইন করা খুব কার্যকর কৌশল হতে পারে। পয়েন্টগুলো উত্তরপত্রের বাম পাশে না লিখে খাতার ঠিক মাঝ বরাবর লেখা ভালো।
অধ্যয়নের উৎস:
  • ৭ম থেকে ৮ম শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ মূলবই।
  • ৯ম-১০ম শ্রেণির ‘বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা’ মূলবই।
  • জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সংবাদ, কলাম ও সম্পাদকীয়।
  • বাংলাদেশ গেজেট বা সর্বশেষ প্রকাশিত অর্থনৈতিক সমীক্ষা।
  • প্রথিতযশা জাতীয় দৈনিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও সাম্প্রতিক কলামসমূহ।
  • সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সরকারি ওয়েবসাইট।
  • বাংলাপিডিয়া ও যেকোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যকোষ।
  • সর্বশেষ সংস্করণের কোনো নির্ভরযোগ্য গাইডবই।
  • Live MCQ – GKPedia – বাংলাদেশ বিষয়াবলি
  • Live MCQ সাম্প্রতিক সমাচার PDF
  • Live MCQ তথ্য সমাহার PDF
  • Live MCQ Daily NewsPicker PDF
  • Live MCQ Weekly Bulletin

বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি: প্রাচীন থেকে বর্তমান

গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • জাতীয়তাবাদ (উদ্ভব ও বিকাশ)।
  • প্রাচীনযুগ – বিভিন্ন জনপদ গঠন, বঙ্গ-জনপদের ইতিহাস, বাংলাদেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জনপদগুলোর ইতিহাস, বিভিন্ন শাসনামল ইত্যাদি।
  • মধ্যযুগ – উপমহাদেশে সুলতানি আমল, মোঘল শাসন, হাবশি শাসন, বাংলায় মুসলিম শাসন, বাংলায় মোঘল শাসন ইত্যাদি।
  • দেশভাগ (আওয়ামী লীগের গঠন, নামকরণ ও ভূমিকা)।
  • সিপাহী বিদ্রোহ, পলাশীর যুদ্ধ, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত, রামসার কনভেশন প্রভৃতি।
  • ব্রিটিশ শাসনামল, সুফল-কুফল, আন্দোলন সংগ্রাম ও সমাপ্তি।
  • বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে গুরুত্ব, অধরা সংস্কৃতি ইত্যাদি।
  • জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও জাতীয় সংসদ ভবন প্রভৃতি।
  • শালবন বিহার, ময়নামতি, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, ষাটগম্বুজ মসজিদ, ওয়ার সিমেট্রি প্রভৃতি।
  • সংবিধানে সাংস্কৃতিক বিষয় সম্পর্কিত অনুচ্ছেদ, সাম্প্রতিক সাংস্কৃতিক অর্জন, পহেলা বৈশাখ, মঙ্গল শোভাযাত্রা, বাউলগান, জারিগান, জামদানি প্রভৃতি।
বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি: প্রাচীন থেকে বর্তমান অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • বিশেষ ঐতিহাসিক ঘটনার প্রেক্ষাপট, বিবরণ সালভিত্তিকভাবে তুলে ধরা ভালো।
  • বিভিন্ন সংগ্রাম, বিপ্লবের কারণ, বিবরণ, বিপ্লবীদের নাম ও অবদান তুলে ধরতে হবে।
  • জাতীয় ইস্যুর সাথে সংবিধানের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আসলে ভালো হবে।
  • বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির আদ্যোপান্ত জেনে রাখা ভালো। 
অধ্যয়নের উৎস:
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যভূক্ত ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের ইতিহাস’ বিষয়ের বই।
  • বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের লেখা ‘বাংলাদেশের তারিখ’ বই।
  • মাধ্যমিক শ্রেণির “বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা” বই।
  • অষ্টম শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ বই।
  • উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির ইতিহাস বই।
  • প্রথিতযশা জাতীয় দৈনিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও সাম্প্রতিক কলামসমূহ।
  • সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সরকারি ওয়েবসাইট।
  • বাংলাপিডিয়া ও যেকোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যকোষ।
  • সর্বশেষ সংস্করণের কোনো নির্ভরযোগ্য গাইডবই।
  • Live MCQ – GKPedia – বাংলাদেশ বিষয়াবলি
  • Live MCQ সাম্প্রতিক সমাচার PDF
  • Live MCQ তথ্য সমাহার PDF
  • Live MCQ Daily NewsPicker PDF
  • Live MCQ Weekly Bulletin

বাংলাদেশের অর্থনীতি, সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি

গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • ভিশন ২০৪১ (সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও বাস্তবায়নে করণীয়)।
  • আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, মেগাপ্রকল্পসমূহ (আর্থ-সামাজিক প্রভাব), EPZ, BIDA, BEZA, পিপিপি ইত্যাদি।
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা।
  • দারিদ্র বিমোচন, গ্রামীণ উন্নয়ন, সমাজ কল্যাণ ও সামাজিক নিরাপত্তা।
  • মুদ্রাস্ফীতি, মুদ্রানীতি।
  • বাংলাদেশের উন্নয়নে শিক্ষা, সমাজ ও অর্থনীতি।
  • খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, জ্বালানি, বিদ্যুৎ।
  • মানবসম্পদ, মুদ্রানীতি, বৈদেশিক বিনিয়োগ, GDP, GNI, GNP, NNP.
  • ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য।
  • অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জসমূহ (জ্বালানী সংকট, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, কোভিড-১৯ অতিমারি)।
  • দারিদ্র্য বিমোচন, গ্রামীণ উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা।
  • রপ্তানি আয় (তৈরি পোশাক শিল্প, মৎস্য খাত, পর্যটন শিল্প, পাট ও অন্যান্য উদীয়মান শিল্পের ভূমিকা)।
  • অর্থনীতির বিভিন্ন খাত (কৃষি, শিল্প ও সেবাসহ অন্যান্য উপখাত) ও তাঁদের অবদান।
  • ব্লু-ইকোনমির সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়।
  • রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি, পর্যটন শিল্প, চামড়া শিল্প, মৎস খাত, পাট শিল্প, জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প, বাজেট, SDG, MDG (প্রেক্ষাপট, বাংলাদেশের সাফল্য ও করণীয়)।
বাংলাদেশের অর্থনীতি, সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • তথ্যসমূহ ছক, প্রাসঙ্গিক চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরবেন।
  • সরকারি কার্যক্রমের সাথে সরাসরি যুক্ত বিষগুলোর প্রাথমিক ধারণা যথাযথ উৎস থেকে যথাযথভাবে জেনে নিতে হবে, লেখার ক্ষেত্রেও তার ব্যাত্যয় ঘটানো যাবে না।
  • বর্ণনামূলক প্রশ্নের মূল উত্তরে যাওয়ার আগে সেই প্রশ্নের জন্য নির্ধারিত নম্বরের আলোকে তার প্রাসঙ্গিক আলোচনা করলে ভালো হয়।
  • তথ্য গতানুগতিক বর্ণনায় না দিয়ে এমনভাবে উপস্থাপন করুন, তা যেন অন্যদের থেকে ভিন্ন হয়, তা যেন পরীক্ষকের নিকট পছন্দনীয় হয়।
অধ্যয়নের উৎস:
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতি ২য় পত্র মূল বই।
  • সর্বশেষ প্রকাশিত অর্থনৈতিক সমীক্ষা।
  • প্রথিতযশা জাতীয় দৈনিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও সাম্প্রতিক কলামসমূহ।
  • সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সরকারি ওয়েবসাইট।
  • বাংলাপিডিয়া ও যেকোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যকোষ।
  • সর্বশেষ সংস্করণের কোনো নির্ভরযোগ্য গাইডবই।
  • Live MCQ – GKPedia – বাংলাদেশ বিষয়াবলি
  • Live MCQ সাম্প্রতিক সমাচার PDF
  • Live MCQ তথ্য সমাহার PDF
  • Live MCQ Daily NewsPicker PDF
  • Live MCQ Weekly Bulletin
Install Live Written App Button

বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রকৃতি, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা: রক্ষণাবেক্ষণ, সংরক্ষণ ও টেকসইকরণ

গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • বাংলাদেশের পরিবেশ (বৈশিষ্ট্য, দূষণের কারণ, প্রভাব, প্রতিকার ও প্রতিরোধ)
  • জলবায়ু পরিবর্তন (বাংলাদেশের উপর এর প্রভাব ও প্রতিকারের উপায়)
  • প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ (কারণ, প্রতিকার ও প্রশমনে করণীয়)
  • সুন্দরবনের পরিবেশ, নদীদূষণ (কারণ, প্রভাব ও প্রতিকারের উপায়)
  • বাংলাদেশ-ভারত গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি, তিস্তার পানি বণ্টন, ফারাক্কা বাঁধ, ই-বর্জ্য, যৌথ নদী কমিশন, সবুজ অর্থনীতি, SPARSO।

বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রকৃতি, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা: রক্ষণাবেক্ষণ, সংরক্ষণ ও টেকসইকরণ অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:

  • এই অধ্যায়ে চিত্রভিত্তিক বিশ্লেষণযোগ্য প্রশ্নের উত্তরে চিত্র অঙ্কনের পরামর্শ রইল,
  • মানচিত্রের মাধ্যমে দুর্যোগের কম, মধ্যম বা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল চিহ্নিত করতে পারলে ভালো হয়,
  • রাজনৈতিক ইস্যু সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে বর্ণনার ক্ষেত্রে সরকারের কার্যক্রমের সরাসরি বিরোধিতা করা যাবে না, কৌশলে শব্দচয়ন করে শিরোনাম নির্ধারণ করতে হবে,
  • তথ্য উপস্থাপনার ক্ষেত্রে ছক, বক্স, গ্রাফ, চার্ট ইত্যাদি ব্যবহার বৃদ্ধি করলে উত্তরপত্র প্রশংসার সাথে মূল্যায়িত হবে।
অধ্যয়নের উৎস:
  • ৭ম থেকে ৯ম শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ মূলবই।
  • জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সংবাদ, কলাম ও সম্পাদকীয়।
  • সিরাজুল করিম ও মোঃ মতিউর রহমান কর্তৃক সম্পাদিত ‘বাংলাদেশ স্টাডিজ: ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য’।
  • ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উপর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স পর্যায়ের পাঠ্যবই।
  • প্রথিতযশা জাতীয় দৈনিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও সাম্প্রতিক কলামসমূহ।
  • সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সরকারি ওয়েবসাইট।
  • বাংলাপিডিয়া ও যেকোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যকোষ।
  • সর্বশেষ সংস্করণের কোনো নির্ভরযোগ্য গাইডবই।
  • Live MCQ – GKPedia – বাংলাদেশ বিষয়াবলি
  • Live MCQ সাম্প্রতিক সমাচার PDF
  • Live MCQ তথ্য সমাহার PDF
  • Live MCQ Daily NewsPicker PDF
  • Live MCQ Weekly Bulletin

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ: টেকসই ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা

গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ (বিবরণ, ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা ও করণীয়)। 
  • বাংলাদেশের বনজ ও খনিজ সম্পদ (বিবরণ, সমস্যা-সম্ভাবনা, রক্ষার গুরুত্ব ও করণীয়)। 
  • সামুদ্রিক সম্পদ (সম্ভাবনা ও আহরণে করণীয়), কৃষিজ ও মৎস সম্পদ।
  • নবায়নযোগ্য ও অনবায়নযোগ্য সম্পদ।
  • বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ।
  • বিশ্ব ঐতিহ্যে স্বীকৃত বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সম্পদসমূহ। 
  • পেট্রোবাংলা, বাপেক্স, পিএসসি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, তিতাস গ্যাস কোম্পানি প্রভৃতি।
বিসিএস লিখিত বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ: টেকসই ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • এই অধ্যায়ের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে অধিক পরিমাণে প্রাসঙ্গিক পয়েন্ট তৈরি করতে হবে।
  • পয়েন্টের আলোকে তথ্যভিত্তিক ও সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ দিতে হবে।
  • তথ্য উপস্থাপন করতে হবে ছক, তালিকা ইত্যাদির মাধ্যমে।
  • সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিষ্ঠা, কার্যাবলি ও বর্তমান ভূমিকা জানতে হবে। 
অধ্যয়নের উৎস: 
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যভূক্ত ‘ভূগোল’ ও ‘বাংলাদেশ স্টাডিজ’ এর মূল বই।
  • অষ্টম শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ এর মূলবই। 
  • সর্বশেষ সংস্করণের কোনো নির্ভরযোগ্য গাইডবই। 
  • প্রথিতযশা জাতীয় দৈনিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও সাম্প্রতিক কলামসমূহ।
  • সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সরকারি ওয়েবসাইট।
  • বাংলাপিডিয়া ও যেকোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যকোষ।
  • সর্বশেষ সংস্করণের কোনো নির্ভরযোগ্য গাইডবই।
  • Live MCQ – GKPedia – বাংলাদেশ বিষয়াবলি
  • Live MCQ সাম্প্রতিক সমাচার PDF
  • Live MCQ তথ্য সমাহার PDF
  • Live MCQ Daily NewsPicker PDF
  • Live MCQ Weekly Bulletin
Install Live Written App Button

বাংলাদেশের সংবিধান

গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • বাংলাদেশের সংবিধান রচনার ইতিহাস/ গণপরিষদ গঠনের ইতিহাস (পটভূমি, ঘটনাক্রম)।
  • মূলনীতিসমূহ, সংবিধানের প্রস্তাবনা (উদ্দেশ্য, গুরুত্ব ও তাৎপর্য)।
  • সাংবিধানিক সংস্থাসমূহ ও পদসমূহ।
  • সরকারি ও বেসরকারি বিল, অর্থবিল, বাজেট।
  • মৌলিক অধিকার, রাষ্ট্রধর্ম, সংবিধানের প্রাধান্য, ধর্মনিরপেক্ষতা, জরুরি অবস্থা, নারীর অধিকার, নাগরিক অধিকারে সমতা, ন্যায়পাল, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল (সংশ্লিষ্ট ধারাসমূহ)।
  • রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি, মৌলিক অধিকার ইত্যাদি সংক্রান্ত অধ্যায় ও অনুচ্ছেদ সমূহ, সংবিধানের সংশোধনী সমূহ ও সংবিধানের তফসিলসমূহ। (প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই সংবিধানের বিভিন্ন বিধান অনুসারে হতে হবে)।
  • সংবিধানের অভিভাবক, ব্যাখ্যাকারক, সংশোধন সংক্রান্ত বিধান ও নিয়ম, ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলী সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ ইত্যাদি।
বিসিএস লিখিত বাংলাদেশের সংবিধান অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • এই অধ্যায়ের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে সংবিধানের ভিত্তিতেই আলোচনা করতে হবে।
  • উত্তর সাধারণত সংক্ষিপ্ত হবে।
  • বিষয়বস্তুর সাথে প্রাসঙ্গিক একাধিক অনুচ্ছেদ বা ধারার মূলকথার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আলোচনা করতে হবে।
  • অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ও ধারা নম্বরসহ লিখলে সহজেই দৃষ্টি আকৃষ্ট হবে।
  • ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে সাল ও তারিখসহ মনে রাখতে হবে।
  • সংবিধানের অধ্যায় ও অনুচ্ছেদ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অনুচ্ছেদের পাশাপাশি ব্যাখ্যা লিখে নোট করতে পারলে ভালো হয়। কারন, বাংলাদেশ বিষয়াবলির অন্যান্য অংশের যেমন – নির্বাহী বিভাগ সংক্রান্ত প্রশ্ন, বিচার বিভাগ সংক্রান্ত প্রশ্ন, নির্বাচন ইত্যাদির জন্যও এই নোট পরে কাজে লাগবে। তাই সংবিধানের জন্য ভালো করে একটা নোট থাকা জরুরি।
অধ্যয়নের উৎস:
  • গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বশেষ সংশোধনী সম্বলিত মূল সংবিধান। 
  • সর্বশেষ সংস্করণের কোনো নির্ভরযোগ্য গাইডবই।
  • একাদশ-দ্বাদশ পেীরনীতি ও সুশাসন দ্বিতীয় পত্র বই: প্রফেসর মোজাম্মেল হক।
  • পেীরনীতি ও সুশাসন দ্বিতীয় পত্র বই, HSC প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
  • বাংলাদেশের সংবিধান – আরিফ খান।
  • বাংলাদেশের সংবিধান – আইন মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইট।
  • প্রথিতযশা জাতীয় দৈনিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও সাম্প্রতিক কলামসমূহ।
  • সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সরকারি ওয়েবসাইট।
  • বাংলাপিডিয়া ও যেকোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যকোষ।
  • সর্বশেষ সংস্করণের কোনো নির্ভরযোগ্য গাইডবই।
Install Live Written App Button

সরকারের অঙ্গসমূহ: আইনসভা, নির্বাহী/শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ

গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
(ক) আইন বিভাগ (Legislature):
  • বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গসমূহ (গঠন প্রণালী, ক্ষমতা ও কার্যাবলি)।
  • আইন বিভাগের গঠন, দায়িত্ব, কার্যক্রম, ক্ষমতা ইত্যাদি।
  • আইন প্রণয়ন পদ্ধতি, বিভিন্ন প্রকার বিল, অধ্যাদেশ প্রণয়ন ইত্যাদি।
  • অর্থবিল, অর্থ বিষয়ক ও নিরীক্ষণ ক্ষমতা, সংসদ বিষয়ক বিভিন্ন কমিটি ইত্যাদি।
  • স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার, ন্যায়পাল ইত্যাদি।
  • সংসদের কার্যবিধি, সংসদ অধিবেশন, সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব ইত্যাদি।
  • ককেশাস (Caucuses) বা রাজনৈতিক দলগুলোর সংঘ, প্রতিনিধিত্ব ইত্যাদি।
  • সংসদ সচিবালয় গঠন, দায়িত্ব ও প্রধান ইত্যাদি।
  • রিট, ককাস, কোরাম, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল, BPATC, সংসদীয় কমিটি, অ্যামিকাস কিউরি।
(খ) নির্বাহী বিভাগ (Executive):
  • রাষ্ট্রপতি (পদের যোগ্যতা, ক্ষমতা, কার্যাবলি, পদের মেয়াদ, দায়মুক্তি, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা ও অভিশংসন)
  • নির্বাহী/শাসন বিভাগের প্রধান/রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী বা প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, দায়িত্ব, কার্যাবলি ও বিধান।
  • মন্ত্রীসভা ও মন্ত্রীপরিষদ।
  • নির্বাহী বিভাগের কার্যনিয়ম (Rules of Business), আমলাতন্ত্র, সচিবালয় ইত্যাদি।
  • বিভিন্ন আইন-প্রয়োগকারী সংস্থা (Law enforcing agencies), টাস্কফোর্স গঠন, বিভিন্ন অভিযান পরিচালনার ক্ষমতা – ইত্যাদি।
  • প্রশাসনিক পুনর্গঠন, প্রশাসনিক বিভিন্ন ইউনিটের সমন্বয়, মোবাইল কোর্ট, প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার বিভিন্ন আইন ও বিধি-বিধান ইত্যাদি।
  • জাতীয় ও স্থানীয় সরকার গঠন, ক্ষমতা, কার্যক্রম ইত্যাদি।
  • ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ – এই সংক্রান্ত কার্যক্রম, কার্যকারিতা, প্রশাসনিক পুনর্গঠনে সুপারিশ ইত্যাদি।
  • স্থানীয় পর্যায়ের পরিকল্পনা, বাজেট, উন্নয়ন কার্যক্রমের দায়িত্ব বন্টনের সুবিধা, রাজস্ব আদায়ের সুবিধা ইত্যাদি।
(গ) বিচার বিভাগ (Judiciary):
  • বিচার বিভাগ গঠন, ক্ষমতা, কার্যক্রম ইত্যাদি।
  • হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট বিভাগ – বিভাগগুলোর গঠন ও ক্ষমতা (বিস্তারিত)।
  • প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারপতিদের নিয়োগ, দায়িত্ব ও ক্ষমতা, মেয়দা ও অপসারণ ক্ষমতা ইত্যাদি।
  • অধস্তন আদালত সমূহ গঠন, দায়িত্ব ও বিধান সমূহ।
  • নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ ও এর গুরুত্ব।
  • জন-গুরুত্ব বিষয়সমূহ-সম্পর্কে আদালতের এখতিয়ার, রিট-পিটিশন, রুল জারির ক্ষমতা ও বিধান ইত্যাদি।
  • সরকারের নির্বাহী বিভাগসহ বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্রম সম্পর্কে বিচারিক পর্যবেক্ষণ (Judicial Review), বিচার নিষ্পত্তি বা মীমাংসা (Adjudication) ইত্যাদি সম্পর্কিত ক্ষমতা।
  • গ্রাম আদালত – ইতিহাস, গঠন, দায়িত্ব, বিলুপ্তি ইত্যাদি।
  • বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি [Alternative Dispute Resolution (ADR)]।
  • নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ (স্বাধীনতা রক্ষার উপায় ও প্রয়োজনীয়তা)
  • সংবিধানের অবিভাবক ও ব্যাখ্যাকারক হিসাবে সুপ্রিমকোর্ট – দায়িত্ব, কাজ ও ক্ষমতা ইত্যাদি।
  • যুদ্ধপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ-এর বিচার তৎপরতা, আইন, এসম্পর্কে আদালত ও সরকারের ভূমিকা, সংবিধানের বিধান ইত্যাদি।
এই অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • এই অধ্যায়ের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে সংবিধানের ভিত্তিতেই আলোচনা করতে হবে।
  • উত্তর সাধারণত সংক্ষিপ্ত হবে।
  • বিষয়বস্তুর সাথে প্রাসঙ্গিক একাধিক অনুচ্ছেদ বা ধারার মূলকথার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আলোচনা করতে হবে।
  • অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ও ধারা নম্বরসহ লিখলে সহজেই দৃষ্টি আকৃষ্ট হবে।
অধ্যয়নের উৎস:
  • গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বশেষ সংশোধনী সম্বলিত মূল সংবিধান
  • সংবিধান থেকে সরাসরি স্বউদ্যোগে কৃত কোনো সহায়িকা
  • সর্বশেষ সংস্করণের কোনো নির্ভরযোগ্য গাইডবই।
  • প্রথিতযশা জাতীয় দৈনিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও সাম্প্রতিক কলামসমূহ।
  • সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সরকারি ওয়েবসাইট।
  • বাংলাপিডিয়া ও যেকোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যকোষ।
  • সর্বশেষ সংস্করণের কোনো নির্ভরযোগ্য গাইডবই।
Install Live Written App Button

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ও বৈদেশিক সম্পর্ক

গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • পররাষ্ট্রনীতি (মুক্তিযুদ্ধকালীন পররাষ্ট্রনীতি, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ব্যাখ্যা, মূলভিত্তি ও প্রণয়নের নিয়ামকসমূহ)।
  • সাম্প্রতিককালে পররাষ্ট্রনীতির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জসমূহ।
  • রোহিঙ্গা সংকট (বাংলাদেশ সরকারের অবদান, বর্তমান অবস্থা, ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকসমূহ)।
  • রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (বাংলাদেশের উপর এর প্রভাব)।
  • জলবায়ু কূটনীতি, বাণিজ্য কূটনীতি ও অর্থনীতি কূটনীতি।
  • ট্রানজিট, করিডোর, ট্রানশিপমেন্ট, ভ্যাকসিন পাসপোর্ট, বাংলাদেশের উন্নয়ন ফোরাম।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ও বৈদেশিক সম্পর্ক অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • সরকারি নীতিসমূহ উপস্থাপনের ক্ষেত্রে কৌশলী হতে হবে, কোনোভাবেই যেনো কোনো পয়েন্ট/শিরোনামে সরকারের সমালোচনা না থাকে, থাকলেও তা যেন গঠনমূলক সমালোচনা হয়।
  • যেসব বিষয় সচরাচর আলোচিত হয় না; সেগুলোর মূল বিষয়বস্তু জেনে রাখা সবসময়ের জন্য ভালো। এ ধরণের প্রশ্ন উত্তরের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন জরুরি।
অধ্যয়নের উৎস:
  • অধ্যাপক মুহাম্মাদ নূরুল ইসলামের ‘বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক’ বই।
  • মোস্তফা কামালের লেখা ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও বাংলাদেশ’
  • সর্বশেষ সংস্করণের কোনো নির্ভরযোগ্য গাইডবই।
  • প্রথিতযশা জাতীয় দৈনিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও সাম্প্রতিক কলামসমূহ।
  • সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সরকারি ওয়েবসাইট।
  • বাংলাপিডিয়া ও যেকোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যকোষ।
  • সর্বশেষ সংস্করণের কোনো নির্ভরযোগ্য গাইডবই।
Install Live Written App Button

রাজনৈতিক দলসমূহ

গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • গণতন্ত্র (পরিচিতি, ধর্মীয় প্রভাব, ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকসমূহ ও উন্নয়নশীল দেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ)।
  • রাজনৈতিক দল (বৈশিষ্ট্য, কার্যাবলি, দল ও উপদলের পার্থক্য, গণতান্ত্রিক পরিবেশ উন্নয়নে ভূমিকা)।
  • বিরোধী দল (বৈশিষ্ট্য, কার্যাবলি ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বর্তমান অবস্থা)।
  • নেতৃত্ব, সম্মোহনী নেতৃত্ব, গুণাবলী।
  • রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সামরিক হস্তক্ষেপ, ধর্মীয় প্রভাব।
  • সংসদীয় গণতন্ত্র (পরিচিতি, ইতিহাস ও প্রয়োজনীয়তা)
  • জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি
এই অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • এই অধ্যায়ের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে সরকারের সমালোচনার ক্ষেত্রে কৌশলী হতে হবে
  • পয়েন্ট আকারে বর্ণনা দিতে হবে, উল্লেখযোগ্য তথ্য বা সংবিধানের ধারার আলোকে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিতে হবে,
  • বিষয়বস্তুর সাথে প্রাসঙ্গিক একাধিক অনুচ্ছেদ বা ধারার মূলকথার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আলোচনা করতে হবে,
  • অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ও ধারা নম্বরসহ লিখলে সহজেই দৃষ্টি আকৃষ্ট হবে।
অধ্যয়নের উৎস:
  • গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বশেষ সংশোধনী সম্বলিত মূল সংবিধান।
  • প্রথিতযশা জাতীয় দৈনিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও সাম্প্রতিক কলামসমূহ।
  • সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সরকারি ওয়েবসাইট।
  • বাংলাপিডিয়া ও যেকোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যকোষ।
  • সর্বশেষ সংস্করণের কোনো নির্ভরযোগ্য গাইডবই।
Install Live Written App Button

বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যাবস্থা

গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন (গঠন প্রক্রিয়া, মেয়াদ, ক্ষমতা, কার্যাবলি ও ভূমিকা)
  • নির্বাচন (বাংলাদেশে নির্বাচন প্রক্রিয়া, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় এর ভূমিকা)
  • নির্বাচনি আচরণবিধি, নির্বাচনে নাগরিকের অংশগ্রহণ এবং ভূমিকা।
  • গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (উল্লেখযোগ্য দিকসমূহ)
  • নির্বাচনি পর্যবেক্ষক (যোগ্যতা, নিয়োগ ও কার্যাবলি)
  • বাংলাদেশে গণভোট, ইভিএম, নির্বাচনী আইন, RPO।
  • বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা, জাতীয় এবং স্থানীয়(ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন।
  • বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, (গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি), অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা, নির্বাচন কমিশনের দূর্বল দিক এবং চ্যালেঞ্জসমূহ।
  • পৌরসভা নির্বাচন বিধিমালা, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ।
  • নির্বাচনী ব্যয়, নির্বাচনে সহিংসতা, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, নির্বাচনের সাম্প্রতিক চিত্র ইত্যাদি।
বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যাবস্থা অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • এই অধ্যায়ের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে সংবিধানের আলোকে বিবরণ দিতে চেষ্টা করুন,
  • পয়েন্ট আকারে বর্ণনা দিতে হবে, উল্লেখযোগ্য তথ্য বা সংবিধানের ধারার আলোকে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিতে হবে, সেক্ষেত্রে নম্বর উল্লেখ করার বিকল্প নেই,
  • বিষয়বস্তুর সাথে প্রাসঙ্গিক একাধিক অনুচ্ছেদ বা ধারার মূলকথার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আলোচনা করতে হবে,
  • নির্বাচনী বিভিন্ন বিধিমালার সাথে সম্পৃক্ততা বজায় রেখে উত্তর করতে চেষ্টা করবেন।
অধ্যয়নের উৎস:
  • গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বশেষ সংশোধনী সম্বলিত মূল সংবিধান।
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ‘পৌরনীতি ও সুশাসন’ বই।
  • প্রথিতযশা জাতীয় দৈনিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও সাম্প্রতিক কলামসমূহ।
  • সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সরকারি ওয়েবসাইট।
  • বাংলাপিডিয়া ও যেকোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যকোষ।
  • সর্বশেষ সংস্করণের কোনো নির্ভরযোগ্য গাইডবই।
Install Live Written App Button

সাম্প্রতিক যোগাযোগ, মিডিয়া, আইসিটি খাত ও ই-গভর্নেন্স সম্পর্কিত

গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশ, ব্যবহার ও প্রভাব।
  • ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে চারটি মূল স্তম্ভ।
  • মহাকাশ যুগে পদার্পণ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট – ১।
  • তথ্য অধিকার আইন (লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং প্রাধান্য)।
  • সাইবার নিরাপত্তা ও বাংলাদেশ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮।
  • গণমাধ্যম ও তথ্য প্রযুক্তি।
  • তথ্য অধিকার আইন, এই আইনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং প্রাধান্য।
  • ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, ফাইভ জি যুগে বাংলাদেশ।
  • চতুর্থ শিল্পবিপ্লব (প্রেক্ষাপট, বৈশ্বিক প্রভাব, সম্ভাবনা ও বাস্তবায়নে করণীয়)।
  • হাইটেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, ই-পাসপোর্ট, দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল।
  • ই-গভর্নেন্স, ই-কমার্স, ই-লার্নিং, ই-টেন্ডারিং, টেলিমেডিসিন, সাইবার নিরাপত্তা, ই-পাসপোর্ট, জাতীয় তথ্য বাতায়ন, আউটসোর্সিং, ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল।
  • শিক্ষায় আইসিটি, আউটসোর্সিং ও বাংলাদেশ, মুক্তপাঠ, জরুরি কল সেবা-৯৯৯, জাতীয় হেল্পলাইন-৩৩৩, কৃষি বাতায়ন ও ফোনসেবা-৩৩৩১, জাতীয় তথ্য বাতায়ন, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, ই-নথি, ই-নামজারি, একসেবা, একপে, একশপ, মাইগভ প্লাটফর্ম, জিটুপি সিস্টেম, ই-চালান ইত্যাদি।
বিসিএস লিখিত সাম্প্রতিক যোগাযোগ, মিডিয়া, আইসিটি খাত ও ই-গভর্নেন্স অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • এই অধ্যায়ের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে পর্যাপ্ত পয়েন্ট তৈরি করুন,
  • পয়েন্টের আলোকে প্রাসঙ্গিক তথ্য সম্বলিত সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা প্রদান করুন,
  • বিষয়বস্তুর সাথে প্রাসঙ্গিক সরকারের অবদান ও অর্জনসমূহ উল্লেখ করুন,
  • সম্ভাবনা আলোচনার ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বের প্রাযুক্তিক সম্ভাবনাময় দিকগুলো তথ্যভিত্তিকভাবে তুলে ধরুন।
অধ্যয়নের উৎস:
  • জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত নবম-দশম শ্রেণীর আইসিটি বই।
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ বই।
  • প্রথিতযশা জাতীয় দৈনিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও সাম্প্রতিক কলামসমূহ।
  • সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সরকারি ওয়েবসাইট।
  • বাংলাপিডিয়া ও যেকোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যকোষ।
  • সর্বশেষ সংস্করণের কোনো নির্ভরযোগ্য গাইডবই।
Install Live Written App Button

অনানুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ: সুশীল সমাজ, স্বার্থগোষ্ঠী ও এনজিও

গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • সিভিল সোসাইটি/সুশীল সমাজ (সঠিক রূপ, কার্যক্রম, সরকারের সাথে সম্পর্ক ও কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা)।
  • এনজিও (মানবাধিকার, অর্থনীতি, সমাজব্যবস্থায় এর প্রভাব ও বাংলাদেশে কর্মরত এনজিওগুলোর কার্যক্রমের বর্ণনা)।
  • চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী (ধরণ, কার্যক্রম, ক্ষমতা ও ভূমিকা)।
  • মাইক্রোক্রেডিট, সিটিজেন চার্টার, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, সুশাসন, পিকেএসএফ, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক।
বিসিএস লিখিত প্রস্তুতির এই অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • সরকারি কার্যক্রমের সাথে সরাসরি যুক্ত বিষগুলোর প্রাথমিক ধারণা যথাযথ উৎস থেকে যথাযথভাবে জেনে নিতে হবে, লেখার ক্ষেত্রেও তার ব্যাত্যয় ঘটানো যাবে না।
  • বর্ণনামূলক প্রশ্নের মূল উত্তরে যাওয়ার আগে সেই প্রশ্নের জন্য নির্ধারিত নম্বরের আলোকে তার প্রাসঙ্গিক আলোচনা করলে ভালো হয়।
  • তথ্য গতানুগতিক বর্ণনায় না দিয়ে এমনভাবে উপস্থাপন করুন, তা যেন অন্যদের থেকে ভিন্ন হয়, তা যেন পরীক্ষকের নিকট পছন্দনীয় হয়।
অধ্যয়নের উৎস:
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পাঠ্য সমাজবিজ্ঞান বা সমাজকর্মের মূলবই।
  • ড. আনু মাহমুদের লেখা ‘বাংলাদেশের এনজিও’ গ্রন্থ।
  • প্রথিতযশা জাতীয় দৈনিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও সাম্প্রতিক কলামসমূহ।
  • সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সরকারি ওয়েবসাইট।
  • বাংলাপিডিয়া ও যেকোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যকোষ।
  • সর্বশেষ সংস্করণের কোনো নির্ভরযোগ্য গাইডবই।
Install Live Written App Button

বিশ্বায়ন ও বাংলাদেশ

গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • বিশ্ব ব্যাংক (গঠন বা সাংগঠনিক কাঠামো, উদ্দেশ্যাবলি, বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক)।
  • আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (IMF) এর গঠন, কার্যাবলি।
  • বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, এডিবি(গঠন, কাঠামো, উদ্দেশ্য, কার্যাবলি)।
  • বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংক, বাংলাদেশ ও আইএমএফ, বাংলাদেশ ও বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা, বাংলাদেশ ও এডিবি।
  • বাংলাদেশের ন্যায় দেশগুলোর প্রেক্ষাপটে আইএমএফের সফলতা ও ব্যর্থতা।
  • বিশ্বায়ন ও বিশ্বায়নের চালিকাশক্তি, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশ্বায়নের প্রভাব।
  • মুক্তবাজার অর্থনীতি এবং এর বৈশিষ্ট্য, বহুজাতিক কোম্পানি এবং এসব কোম্পানির বিভিন্ন শর্তসমুহ।
  • বিশ্বায়ন (পরিচিতি, উৎপত্তি, মূল চালিকা শক্তিসমূহ, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাব)
  • মুক্তবাজার অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য, প্রভাব, ইতিবাচক-নেতিবাচক দিকসমূহ
  • Most Favoured Nation, PTA, FTA.
বিসিএস লিখিত প্রস্তুতির বিশ্বায়ন ও বাংলাদেশ অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • এই অধ্যায়ের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে পর্যাপ্ত পয়েন্ট তৈরি করুন,
  • পয়েন্টের আলোকে প্রাসঙ্গিক তথ্য সম্বলিত সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা প্রদান করুন,
  • বিষয়বস্তুর সাথে প্রাসঙ্গিক সরকারের অবদান ও অর্জনসমূহ উল্লেখ করুন,
  • সম্ভাবনা আলোচনার ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বের প্রাযুক্তিক সম্ভাবনাময় দিকগুলো তথ্যভিত্তিকভাবে তুলে ধরুন।
অধ্যয়নের উৎস:
  • জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত নবম-দশম শ্রেণীর আইসিটি বই।
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ বই।
  • এম এ মজিদের লেখা ‘বিশ্বায়ন প্রবৃদ্ধি ও বৈষম্য’ বই।
  • প্রথিতযশা জাতীয় দৈনিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও সাম্প্রতিক কলামসমূহ।
  • সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সরকারি ওয়েবসাইট।
  • বাংলাপিডিয়া ও যেকোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যকোষ।
  • সর্বশেষ সংস্করণের কোনো নির্ভরযোগ্য গাইডবই।
Install Live Written App Button

বাংলাদেশে লৈঙ্গিক ইস্যু ও উন্নয়ন

গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারী-পুরুষের তুলনামূলক মর্যাদা ও ক্ষমতায়নের গুরুত্ব।
  • নারীর ক্ষমতায়নে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের ভূমিকা, এনজিও’র ভূমিকা ও সরকারের পদক্ষেপসমূহ।
  • নারী ক্ষমতায়নের অন্তরায়, নারী নির্যাতন রোধে সরকারের পদক্ষেপ।
  • সংবিধানে নারীর অধিকার, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নারী, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নারী।
  • বাংলাদেশের আন্দোলন সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নারী।
  • নারী সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ আইনসমূহ।
  • CEDAW সনদ (মূলনীতি, সনদ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অবস্থান)।
  • জেন্ডার বাজেট, জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা-২০১১, নারী পুনর্বাসন ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন, বেইজিং নারী উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা।
বিসিএস লিখিত প্রস্তুতির এই অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • এই অধ্যায়ের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে পর্যাপ্ত পয়েন্ট তৈরি করুন,
  • পয়েন্টের আলোকে প্রাসঙ্গিক তথ্য সম্বলিত সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা প্রদান করুন,
  • বিষয়বস্তুর সাথে প্রাসঙ্গিক সরকারের অবদান ও অর্জনসমূহ উল্লেখ করুন,
  • সম্ভাবনা আলোচনার ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বের প্রাযুক্তিক সম্ভাবনাময় দিকগুলো তথ্যভিত্তিকভাবে তুলে ধরুন।
অধ্যয়নের উৎস:
  • আল মাসুদ হাসানউজ্জামান-এর লেখা ‘বাংলাদেশের নারী বর্তমান অবস্থান ও উন্নয়ন প্রসঙ্গ’ বই।
  • ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদের লেখা ‘মানবকেন্দ্রিক উন্নয়ন ভাবনা ও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ’।
  • প্রথিতযশা জাতীয় দৈনিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও সাম্প্রতিক কলামসমূহ।
  • সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সরকারি ওয়েবসাইট।
  • বাংলাপিডিয়া ও যেকোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যকোষ।
  • সর্বশেষ সংস্করণের কোনো নির্ভরযোগ্য গাইডবই।
Install Live Written App Button

মুক্তিযুদ্ধ ও এর পটভূমি

গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপট (১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত ঘটনাবলি)।
  • মুক্তিযুদ্ধে বিশ্ব শক্তির ভূমিকা (ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন, যুক্তরাষ্ট্র)।
  • বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতি।
  • পূর্ব-পশ্চিম পাকিস্তানে বৈষম্যের স্বরূপ ও বিবরণ।
  • ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, ঘটনাবলি, ফলাফল ও রাজনীতিতে প্রভাব।
  • যুক্তফ্রন্ট ও ১৯৫৪ সালের নির্বাচন, নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়ের কারণ ও ফলাফল।
  • পাকিস্তানের সামরিক শাসন ও সামরিক শাসন বিরোধী বিভিন্ন আন্দোলন।
  • বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, আন্দোলনের ফলাফল ইত্যাদি।
  • ছয়দফা ও ছয়দফা বাস্তবায়নের আন্দোলন, ছয়দফা ইস্যুতে গণ-ঐক্য ও এর গুরুত্ব, প্রভাব, ফলাফল।
  • সত্তরের নির্বাচন ও তার ফলাফল, রাজনৈতিক পরিবর্তনে ফলাফলের ভূমিকা, মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পর্ক ইত্যাদি।
  • মুজিবনগর সরকার গঠন, নেতৃত্ব, মুক্তিযুদ্ধে এর প্রভাব, মুজিবনগর সরকার গঠনের ফলে বহির্বিশ্বে তাঁর প্রভাব ইত্যাদি।
  • মুক্তিযুদ্ধ ও প্রভাব, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বরূপ ও বর্তমান প্রয়োজনীতা ইত্যাদি।
  • পাক-বাহিনীর পরাজয়, বিজয় অর্জন, মুজিবনগর সরকারের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ইত্যাদি।
  • যুদ্ধাপরাধের বিচার (ট্রাইব্যুনাল, তাৎপর্য ও প্রয়োজনীয়তা)।
  • স্বাধীনতার ঘোষণা, গণহত্যা, অপারেশ জ্যাকপট, অপারেশন সার্চলাইট, রায়েরবাজার বধ্যভূমি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ, কনসার্ট ফর বাংলাদেশ, মুক্তিবাহিনী, মুজিব বাহিনী, বীরশ্রেষ্ঠ, বীরউত্তম, বীরপ্রতীক, যৌথ অভিযান, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস, মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ/ বিমান বাহিনী/নৌ-বাহিনী/আঞ্চলিক বাহিনীর অবদান, উল্লেখযোগ্য অপারেশন ইত্যাদি।
বিসিএস লিখিত প্রস্তুতির মুক্তিযুদ্ধ ও এর পটভূমি অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • এই অধ্যায়ের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে তথ্য প্রদানে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করুন এবং তুলনামূলক অপরিচিত তথ্য উপস্থাপনের চেষ্টা করুন।
  • ইতিহাস সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে সালভিত্তিকভাবে বর্ণনা প্রদানের চেষ্টা করুন।
  • বিভিন্ন তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট উদ্ধৃতি প্রদান করুন।
  • তথ্যের সাথে তথ্যসূত্র উল্লেখ করুন।
অধ্যয়নের উৎস:
  • হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র’।
  • মুনতাসির মামুনের লেখা ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস’।
  • মেজর রফিকুল ইসলাম পিএসসি’র লেখা ‘একাত্তরের ভয়াবহ বিশটি যুদ্ধ’।
  • মঈদুল হাসানের লেখা ‘মূলধারা ৭১’।
  • অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের লেখা ‘আমার একাত্তর’।
  • প্রথিতযশা জাতীয় দৈনিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও সাম্প্রতিক কলামসমূহ।
  • সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সরকারি ওয়েবসাইট।
  • বাংলাপিডিয়া ও যেকোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যকোষ।
  • সর্বশেষ সংস্করণের কোনো নির্ভরযোগ্য গাইডবই।
Install Live Written App Button

বিসিএস আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী লিখিত প্রস্তুতি (BCS International Affairs Written Preparation):

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে মোট ৩টি অংশ রয়েছে। সেগুলো হলো-

  • সংক্ষিপ্ত/টিকা (Conceptual Issues)
  • অভিজ্ঞতা/বর্ণনামূলক বিষয় (Empirical Issues)
  • সমস্যা সমাধান (Problem Solving)
বিসিএস আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী লিখিত প্রস্তুতি

(ক) সংক্ষিপ্ত/টিকা (Conceptual Issues)
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি পরিচিতি (Introduction to International Affairs) – এর গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (সংজ্ঞা, প্রকৃতি, পরিধি, বিষয়বস্তু, গুরুত্ব);
  • আন্তর্জাতিক রাজনীতি (পরিধি, বিষয়বস্তু, পাঠের প্রয়োজনীয়তা, নিয়ন্ত্রক উপাদানসমূহ);
  • আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির মধ্যে পার্থক্য;
  • আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তত্ত্ব; আন্তর্জাতিক সম্পর্কে বাস্তববাদ, আচরণবাদ, বহুত্ববাদ ও উদারনীতিবাদ;
  • স্নায়ুযুদ্ধ (পরিচিতি, উৎপত্তির স্বরূপ, কারণসমূহ ও পরবর্তী বিশ্ব পরিস্থিতি);
  • Clash of Civilization, UDHR, CEDAW, Shadow Pandemic, ম্যাগনা কার্টা, ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি প্রভৃতি।
বিশ্বের কারকসমূহ (Actors in the World) – এর গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • আধুনিক রাষ্ট্র (পরিচিতি, প্রকৃতি, উপাদান, উদ্দেশ্য, কার্যাবলি, প্রকারভেদ);
  • রাষ্ট্র (চতুর্থ স্তম্ভ, শ্রেণিবিভাগ);
  • পরিচিতি: বহুজাতিক রাষ্ট্র, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র, নৈতিক রাষ্ট্র, স্যাটেলাইট স্টেট, বাফার স্টেট, ভাসাল রাষ্ট্র, পুতুল রাষ্ট্র, ব্যর্থ রাষ্ট্র, ভঙ্গুর রাষ্ট্র, কল্যাণ রাষ্ট্র;
  • সার্বভৌমত্ব (সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, প্রকারভেদ);
  • পার্থক্য: সরকার ও রাষ্ট্র, ফেডারেশন ও কনফেডারেশন, নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র ও নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র, দেশ-জাতি ও রাষ্ট্র, সার্বভৌমত্ব ও সার্বভৌম সমতা, ডি-জুরি ও ড-ফ্যাক্টো সার্বভৌমত্ব;
  • নন-স্টেট অ্যাক্টরস (সংজ্ঞা, ক্ষমতা ও প্রকারভেদ);
  • বহুজাতিক সংস্থা (সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য);
  • BRICS, ব্রেটন উডস প্রতিষ্ঠানসমূহ, WTO, ASEAN, NAM, IAEA, D-8, Interpol, GCC, CIRDAP, WIPO, UNCTAD, OPEC, ECOSOC, OIC, BIMSTEC, SAARC, আরব লীগ প্রভৃতি ।
ক্ষমতা ও নিরাপত্তা (Power and Security) – এর গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • শক্তি বা ক্ষমতা, শক্তির রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে শক্তি বা ক্ষমতা;
  • জাতীয় শক্তি, জাতীয় শক্তির উপাদানসমূহ;
  • Soft Power, Hard Power, Sharp Power, Super Power; Soft Power, Hard Power এর মধ্যে পার্থক্য;
  • নিরাপত্তা: জাতীয়, অপ্রচলিত, যৌথ বা সমষ্টিগত এবং অ-গতানুগতিক নিরাপত্তা;
  • নিরাপদ আচরণ, জাতি নিধন, মানব নিরাপত্তা, অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক হুমকি;
  • মৈত্রী চুক্তি এবং নিরাপত্তা চুক্তি;
  • ব্যাপক ধ্বংসাত্মক অস্ত্রের বৈশিষ্ট্য, মানব সভ্যতার উপর পারমানবিক অস্ত্রের ব্যবহার;
  • জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা, সন্ত্রাসবিরোধী ইসলামি সামরিক জোট;
  • শক্তি-সাম্য এর কৌশলসমূহ;
  • ছায়া যুদ্ধ, বাফার স্টেট, জোট নিরপেক্ষতা, নিরস্ত্রীকরণ;
  • বিভিন্ন নিরাপত্তা ও নিরিস্ত্রীকরণ চুক্তি – NPT, CTBT, SALT-1, SORT, START-1, NEW START;
  • ভূ-রাজনীতি এবং তার উপাদানসমূহ;
  • সন্ত্রাসবাদ, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, ধর্মীয় সন্ত্রাস প্রভৃতি।
প্রধান প্রধান ধারণা ও মতাদর্শসমূহ (Major Ideas and Ideologies) – এর গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • জাতীয়তাবাদ (সংজ্ঞা, প্রকৃতি, তাৎপর্য, উপাদান, ধরন, বৈশিষ্ট্য);
  • বিশ্বজনীনবাদ, জাতিগত প্রাধান্য, সামাজ্যবাদ, পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশবাদ, নব্য-উপনিবেশবাদ, আধুনিকতাবাদ, উত্তর আধুনিকতাবাদ, পুঁজিবাদ;
  • বিশ্বায়ন (সংজ্ঞা, চালিকাশক্তি, কারণ, ফলাফল);
  • নয়া বিশ্বব্যবস্থা (উৎপত্তির কারণ, স্বরূপ, বৈশিষ্ট্য);
  • স্বল্পোন্নত দেশ, নিম্ন আয়ের দেশ, উন্নয়নশীল দেশ (পরিচিতি, বৈশিষ্ট্য) প্রভৃতি।
বৈদেশিক নীতি ও কূটনীতি (Foreign Policy and Diplomacy) – এর গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • পররাষ্ট্রনীতি (সংজ্ঞা, নিয়ামক, উপাদান, বৈশিষ্ট্য);
  • জাতীয় লক্ষ্য, জাতীয় স্বার্থ (পরিচিতি ও পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নে এদের ভূমিকা);
  • কূটনীতি, বিচ্ছিন্নতা, কূটনীতিকের কাজ, কূটনৈতিক শ্রেণিবিভাগ;
  • ব্যাকচ্যানেল কূটনীতি, দ্বৈত ট্রাক কূটনীতি, গোপন কূটনীতি, জনকূটনীতি, কর্পোরেট কূটনীতি, সফট পাওয়ার কূটনীতি, পিংপং কূটনীতি, গানবোট কূটনীতি, প্রতিরোধ কূটনীতি, সামরিক কূটনীতি, সাংস্কৃতিক কূটনীতি, গণতান্ত্রিক কূটনীতি, ঋণ-ফাঁদ কূটনীতি, ব্যক্তিগত কূটনীতি, নেকড়ে যোদ্ধা কূটনীতি (সংজ্ঞা ও মূল বৈশিষ্ট্য);
  • পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণে সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়া ও এর ধাপসমূহ;
  • হাই কমিশনার ও অ্যাম্বেসেডরের মধ্যে, Embassy & Consulate এর মধ্যে, দাঁতাত ও আঁতাতের মধ্যে পার্থক্য;
  • কূটনৈতিক ব্যাগ, কূটনৈতিক সুরক্ষা;
  • মার্শাল প্লান, সানশাইন পলিসি, আটলান্টিক সনদ, বুশ ডক্ট্রিন, মনরো ডকট্রিন, লুক ইস্ট পলিসি, চিকেন গেম পলিসি, ডমিনো থিউরি, গ্লাসনস্ত ও পেরেস্ত্রেইকা প্রভৃতি।
আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক (International Economic Relations) – এর গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • আন্তর্জাতিক বাণিজ্য (সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, Most Favored Nation);
  • মুক্ত বাণিজ্য, মুক্তবাজার অর্থনীতি (পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি);
  • সংরক্ষণবাদ, বাস্তবায়নের কৌশল;
  • বৈদেশিক সাহায্য, ঋণ সংকট, বৈশ্বিক দারিদ্র্য, বর্তমান বিশ্বে খাদ্য সংকট, উত্তর-দক্ষিণ ব্যবধান;
  • নিষেধাজ্ঞা, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্যিক অবরোধ;
  • অর্থনৈতিক উদারতাবাদ, নয়া অর্থনৈতিক উদারতাবাদ;
  • আঞ্চলিকতাবাদ, আঞ্চলিকীকরণ, ফাংশানিজম, আঞ্চলিক সংহতি, বিশ্বায়ন;
  • এমডিজি, এসডিজি, ৪র্থ শিল্পবিপ্লব, আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন, সমুদ্র অর্থনীতি;
  • কপিরাইট, ডাম্পিং পলিসি, ট্রেডমার্ক, ট্রিপস, ট্যারিফ, বেল্ট এন্ড রোড ইনশিয়েটিভ;
  • করিডোর, ছিটমহল, কার্টেল, কোটা, লাইসেন্স, টিকফা, TFA, Foreign Aid, Debt Crisis, FDI, ট্যাক্স, কাস্টমস, GSP, GST, SDR, Patent, রুলস অব অরিজিন, কৃতীসত্ত্ব, ক্রয়ক্ষমতা (সংজ্ঞা ও পারস্পরিক পার্থক্য) প্রভৃতি।
  • প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট, ট্যাক্স ও কাস্টমস;
  • আমদানি পারমিট, এলসি, মুদ্রানীতি, মুদ্রাস্ফীতি, মুদ্রা সংকোচন, মুদ্রার অবমূল্যায়ন প্রভৃতি।
বৈশ্বিক পরিবেশ (Global Environment) – এর গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • গ্রিন হাউজ ইফেক্ট (কারণ, প্রভাব ও প্রতিকারের উপায়);
  • ওজোন স্তর ক্ষয় (সংজ্ঞা, প্রক্রিয়া);
  • জলবায়ু পরিবর্তন, বৈষ্ণিক উষ্ণায়ন (পরিচিতি, কারণ, প্রতিক্রিয়া ও প্রতিরোধের উপায়);
  • জলবায়ু কূটনীতি, জলবায়ু শরণার্থী (পরিচিতি ও মূলকথা);
  • বিপজ্জনক বর্জ্য ও ই-বর্জ্য;
  • COP-22, COP-26, রিও ঘোষণা, UNFCCC, কিয়োটো প্রটোকল, মন্ট্রিল প্রটোকল, কার্টাগেনা প্রটোকল, বহুপাক্ষিক পরিবেশগত চুক্তি, নবায়নযোগ্য শক্তি, সবুজ অর্থনীতি, গ্রিন পিস।
সংক্ষিপ্ত/টিকা (Conceptual Issues) অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:

এই অংশের প্রশ্নগুলো পরীক্ষায় সাধারণত সংক্ষিপ্ত বা টিকা আকারে আসে। বিসিএসের মূল পরীক্ষায় ১০টি প্রশ্ন উত্তর করতে হয়। প্রতিটি প্রশ্নের মান থাকে ৪; অর্থাৎ এই অংশের জন্য বিসিএসের মূল লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বর বরাদ্দ থাকে।

  • এই অংশের প্রশ্নগুলো সাধারণত টিকা বা সংক্ষিপ্ত আকারে উত্তর করতে হবে। যেহেতু সংক্ষিপ্ত আকারে লিখতে হবে, তাই To the Point – এ লেখাটাই উত্তম। একটি প্রশ্নের উত্তর কম বেশি ২ পেজের মধ্যে লেখার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত তথ্য দিয়ে পেজ বাড়ানো হলে সেটা পরীক্ষকের জন্য বিরক্তিকর হওয়ার কারণ হতে পারে।
  • এই অংশের প্রশ্নগুলো বেশিরভাগই তাত্ত্বিক। তাই বিভিন্ন লেখকের প্রামাণ্য সংজ্ঞাসহ টপিকের বিষয়গুলোর উত্তর লিখতে হবে। গোছানো ও সুন্দরভাবে লিখতে পারলে ৩২-৩৫ নম্বর পাওয়া সম্ভব। সেজন্য অবশ্যই বিভিন্ন রেফারেন্স ঘেঁটে তথ্যবহুল নোট করে রাখতে হবে। এতে সহজেই রিভিশন দেওয়া সম্ভব হবে।
Install Live Written App Button

(খ) অভিজ্ঞতা/বর্ণনামূলক বিষয় (Empirical Issues)

বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি জাতিসংঘ (The United Nations System) অংশের গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • জাতিসংঘ (গঠনের পটভূমি, কার্যাবলি, সাফল্য ও ব্যর্থতা, মহাসচিবের ক্ষমতা ও কার্যাবলি);
  • জাতিসংঘের সনদ অনুসারে নিরাপত্তা পরিষদের গঠন ও মূল দায়িত্ব;
  • জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের সাফল্য ও বাংলাদেশের অংশগ্রহণ;
  • আন্তর্জাতিক আদালত (গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি);
  • পরিবেশগত এজেন্ডা, মানবাধিকার এজেন্ডা;
  • শরণার্থী সংকট মোকাবেলায়, নারীর ক্ষমতায়নে ও আন্তর্জাতিক বিরোধ মীমাংসায় জাতিসংঘের ভূমিকা।
বিসিএস লিখিত ক্ষমতাধর রাষ্ট্রসমূহের বৈদেশিক সম্পর্ক (Foreign Relations of Major Powers) অংশের গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • যুক্তরাষ্ট্র ও চীন (সম্পর্ক, বাণিজ্য যুদ্ধ, দক্ষিণ চীন সাগরকে কেন্দ্র করে বিরোধিতা);
  • চীন ও ভারতের সম্পর্ক;
  • চীন-তাইওয়ান নীতি;
  • ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান;
  • BRI, One Belt One Road;
  • বর্তমান বাইডেন প্রশাসনের পরিবর্তনের ইস্যুসমূহ।
বৈশ্বিক উদ্যোগ ও প্রতিষ্ঠানসমূহ (Global Initiatives and Institutions) অংশের গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (উৎপত্তি, বিকাশ, কার্যক্রম, নীতিমালা ও ভূমিকা);
  • বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (উৎপত্তি, বিকাশ, কার্যক্রম, নীতিমালা ও ভূমিকা);
  • এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (উৎপত্তি, বিকাশ, কার্যক্রম, নীতিমালা ও ভূমিকা);
  • ব্রিকস, আইডিবি, AIIB, NDB;
  • জি-৭, জি-২০, জি-৭৭ (উৎপত্তি, বিকাশ, কার্যক্রম);
  • কিয়োটা প্রটোকল চুক্তি, জলবায়ু পরিবর্তনে কপ (COP) এর পদক্ষেপ প্রভৃতি।
আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানসমূহ (Regional Institutions) অংশের গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • সার্ক (অবদান, সাফল্য-ব্যর্থতা, সনদ পরিবর্তনে পরামর্শ ও বর্তমান অবস্থা);
  • ন্যাম (গঠন, কার্যক্রম, অবদান ও কার্যকর করার জন্য পরামর্শ);
  • ইউরোপীয় ইউনিয়ন (বিকাশ ও সম্প্রসারণ);
  • ও আই সি (গঠন, কার্যাবলি, মুসলমানদের স্বার্থরক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা);
  • ওপেক (গঠন, পটভূমি, উদ্দেশ্য, অবদান ও সম্ভাবনা);
  • ASEAN, BIMSTEC, EU, ASEAN, APEC, AU, GCC, Common Wealth, RCEP (গঠন, উদ্দেশ্য, কার্যক্রম, সাফল্য-ব্যর্থতা);
  • NATO (উদ্দেশ্য ও কার্যপ্রণালি);
  • দক্ষিণ এশীয় বাণিজ্য চুক্তি: SAPTA, SAFTA;
  • AFTA ও অন্যান্য আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ও সহযোগীতা চুক্তি প্রভৃতি।

(উপরোল্লিখিত সংস্থাসমূহের গঠন এবং উদ্দেশ্য, কার্যক্রম, বিভিন্ন পদক্ষেপ। আঞ্চলিক বাণিজ্য, সংহতি ও শান্তি রক্ষায় বা বিভিন্ন চুক্তিতে এদের ভূমিকা, কৌশল, সাম্প্রতিক ইস্যু ইত্যাদি বিশ্লেষণমূলকভাবে উপস্থাপন)

বিশ্বের প্রধান ইস্যু ও দ্বন্দ্বসমূহ (Major Ideas and Conflicts in the World):
  • মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে ইরান ও সৌদি আরবের প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণ, প্রভাব, ফলাফল ও এতে মার্কিন ও রাশিয়ার ভূমিকা;
  • অভিবাসন ও উন্নয়ন (সিরিয়া সংকটের প্রেক্ষিতে);
  • ইরানের পারমাণবিক শক্তি অর্জনের প্রচেষ্টা ও বর্তমান অবস্থা;
  • কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত বনাম পাকিস্তান;
  • মধ্যপ্রাচ্যের কুর্দি সমস্যা, ভূরাজনীতিতে মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্ব, মধ্যপ্রাচ্য সংকট।
  • ফিলিস্তিন-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব; (যুক্তরাষ্ট্র-জাতিসংঘের ভূমিকা, ওআইসির ভূমিকা)
  • আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার, তালেবান সরকারের উত্থান ও প্রভাব;
  • যুক্তরাষ্ট্র-চীন মুখোমুখি (উত্তর কোরিয়া সংকট প্রেক্ষিত);
  • ডোকলাম ইস্যুতে মুখোমুখি চীন-ভারত;
  • দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাজনীতি, আরব বিশ্বের পরিস্থিতি, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের সংকট।
  • তুরস্কের উত্থান, উত্তর কোরিয়া সংকট; আইক্যান (ICAN) এর গঠন, উদ্দেশ্য;
  • চীনের প্রভাব রোধে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে আইএসপি গ্রহণ।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি (Politics in South Asia) অংশের গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক সংকট;
  • রোহিঙ্গা সমস্যা, বাংলাদেশ-মায়ানমার দ্বিপাক্ষিক সমস্যা;
  • বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক (পানি বণ্টন, এশিয়ান হাইওয়ে);
  • ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: দক্ষিণ এশিয়ায় এর প্রভাব;
  • দক্ষিণ এশিয়ায় জ্বালানি সংকট;
  • দক্ষিণ এশিয়ায় ভূখন্ডগত সমস্যা, জাতি গঠনের সমস্যা, ধর্মীয় উগ্রবাদিতা, শান্তি ও নিরাপত্তার হুমকিসমূহ।
  • ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক;
  • এশিয়ান হাইওয়ে, বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডোর;
  • বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানা বিরোধ;
  • ভারত মহাসগরের কৌশলগত গুরুত্ব প্রভৃতি।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ (Bangladesh in International Affairs) অংশের গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ, অর্থনৈতিক কূটনীতি
  • ভূ-রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বঙ্গোপসাগরের গুরুত্ব
  • বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের সমস্যা ও সম্ভাবনা
  • বিদেশের বাজারে দক্ষ জনশক্তি প্রেরণ (প্রয়োজনীয়তা, ভূমিকা ও কৌশল)
  • আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ, অর্জন ও সম্ভাবনা
  • বাংলাদেশ-চীন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশ, বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ।
অভিজ্ঞতা/বর্ণনামূলক বিষয় (Empirical Issues) অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:

এই অংশে মূল পরীক্ষায় ৪টি প্রশ্ন থাকে যার মধ্যে ৩টি প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। প্রতিটি প্রশ্ন ১৫ নম্বর করে মোট ৪৫ নম্বর।

  • বর্ণনামূলক অংশের উত্তর করার জন্য অবশ্যই প্রচুর লিখতে হয়। তাই এই অংশের প্রশ্নগুলোর জন্য পরীক্ষার্থীর অবশ্যই Free Handwriting – এ দক্ষতা থাকা আবশ্যক। এই দক্ষতা অর্জনের জন্য নিয়মিত ৩/৪ পৃষ্ঠা লেখার অনুশীলন করতে হবে। কেউ যদি টানা ২ মাস এই অনুশীলন করে, তার Free Handwriting – এ দক্ষতার উন্নতি হতে বাধ্য।
  • Free Handwriting – এ দক্ষতার পাশাপাশি সলিড তথ্যের সুন্দর উপস্থাপনা আপনাকে অন্যান্য পরীক্ষার্থী থেকে এগিয়ে দিবে। তথ্য উপস্থাপনের জন্য বিভিন্ন ছক, টেবল, চিত্র ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। উক্ত বিষয়গুলো সহকারে উত্তরপত্রে উপস্থাপনা করলে তা আলাদাভাবে পরীক্ষকের নজর কাড়বে যা আপনাকে অন্যান্য পরীক্ষার্থী থেকে এগিয়ে রাখবে।
  • উল্লেখ্য, ছকে উপস্থাপিত বিষয়গুলোতে তথ্যগত ভুল যাতে না থাকে সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
Install Live Written App Button

(গ) সমস্যা সমাধান (Problem Solving)

এই অংশে ১টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়, যার জন্য ১৫ নম্বর বরাদ্দ থাকে।

গুরুত্বপূর্ণ টপিক সমূহ:
  • রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশের করণীয়;
  • ভারত ও মায়ানমারের সাথে সমুদ্রবিরোধ নিষ্পত্তি;
  • পাকিস্তানের নিকট থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে করনীয়;
  • ভারতীয়-বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যাকান্ড বন্ধে করণীয়;
  • কোভিড পরবর্তী বিশ্ব-অর্থনৈতিক পরিস্থিতি: বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ;
  • মেগাপ্রকল্পে বড় অংকের আমদানি বাণিজ্য ঘাটতির কারণ;
  • চীন-ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের টানাপোড়েন;
  • এলডিসি থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রাপ্তি: সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জসমূহ;
  • চলমান জ্বালানি সংকট: দক্ষিণ এশীয় ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট;
  • রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব;
  • ন্যাটোর সম্প্রসারণ;
  • চীন বা ভারতের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য করণীয়;
  • জলবায়ু সমস্যা সমাধানে করণীয়;
  • মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কট সমাধানে করণীয়;
  • আফগানিস্তান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির কৌশল ইত্যাদি।
বিসিএস লিখিত প্রস্তুতিতে সমস্যা সমাধান (Problem Solving) অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • ৩৫তম-৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সমস্যা সমাধান অংশের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, নীতিপত্র তৈরি, কর্মপরিকল্পনা তৈরি, সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ প্রভৃতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।
  • এই অংশে বর্তমান বিশ্বে চলমান কোনো সমস্যা সমাধান অথবা বাংলাদেশের জাতীয় কোনো বিষয় যা কিনা আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন এমন ইস্যু সমাধান নিয়ে প্রশ্ন হতে পারে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান, বিভিন্ন সমস্যা, চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা প্রভৃতি সম্পর্কে বিশদভাবে পড়বেন।
  • এই অংশে আপনার বিশ্লেষণাত্মক ক্ষমতা, সমস্যা সমাধানে পারদর্শিতা যাচাই করা হয়। রাষ্ট্র বা সরকারের প্রতিনিধি হয়ে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য করণীয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।
  • এই অংশে বাংলাদেশ সম্পর্কিত প্রশ্নই বেশি আসে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান, বিভিন্ন সমস্যা, চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা প্রভৃতি সম্পর্কে বিশদভাবে পড়বেন।
  • এই অংশে কমন পাওয়ার সম্ভাবনা কম। সমসাময়িক বিষয়াবলি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা রাখতে হবে।
  • এই অংশে ভালো করার জন্য নিয়মিত পত্রিকা পড়ার বিকল্প নেই। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ও গবেষকদের লেখা বিভিন্ন আর্টিকেল বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। । এছাড়া গুরত্বপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিক সম্পাদকীয় কলাম পড়বেন। সেগুলো সংগ্রহ করে মূল বিষয়গুলো নোট করে রাখতে পারেন।
  • এই অংশের জন্য আন্তর্জাতিক কোনো সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানাটা জরুরি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কূটনীতি সম্পর্কে বিশদ ধারণা রাখতে হবে। ২/৩টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধান প্রক্রিয়া নিয়ে মডেল সমাধান নোট করে রাখলে ভালো হয়।
  • সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে অবশ্যই আগে সমস্যার প্রেক্ষাপট, কারণ, বর্তমান পরিস্থিতি, আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর অবস্থান – ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করা জরুরি। সমাধানের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের অবস্থান বা সুপারিশ, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সংস্থার সুপারিশ, বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান ও সুপারিশ এবং সবশেষে নিজের ব্যক্তিগত মতামত থাকতে হবে।
Install Live Written App Button

বিসিএস গণিত লিখিত প্রস্তুতি (BCS Math Written Preparation):

বিসিএস লিখিত পরীক্ষার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গণিত। গণিত অনেকের কাছেই আতঙ্কের নাম, আবার অনেকেই খুবই পছন্দ করেন। এটা সত্যি যে, গণিতে ভালো করলে অন্যান্য পরীক্ষার বিষয়ে একটা ভালো রকম আত্মবিশ্বাস চলে আসে। এই বিষয়ে যারা অন্যদের তুলনায় ১৫-২০ নম্বরে এগিয়ে যায়, তারা কাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণে কিছুটা হলেও সুবিধা পেয়ে থাকেন যা আলাদাভাবে বলাটা বাঞ্জনীয় নয়। তবে, অনেকেই গণিতে পিছিয়ে পড়েও অন্যান্য বিষয়ে ভালো করে এই বিষয়ের ঘাটতি পুষিয়ে দিতে পারেন।

গাণিতিক যুক্তি অংশে ১২টি প্রশ্ন থাকে, যার মধ্যে ১০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। অথবা কোনো বিকল্প নাও থাকতে পারে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ৫ নম্বর করে মোট ৫০ নম্বর। কয়েকটি প্রশ্নের সাব-প্রশ্ন ক, খ এভাবে থাকতে পারে। মোট সময় বরাদ্দ ২ ঘণ্টা।

বিসিএস গণিত লিখিত প্রস্তুতি
বিসিএস লিখিত গাণিতিক যুক্তি – এর গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  1. পাটিগণিত ও বীজগণিতীয় সরলীকরণ।
  2. ঐকিক নিয়ম, গড়, সরল ও যৌগিক মুনাফা, শতকরা, অনুপাত-সমানুপাত, লাভ-ক্ষতি, ল.সা.গু ও গ.সা.গু।
  3. বীজগণিতীয় সূত্রাবলি, বহুপদীর উৎপাদকে বিশ্লেষণ, একঘাত ও দ্বিঘাত সমীকরণ, একঘাত ও দ্বিঘাত অসমতা।
  4. দুই ও তিনচলক বিশিষ্ট রৈখিক সমীকরণ পদ্ধতি।
  5. সূচক ও লগারিদম।
  6. সমান্তর ও গুনোত্তর ধারা, অনুক্রম।
  7. রেখা, কোণ ও ত্রিভুজ সম্পর্কিত উপপাদ্য, পিথাগোরাসের উপপাদ্য, বৃত্ত সম্পর্কীয় উপপাদ্য ও অনুসিদ্ধান্ত।
  8. ক্ষেত্রফল সম্পর্কীত উপপাদ্য, পরিমিতি, সরলক্ষেত্র ও ঘনবস্তু।
  9. স্থানাঙ্ক জ্যামিতি: দূরত্ব ও সরলরেখার সমীকরণ।
  10. ত্রিকোণমিতিক অনুপাত, দূরত্ব ও উচ্চতাবিষয়ক সমস্যা।
  11. সেটের সূত্র ও ভেনচিত্র।
  12. গণনার মূলনীতি: বিন্যাস, সমাবেশ ও সম্ভাব্যতা।
১। পাটিগণিত ও বীজগণিতীয় সরলীকরণ – অংশের ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • ৩৫তম বিসিএসের পূর্বে পাটিগণিতীয় সরল থেকে নিয়মিত অংক আসতো। বর্তমানে এখান থেকে কম প্রশ্ন আসছে, তবে ৪৪তম বিসিএসে এই অধ্যায় থেকে প্রশ্ন এসেছে। তাই যেকোন বিসিএসে এখান থেকে প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
  • যারা গণিতে ভালো তারা সরলের ব্যাসিকটা জেনে নিলেই আশা করি পরীক্ষার হলে সরলের প্রশ্ন আসলে সমাধান করতে পারবেন।
  • এই অধ্যায়ে ভালো করার জন্য সরলের ব্যাসিক নিয়ম, রেখা বন্ধনী, BODMAS এবং ভগ্নাংশের যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ এর ব্যবহার ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।
  • তাছাড়া আবৃত ভগ্নাংশ/পৌনঃপুনিক দশমিককে সামান্য ভগ্নাংশে পরিবর্তন করার নিয়ম জানতে হবে।
অধ্যয়নের উৎস:
  • ৬ষ্ঠ শ্রেণির গণিত বই (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ১ এর অনুশীলনী ১.৫ এবং উদাহরণ। সরলের ব্যাসিক নিয়ম এই অধ্যায়ে পাবেন।
  • ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ১ থেকে আবৃত ভগ্নাংশ/পৌনঃপুনিক দশমিককে সামান্য ভগ্নাংশে পরিবর্তন করার নিয়ম পড়বেন। এখানে বিস্তারিত দেওয়া আছে।
  • সর্বশেষ সংস্করণের নির্ভরযোগ্য যেকোনো গাইডবই।
২। ঐকিক নিয়ম, গড়, সরল ও যৌগিক মুনাফা, শতকরা, অনুপাত-সমানুপাত, লাভ-ক্ষতি, ল.সা.গু ও গ.সা.গু – অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • ঐকিক নিয়ম থেকে ৩৫তম বিসিএস থেকে তুলনামূলক কম প্রশ্ন আসে। ঐকিক নিয়ম থেকে ৪০তম এবং ৪১তম বিসিএসে ১টা করে প্রশ্ন এসেছে। ঐকিক নিয়ম থেকে কাজ ও সময়, নল ও চৌবাচ্চা, নৌকা ও ট্রেন এবং দূরত্ব বিষয়ক সমস্যা থেকে প্রশ্ন আসতে পারে।
  • সরল ও যৌগিক মুনাফা অধ্যায়টি তুলনামূলক গুরত্বপূর্ণ। এই অধ্যায় থেকে প্রায় বিসিএসেই প্রশ্ন আসে। সরল মুনাফার ব্যাসিক সূত্রাবলি এবং যৌগিক মুনাফা বের করার ক্ষেত্রে ত্রৈমাসিক, ষাণ্মাসিক প্রভৃতির সূত্রাবলির প্রয়োগ জানতে হবে।
  • শতকরা থেকে বর্তমানে কম প্রশ্ন আসছে, তবে গণিতে ভালো করার জন্য শতকরা জানার বিকল্প নেই। তাই অবশ্যই শতকরা সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে।
  • লাভ-ক্ষতি অধ্যায়টি বিসিএস লিখিত পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। এই অধ্যায়টি অবশ্যই ভালোভাবে অনুশীলন করা উচিত।
  • অনুপাত-সমানুপাত অধ্যায়টি পাটিগণিত ও বীজগণিতে থাকলেও কিছুটা কম গুরত্বপূর্ণ। তবে যেহেতু এই অধ্যায়টি গণিতের ব্যাসিক অধ্যায়ের মধ্যে পড়ে, তাই এই অধ্যায়ের সাধারণ নিয়মগুলো জেনে যাওয়া উচিত।
  • গড়, ল.সা.গু এবং গ.সা.গু কম গুরুত্বপূর্ণ টপিক। এগুলোর ব্যাসিক নিয়মগুলো জেনে রাখবেন।
অধ্যয়নের উৎস:
  • ঐকিক নিয়ম ৬ষ্ঠ শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ২.৩, ৭ম শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ২.৩, ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (১৯৮৩ সংস্করণ) অধ্যায় – ২ থেকে পড়বেন।
  • সরল ও যৌগিক মুনাফা ৮ম শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ২.১ এবং ২.২, ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৩.৫, ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (১৯৮৩ সংস্করণ) অধ্যায় – ৪.৩ থেকে পড়বেন।
  • শতকরা ৬ষ্ঠ শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ২.২, ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (১৯৮৩ সংস্করণ) অধ্যায় – ৪ থেকে পড়বেন।
  • লাভ-ক্ষতি ৭ম শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ২.২, ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৩.৫, ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (১৯৮৩ সংস্করণ) অধ্যায় – ৪.২ থেকে পড়বেন।
  • অনুপাত-সমানুপাত ৬ষ্ঠ শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ২.১, ৭ম শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ২.১, ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (১৯৮৩ সংস্করণ) অধ্যায় – ৩ থেকে পড়বেন।
  • সর্বশেষ সংস্করণের নির্ভরযোগ্য যেকোনো গাইডবই।
৩। বীজগণিতীয় সূত্রাবলি, বহুপদীর উৎপাদকে বিশ্লেষণ, একঘাত ও দ্বিঘাত সমীকরণ, একঘাত ও দ্বিঘাত অসমতা – অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • বীজগাণিতিক সূত্রাবলি এবং বহুপদী উৎপাদকে বিশ্লেষণ খুবই গুরত্বপূর্ণ অধ্যায়। প্রতিটি বিসিএসেই এখান থেকে প্রশ্নে এসেছে। তাই এই টপিকের ব্যাসিক থেকে শুরু করে ডিপ সব ধরনের অংক সমাধান করার দক্ষতা থাকতে হবে। বীজগণিতের সকল সূত্রাবলি মুখস্থ রাখতে হবে এবং সূত্রাবলির প্রয়োগ জানতে হবে।
  • একঘাত ও দ্বিঘাত সমীকরণ থেকে নিয়মিত প্রশ্ন আসে। এই অংশটি ভালোভাবে অনুশীলনের বিকল্প নেই। সমীকরণের প্রকৃতি জানার জন্য আদর্শ দ্বিঘাত সমীকরণের সমাধানের সূত্র, নিশ্চায়কের সূত্রের ব্যবহার ও প্রয়োগ জানতে হবে।
  • একঘাত ও দ্বিঘাত অসমতা কিছুটা কম গুরত্বপূর্ণ অধ্যায়। ৩৫তম এবং ৪৪তম বিসিএসে এখান থেকে ১টি করে প্রশ্ন এসেছে। এ অধ্যায়ের ক্ষেত্রে অসমতা সমাধানের ব্যাসিক নিয়মগুলো জেনে যাবেন। অসমতার প্রশ্নে শর্ত উল্লেখ থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে শর্তগুলোকে ভালোভাবে বিবেচনা করে সমাধান করবেন।
অধ্যয়নের উৎস:
  • বীজগাণিতিক সূত্রাবলি এবং বহুপদী উৎপাদকে বিশ্লেষণ ৬ষ্ঠ শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৩; ৭ম শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৪, ৫ এবং ৬; ৮ম শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৪ এবং ৫; ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৩; ৯ম-১০ম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ২; ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (২০০২ সংস্করণ) অধ্যায় – ৩; ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (১৯৮৩ সংস্করণ) অধ্যায় ২, ৩ এবং ৪ থেকে পড়বেন।
  • একঘাত ও দ্বিঘাত সমীকরণ ৬ষ্ঠ শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৫; ৭ম শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৭; ৮ম শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৬; ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৫; ৯ম-১০ম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৫; ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (১৯৮৩ সংস্করণ) অধ্যায় ৭ এবং ৮ থেকে পড়বেন।
  • একঘাত ও দ্বিঘাত অসমতা ৯ম-১০ম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৬; ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (১৯৮৩ সংস্করণ) অধ্যায় ১০ থেকে পড়বেন।
  • সর্বশেষ সংস্করণের নির্ভরযোগ্য যেকোনো গাইডবই।
৪। সূচক ও লগারিদম – অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • সূচক এবং লগারিদম থেকে প্রায়ই লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে। সূচক এবং লগারিদম মিলিয়ে একসেট প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা বেশি।
  • লিখিত পরীক্ষার জন্য এটা ভালোভাবে প্রস্তুতি নিলে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়ে যাবে।
  • সূচক এবং লগারিদমের সূত্রাবলি ভালোভাবে মুখস্থ রাখতে হবে এবং প্রয়োগ জানতে হবে।
  • এই অধ্যায়ে সরাসরি বই থেকে কমন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
অধ্যয়নের উৎস:
  • সূচক এবং লগারিদম ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৪; ৯ম-১০ম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৯; ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (১৯৮৩ সংস্করণ) অধ্যায় – ৬ থেকে পড়বেন।
  • সর্বশেষ সংস্করণের নির্ভরযোগ্য যেকোনো গাইডবই।
৫। সমান্তর ও গুণোত্তর ধারা, অনুক্রম – অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • ৩৫তম বিসিএস থেকে নতুন প্রণীত সিলেবাস অনুসারে এই অধ্যায় থেকে প্রায় প্রতি বিসিএসেই প্রশ্ন এসেছে। 
  • তবে এই অধ্যায় থেকে সমান্তর ধারার প্রশ্ন বেশি এসেছে। গুণোত্তর ধারা থেকে বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় এখনো প্রশ্ন আসে নি। তাই যেকোন বিসিএসেই এখন গুণোত্তর ধারা থেকে প্রশ্ন চলে আসার সম্ভাবন রয়েছে। সুতরাং, সমান্তর ও গুণোত্তর উভয় ধারাই সমান গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। 
  • সমান্তর ও গুণোত্তর ধারার সকল সূত্রাবলি মুখস্ত রাখতে হবে এবং প্রয়োগ জানতে হবে।
  • অসীমতক সমষ্টির নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সাধারণ অনুপাত ও উল্লিখিত শর্ত লক্ষ্য রেখে সমাধান করতে হবে।
  • কিছু কিছু পৌনঃপুনিক থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে আবৃত ভগ্নাংশের ব্যবহার ও প্রয়োগ জেনে যাবেন।
অধ্যয়নের উৎস:
  • সমান্তর ও গুণোত্তর ধারা ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ১৩; ৯ম-১০ম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৭ থেকে পড়বেন।
  • সর্বশেষ সংস্করণের নির্ভরযোগ্য যেকোনো গাইডবই।
৬। রেখা, কোণ ও ত্রিভুজ সম্পর্কিত উপপাদ্য, পিথাগোরাসের উপপাদ্য, বৃত্ত সম্পর্কীয় উপপাদ্য ও অনুসিদ্ধান্ত – অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • জ্যামিতি থেকে প্রায় প্রতি বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় এক অথবা দুই সেট প্রশ্ন আসে।
  • জ্যামিতিতে ভালো করার জন্য জ্যামিতির ব্যাসিক বিষয়গুলো যেমন: বিভিন্ন ধরনের রেখা, কোণ, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, ট্রাপিজিয়াম, বৃত্ত প্রভৃতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখতে হবে।
  • বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপপাদ্য প্রমান করতে বলা হয়। উপপাদ্যগুলো মাধ্যমিক গণিত এবং উচ্চতর গণিত বই থেকে সরাসরি সম্ভাবনা রয়েছে। অধ্যায় শেষে অনুশীলনীর সমস্যাগুলোও সমাধান করবেন।
  • ত্রিভুজ সংক্রান্ত উপপাদ্য, পিথাগোরাসের উপপাদ্য, পিথাগোরাসের উপপাদ্য সম্পর্কিত প্রমান এবং বৃত্ত সম্পর্কিত উপপাদ্যগুলো পড়বেন। 
অধ্যয়নের উৎস:
  • জ্যামিতি ৮ম শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৬, ৮, ৯ এবং ১০; ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৬, ১৪ এবং ১৫; ৯ম-১০ম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৩ থেকে পড়বেন।
  • সর্বশেষ সংস্করণের নির্ভরযোগ্য যেকোনো গাইডবই।
Install Live Written App Button
৭। ক্ষেত্রফল সম্পর্কিত উপপাদ্য, পরিমিতি – সরলক্ষেত্র ও ঘনবস্তু – অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • লিখিত পরীক্ষার অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় পরিমিতি। প্রায় প্রতি বিসিএসে পরিমিতি থেকে প্রশ্ন আসে।
  • পরিমিতিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমে অংশে রয়েছে সরলক্ষেত্র (যেমন- ত্রিভুজ, আয়তক্ষেত্র, বর্গক্ষেত্র, রম্বস, সামান্তরিক, ট্রাপিজিয়াম প্রভৃতি) এবং দ্বিতীয় অংশে ঘনবস্তু (যেমন: ঘনক, কোণক, গোলক, বেলন, সিলিন্ডার, পিরামিড, প্রিজম প্রভৃতি)।
  • পরমিতিতে ভালো করতে হলে সরলক্ষেত্র এবং ঘনবস্তুসমূহের ক্ষেত্রফল ও অন্যান্য সূত্রগুলো মুখস্ত রাখতে হবে।
অধ্যয়নের উৎস:
  • পরিমিতি ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ১৫ এবং ১৬; ৯ম-১০ম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ১৩ থেকে পড়বেন।
  • সর্বশেষ সংস্করণের নির্ভরযোগ্য যেকোনো গাইডবই।
৮। স্থানাঙ্ক জ্যামিতি: দূরত্ব ও সরলরেখার সমীকরণ – অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • ৩৫তম বিসিএস থেকে এই অধ্যায়টি সিলেবাসে নতুন অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর থেকে প্রতি বিসিএসেই প্রশ্ন এসেছে। তাই এই অধ্যায়টি গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।  
  • নন-সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের পরীক্ষার্থীদের জন্য এই অধ্যায়টি কিছুটা জটিল মনে হতে পারে। তবে বুঝে বুঝে মাধ্যমিক উচ্চতর গণিত বইয়ের স্থানাঙ্ক জ্যামিতি অধ্যায়টা করতে পারলে আশা করা যায় ভালো করবেন।
  • বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিক গণিত বইয়ের সরলরেখা অধ্যায়টি পড়তে পারেন।
  • দুইটি বিন্দুর মধ্যবর্তী দূরত্ব নির্ণয়, স্থানাঙ্ক ব্যবহার করে দৈর্ঘ্য নির্ণয়ের মাধ্যমে সমকোণী, সমবাহু, সমদ্বিবাহু, আয়ত, বর্গ, সামান্তরিক, রম্বস ইত্যাদি ক্ষেত্রের প্রমাণ এবং ক্ষেত্রফল নির্ণয় প্রভৃতি প্রশ্ন আসতে পারে। 
  • সরলরেখার ঢাল নির্ণয় এবং সমরেখ সম্পর্কিত গাণিতিক সমস্যার সমাধান নির্ণয় প্রভৃতি প্রশ্ন আসতে পারে। 
  • দুইটি বিন্দুগামী সরলরেখার সমীকরণ নির্ণয়, কয়েকটি সরলরেখার সমবিন্দু হবার নিয়মের সমস্যাসমূহ, দুইটি সরলরেখা সমান্তরাল ও লম্ব হবার শর্ত ইত্যাদি সম্পর্কিত সমস্যাসমূহ জেনে যাবেন। 
  • স্থানাঙ্ক জ্যামিতি সমাধানের সময় অক্ষদ্বয় উল্লেখ করে সঠিক চিত্র উপস্থাপনের চেষ্টা করতে হবে। 
অধ্যয়নের উৎস:
  • স্থানাঙ্ক জ্যামিতি ৯ম-১০ম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ১১; একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির গণিত ১ম পত্রের অধ্যায় – ৩ থেকে পড়বেন।
  • সর্বশেষ সংস্করণের নির্ভরযোগ্য যেকোনো গাইডবই।
৯। ত্রিকোণমিতিক অনুপাত, দূরত্ব ও উচ্চতাবিষয়ক সমস্যা – অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • ত্রিকোণমিতি থেকে নতুন সিলেবাস অনুসারে প্রায় প্রতি বিসিএসেই প্রশ্ন আসে। 
  • ত্রিকোণমিতিক অনুপাতের মধ্যে সম্পর্কসমূহ এবং সূত্রসমূহ মুখস্থ করতে হবে।
  • বিভিন্ন ত্রিকোণমিতিক অনুপাতের (0, 30, 45, 60, 90) ডিগ্রীর মানগুলো মুখস্থ রাখতে হবে। 
  • উন্নতি কোণ, অবনতি কোণ, দূরত্ব, উচ্চতা সম্পর্কিত সমস্যাসমূহের বিশেষভাবে সমাধান করতে হবে।
  • বোর্ড বইয়ের এই অধ্যায়ের সমস্যা সমূহের সমাধান করতে হবে। 
অধ্যয়নের উৎস:
  • ত্রিকোণমিতি ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৯ এবং ১০; ৯ম-১০ম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৮ থেকে পড়বেন।
  • সর্বশেষ সংস্করণের নির্ভরযোগ্য যেকোনো গাইডবই।
১০। সেটের তত্ত্ব ও ভেনচিত্র – অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • সেট ও ভেনচিত্র গুরত্বপূর্ণ অধ্যায়, প্রায় প্রতি বিসিএসেই এখান থেকে প্রশ্ন আসে।
  • সেট প্রকাশের পদ্ধতি, সেটের বিভিন্ন অপারেশন, বিভিন্ন সেটের সংজ্ঞা, ডোমেইন রেঞ্জ নির্ণয়, কার্তেসীয় গুণজ, ক্রমজোড়ের সূত্র, ডি মরগ্যান এর সূত্র সম্পর্কিত সমস্যাসমূহ দেখবেন। 
  • ভেনচিত্র সম্পর্কিত সমস্যাসমূহ পড়ে যাবেন।
অধ্যয়নের উৎস:
  • সেট ৮ম শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৭; ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ২; ৯ম-১০ম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ১ থেকে পড়বেন।
  • সর্বশেষ সংস্করণের নির্ভরযোগ্য যেকোনো গাইডবই।
১১। গণনার মূলনীতি: বিন্যাস, সমাবেশ ও সম্ভাব্যতা – অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • ৩৫তম বিসিএস থেকে এই অধ্যায়টি সংযোজন করা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি বিসিএসেই এই অধ্যায় থেকে প্রশ্ন এসেছে।
  • এই অধ্যায়টি মাধ্যমিক সাধারণ গণিত বইয়ে না থাকার ফলে নন-সায়েন্স পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছুটা জটিল মনে হতে পারে। অধ্যায়টি তুলনামূলক জটিল। তাই এই অধ্যায়ে ভালো করতে হলে অধিক অনুশীলনের বিকল্প নাই। এ অধ্যায়ের ব্যাসিক ভালোভাবে জেনে যাবেন।
  • বিন্যাস, সমাবেশ, সম্ভাব্যতা, বিন্যাস সমাবেশের মিশ্রিত সমস্যা সমাধান করে যেতে হবে। 
অধ্যয়নের উৎস:
  • বিন্যাস, সমাবেশ ও সম্ভাব্যতা ৯ম-১০ম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ১৪; একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির গণিত ১ম পত্র বইয়ের অধ্যায় – ৫ এবং ২য় পত্রের অধ্যায় – ১০ থেকে পড়বেন।
  • সর্বশেষ সংস্করণের নির্ভরযোগ্য যেকোনো গাইডবই।
বিসিএস লিখিত গণিত পরীক্ষায় ভালো করার জন্য কিছু সাধারণ দিক নির্দেশনা:
  • সংশ্লিষ্ট টপিক সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা গ্রহণ করা। যেমন: সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, ব্যাসিক ইত্যাদি সম্পর্কে জানা।
  • সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের গাণিতিক সূত্রাবলি মুখস্ত করা এবং প্রয়োগ জানা।
  • বইয়ের প্রত্যেক সূত্রভিত্তিক গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা।
  • একাধিক বার রিভিশন দেওয়া।
  • বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আসা ঐ টপিকভিত্তিক গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা। 
  • ৩৫তম থেকে ৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান করা।
  • যারা গণিতে নিজেকে একটু দুর্বল ভাবেন কিংবা যারা মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এসেছেন তারা ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত বইগুলো সকল অংকগুলো সমাধান করলে দুর্বলতা কেটে যাবে। 
  • গণিতের জন্য লিখিত পরীক্ষার সিলেবাসে দেওয়া টপিক অনুসারে প্রয়োজনীয় সূত্রাবলি আলাদা নোট করে নিন। এতে প্রয়োজনের সময় এগুলো হাতের কাছে পাবেন এবং খুঁজাখুঁজি করে সময় নষ্ট হবে না। 
  • বাজারের যেকোনো ভালোমানের গাইড বইয়েরও সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। এতে সিলেবাসের সকল টপিকগুলো একসাথে গুছানোভাবে পাবেন। 
  • ৩৫তম থেকে ৪৫তম পর্যন্ত বিসিএস লিখিত গণিত ও মানসিক দক্ষতার সকল প্রশ্ন অবশ্যই সমাধান করতে হবে। সেই সাথে যে নিয়মগুলো থেকে প্রশ্ন এসেছে, সেই নিয়মগুলোর আরো কিছু উদাহরণও অনুশীলন করে রাখবেন।
  • সর্বোপরি, গণিতে ভালো করতে হলে প্রচুর অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই। মোট কথা প্রচুর ও নিয়মিত অনুশীলন লাগবে। তাই প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় গণিতের অনুশীলনের জন্য রাখবেন। বার বার রিভিশন দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এক অংক ১ বার না করে ১০ বার করতে হবে। তাহলে আপনাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।
Install Live Written App Button

বিসিএস মানসিক দক্ষতা লিখিত প্রস্তুতি লিখিত প্রস্তুতি (BCS Mental Ability Written Preparation):

মানসিক দক্ষতা বিসিএস লিখিত পরীক্ষার একমাত্র অংশ যেখানে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার মতো নেগেটিভ মার্কিং রয়েছে। তাই এই অংশের পরীক্ষা অবশ্যই সতর্কতার সাথে দিতে হবে। নিশ্চিত না হয়ে উত্তর করবেন না, অর্থাৎ প্রিলিমিনারির কৌশল অবলম্বন করুন। এই অংশে ৪০ এর বেশি পাওয়া অবশ্যই অনেক ভালো একটি নম্বর। অনেক প্রার্থী এর চেয়ে বেশিও পেয়ে থাকেন। তবে একটু কম পেলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই।

মানসিক দক্ষতায় ভালো করার জন্য নিয়মিত অনুশীলনের বিকল্প নেই। মনে রাখবেন এই বিষয়ে সবচেয়ে কম পরিশ্রমে ৫০ নম্বরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নম্বর পাওয়া সম্ভব। তাই, মানসিক দক্ষতা অংশকে সহজ মনে করে গুরুত্ব না দেওয়ার প্রবণতা পরিহার করতে হবে এবং প্রতিদিন অনুশীলন করতে হবে।

বিসিএস মানসিক দক্ষতা লিখিত প্রস্তুতি
বিসিএস মানসিক দক্ষতা লিখিত প্রস্তুতির বিষয়সমূহ:
  1. Verbal Reasoning (ভাষাগত যৌক্তিক বিচার)
  2. Spelling and Language (বানান ও ভাষা)
  3. Problem Solving (সমস্যা সমাধান)
  4. Numerical Ability (সংখ্যাগত দক্ষতা)
  5. Space Relations (স্থানাঙ্ক সম্পর্ক)
  6. Abstract Reasoning (বিমূর্ত যুক্তি)
  7. Mechanical Reasoning (যান্ত্রিক দক্ষতা)
1. Verbal Reasoning (ভাষাগত যোক্তিক বিচার)
গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • ভাবার্থ অনুধাবন/সঠিক শব্দচয়ন;
  • এক কথায় প্রকাশ; বাগ্‌ধারা; সম্পর্কযুক্ত শব্দগুচ্ছ;
  • সাদৃশ্য/সামঞ্জস্য সম্পর্ক/আন্তঃসম্পর্ক;
  • বিচার ও বোধশক্তি অভীক্ষা, সম্পর্ক অনুধাবন;
  • অসামঞ্জস্য/বৈসাদৃশ্য/ভিন্নতা;
  • অবস্থা বিশ্লেষণ; কারণ বিশ্লেষণ; অসম্ভাব্যতা; আবশ্যক;
  • সাধারণ জ্ঞান, জানা/অজানা বিষয়সমূহ প্রভৃতি।
Verbal Reasoning (ভাষাগত যোক্তিক বিচার) – অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • ভাষাগত যৌক্তিক বিচার অংশে মূলত আপনার চিন্তা করা ক্ষমতা, জ্ঞানের গভীরতা যাচাই করা হবে।
  • এই অংশে সাধারণত কোন শব্দ, শব্দগুচ্ছ বা বাক্য কার্যকরভাবে ব্যবহারের দক্ষতা যাচাই করা হয়।
  • এছাড়া এ অংশে সাধারণ জ্ঞান থেকে প্রশ্ন আসতে পারে পাশাপাশি ইতিহাস, ভূগোল, সাহিত্য, বিজ্ঞান এবং সমসাময়িক বিষয়ায়বলি থেকেও প্রশ্ন আসতে পারে।
  • তাছাড়া সামাজিক এবং পরিস্থিতি বাস্তব জীবনের বিভিন্ন সমস্যা ও তা সমাধানের উপায় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হতে পারে।
2. Spelling and Language (বানান ও ভাষা)
গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • এলোমেলো বর্ণগুলো সাজিয়ে অর্থবোধক শব্দ গঠন;
  • শুদ্ধ বানান; ভুল শনাক্তকরণ;
  • সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ; পরিভাষা;
  • বিরাম চিহ্ন ও বড় হাতের অক্ষরের ব্যবহার প্রভৃতি।
Spelling and Language (বানান ও ভাষা) – অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • বানান ও ভাষা অংশে পরীক্ষার্থীর বানান ও ভাষাজ্ঞান যাচাই করা হবে।
  • বাক্যে ব্যাকরণগত ভুল, বিরাম চিহ্নের প্রয়োগ/অপ্রয়োগ, বানান ভুল প্রভৃতি খুঁজে বের করতে বলা হয়।
  • এছাড়া কতগুলো বর্ণ দিয়ে অর্থবোর্ধক শব্দ গঠন করতে বলা হতে পারে।
  • সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ সহ বাংলা ব্যাকরণের যেকোন বিষয় থেকে এখানে প্রশ্ন দিতে পারে।
3. Problem Solving (সমস্যা সমাধান)
গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • গাণিতিক সমস্যা সমাধান; জ্যামিতিক সমস্যার সমাধান;
  • অনুধাবন ক্ষমতা; বিশ্লেষণাত্মক যুক্তি;
  • বিন্যাসগত অভীক্ষা; সময় অনুক্রম অভীক্ষা প্রভৃতি।
Problem Solving (সমস্যা সমাধান) – অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • এই অংশে আপনার গাণিতিক সমস্যা, জ্যামিতিক সমস্যা ও অনুধাবন ক্ষমতা ব্যবহারের দক্ষতা যাচাই করা হয়।
  • এই অংশে সাধারণ গণিতের যেকোন অঙ্ক আসতে পারে। যেমন: ঘড়ি, দিনপুঞ্জি, কাজ-সময়, ট্রেন-নৌকা-গতি, সম্পর্ক অনুধাবন প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন আসতে পারে।
4. Numerical Ability (সংখ্যাগত দক্ষতা)
গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • গাণিতিক সমস্যার বিচার ক্ষমতা; সংখ্যার সিরিজ;
  • যৌক্তিক সংখ্যা; ব্যতিক্রম সংখ্যা;
  • সংখ্যাগত সাদৃশ্য/সামঞ্জস্য; সংখ্যা চিহ্নিতকরণ প্রভৃতি।
Numerical Ability (সংখ্যাগত দক্ষতা) – অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • এই অংশে পরীক্ষার্থীর সংখ্যাগত ক্ষমতা যাচাই করা হয়।
  • সংখ্যাগত হিসাব, ধারায় সংখ্যার অবস্থান, ধারা থেকে বিলুপ্ত সংখ্যা খোঁজা, সংখ্যা চিহ্নিতকরণ প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন আসতে পারে।
  • এছাড়া চিত্রে যৌক্তিক সংখ্যা কোনটি হবে, জ্যামিতিক চিত্রে সংখ্যা ব্যবহারের দক্ষতা প্রভৃতি সক্ষমতা দেখা হয়।
5. Space Relations (স্থানাঙ্ক সম্পর্ক)
গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • লুকায়িত চিত্র অনুসন্ধান;
  • দিক নির্ণয়; দূরত্ব নিরূপণ;
  • আকার গঠন; বিন্যাস এবং পুনর্বিন্যাস;
  • বর্ণানুক্রমিক ধারা; বর্ণ মিলকরণ প্রভৃতি।
Space Relations (স্থানাঙ্ক সম্পর্ক) – অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • একটি চিত্র হতে লুকায়িত চিত্র খুঁজে বের করতে বলা হতে পারে।
  • এ অংশে কোডিং-ডিকোডিং, দিক এবং দূরত্ব নির্ণয় করতে বলা হয়।
  • পরীক্ষার্থীর বহুমাত্রিক অবস্থান নির্ণয়ের দক্ষতা যাচাই করা হয়।
6. Abstract Reasoning (বিমূর্ত যুক্তি)
গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • বিন্যাস পূর্ণকরণ; বাহ্যিক সম্পর্ক অনুধাবন;
  • বৈসাদৃশ্য/অসামপ্তস্য/ভিন্নতা; চিত্রগত সাদৃশ্য/সামঞ্জস্য/আন্তঃসম্পর্ক;
  • চিত্র পূর্ণকরণ; লুকায়িত চিত্র নিরূপণ/অনুসন্ধান; চিত্র আবর্তন;
  • সরল ও জটিল যান্ত্রিক প্রতিফলন;
  • আয়নায় প্রতিবিম্ব; পানিতে প্রতিবিম্ব প্রভৃতি।
Abstract Reasoning (বিমূর্ত যুক্তি) – অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • এই অংশে আয়নায় ও পানিতে প্রতিবিম্ব নিরূপণ করতে দেওয়া হয়। বাংলা ও ইংরেজি বর্ণ এবং সংখ্যার আয়নায় ও পানিতে প্রতিবিম্বরূপ মুখস্ত রাখতে হবে।
  • একটি অসম্পূর্ণ চিত্র সম্পূর্ণ করতে বলা হতে পারে।
  • চিত্র থেকে ত্রিভুজ ও চতুর্ভুজ গণনা করার প্রক্রিয়া জানতে হবে।
  • কাগজের ভাঁজ সম্পর্কিত সমস্যাগুলো সমাধান করার নিয়ম জানতে হবে।
  • বিভিন্ন ধরনের চিত্র বা ডায়াগ্রাম হতে ব্যতিক্রমী চিত্র বা ডায়াগ্রামটি খুঁজে বের করতে হয়।
7. Mechanical Reasoning (যান্ত্রিক দক্ষতা)
গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:

সরল ও জটিল যন্ত্রের ব্যবহার;

সরল ও জটিল যন্ত্র সম্পর্কিত প্রাথমিক জ্ঞান এবং তাদের কার্যক্রম;

লিভার, গিয়ার, স্প্রিং, কপিকল সংক্রান্ত সমস্যা;

অন্যান্য যন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যা;

যান্ত্রিক উপকরণগত সাদৃশ্য প্রভৃতি।

Mechanical Reasoning (যান্ত্রিক দক্ষতা) – অংশে ভালো করার জন্য বিশেষ পরামর্শ:
  • এই অংশে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের সরল ও জটিল যন্ত্রাংশ ও প্রাত্যহিক জীবনের ব্যবহার সংক্রান্ত প্রশ্ন আসে।
  • তাছাড়া লিভারের ভারসাম্য, কপিকল, স্প্রিং, গিয়ারের ঘূর্ণন দিক নির্ণয় সংক্রান্ত প্রশ্ন আসতে পারে।
বিসিএস লিখিত প্রস্তুতির মানসিক দক্ষতা অধ্যয়নের উৎস:
  • বিগত বিসিএস লিখিত ও প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আসা মানসিক দক্ষতার সব প্রশ্ন একসাথে সংগ্রহ করে সমাধান করে ফেলতে হবে। একই টপিকের অন্যান্য প্রশ্নগুলোর উপরও গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
  • মানসিক দক্ষতার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট যেমন – Examveda, Indiabix ইত্যাদি থেকে বিসিএস সিলেবাসের টপিকগুলোর উপর প্রস্তুতি নিন।
  • The Aptitude Test Workbook by Jim Barrett বইটি থেকে সিলেবাস মিলিয়ে পড়তে পারেন। (ইন্টারনেটে পিডিএফ পাবেন)।
  • Mechanical Aptitude Test by Paul Newton বইটি থেকে সিলেবাস মিলিয়ে পড়তে পারেন। (ইন্টারনেটে পিডিএফ পাবেন)।
  • সর্বশেষ সংস্করণের যেকোনো ভালোমানের গাইডবই।
Install Live Written App Button

বিসিএস সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি লিখিত প্রস্তুতি (BCS General Science and Technology Written Preparation:

সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মোট ১০০ নম্বর ৩টি অংশে বিভক্ত। সেগুলো হলো-
১। সাধারণ বিজ্ঞান (৬০ নম্বর),
২। কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি (২৫ নম্বর) এবং
৩। ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক প্রযুক্তি (১৫ নম্বর)।

বিসিএস সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি লিখিত প্রস্তুতি

(ক) সাধারণ বিজ্ঞান – General Science

সাধারণ বিজ্ঞান অংশে সাধারণত ৮টি প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। প্রতিটি প্রশ্নের মান ৭.৫ করে মোট ৬০ নম্বর। আবার প্রতিটি প্রশ্নের ক/খ/গ/ঘ আকারে সাব-প্রশ্ন থাকে। এই অংশে ছোট বড় মিলিয়ে ২৫টির আশেপাশে প্রশ্ন আসতে পারে।

সাধারণ বিজ্ঞান এর অধ্যায়সমূহ:
  1. আলো (Light)
  2. শব্দ (Sound)
  3. চুম্বকত্ব (Magnetism)
  4. অম্ল, ক্ষার ও লবণ (Acid, Base and Salt)
  5. পানি (Water)
  6. আমাদের সম্পদ (Our Resources)
  7. পলিমার (Polymer)
  8. বায়ুমণ্ডল (Atmosphere)
  9. খাদ্য ও পুষ্টি (Food and Nutrition)
  10. বায়োটেকনোলজি (Biotechnology)
  11. রোগ ও স্বাস্থ্যসেবা (Disease and Healthcare)
1. আলো (Light)
গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • আলোর প্রকৃতি, বর্ণালি; বিভিন্ন রং ও তরঙ্গ দৈর্ঘ্য;
  • অতিবেগুনি রশ্মি, অবলোহিত রশ্মি ও লেজার;
  • আলোর প্রতিফলন, আলোর প্রতিসরণ, আলোর বিচ্চুরণ;
  • লেন্স, আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন;
  • আলোর কণাতত্ত্ব, আইনস্টাইনের ফটোতড়িৎ সমীকরণ, আলোক কোষ প্রভৃতি।
অধ্যয়নের উৎস ও বিশেষ পরামর্শ:
  • নবম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞানের ৮ম ও ৯ম অধ্যায় (২০১৯ সংস্করণ), উচ্চ মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান (ড. শাজাহান তপন) ২য় পত্রের আলোর প্রতিফলন, প্রতিসরণ, তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ, ইলেকট্রন ও ফোটন অধ্যায় পড়তে পারেন।
  • নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান বই থেকে আলো ও বিভিন্ন রশ্মি সংক্রান্ত টপিক দেখতে পারেন৷
2. শব্দ (Sound)
গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • শ্রবণ কৌশল, ডেসিবেল, কম্পাঙ্ক;
  • বিভিন্ন ধরনে শ্রবণ যন্ত্র (টেপ রেকর্ডার, লাউড স্পিকার, মাইক্রোফোন);
  • জনসমাগমে শব্দ ব্যবস্থা (শব্দ দূষণ কারণ, প্রভাব, প্রতিকার প্রভৃতি);
  • শব্দ স্বরের বৈশিষ্ট্য;
  • টানা তারে স্থির তরঙ্গ সৃষ্টি; আড় কম্পনের সূত্রাবলি;
  • স্বরকম্প, ডপলার ক্রিয়া, ডপলার ক্রিয়ার প্রয়োগ ও সীমাবদ্ধতা;
  • প্রতিধ্বনি, বাদুরের চলাচল;
  • শব্দ তরঙ্গের শোষণ, অনুরণন, শ্রবণযোগ্যতা করণের মূলনীতি, সাবাইনের সূত্র প্রভৃতি।
বিশেষ পরামর্শ ও অধ্যয়নের উৎস:
  • নবম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞানের ৭ম অধ্যায় ও উচ্চ মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্রের তরঙ্গ ও শব্দ, শব্দ ও শব্দের গতিবেগ অধ্যায় পড়তে পারেন।
  • শব্দ টপিক থেকে সাধারণত সহজ বিষয় নিয়েই প্রশ্ন হয়। এজন্য অষ্টম শ্রেণি ও মাধ্যমিক সাধারণ বিজ্ঞান বই দেখতে পারেন।
  • বিস্তারিতভাবে পড়ার জন্য মাধ্যমিক পদার্থ বিজ্ঞান বই থেকে টপিকটি দেখতে পারেন।
3.Magnetism (চুম্বকত্ব)
গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • চুম্বক ও চুম্বকত্ব, চৌম্বক ও অচৌম্বক পদার্থ;
  • চৌম্বকের পোলারিটি এবং বিদ্যুতের সাথে সম্পর্ক;
  • দন্ড চুম্বক, চৌম্বক বলরেখা, চৌম্বকক্ষেত্রে দন্ড চুম্বকের টর্ক, দন্ড চুম্বক হিসেবে পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র;
  • তড়িৎ চুম্বক, বার ম্যাগনেট, ট্যানজেন্ট গ্যালভানোমিটার, কম্পন ম্যাগনেটোমিটার;
  • ডায়া, প্যারা, ফেরোম্যাগনেটিক পদার্থ;
  • তড়িৎ চুম্বক ও স্থায়ী চুম্বক প্রভৃতি।
বিশেষ পরামর্শ ও অধ্যয়নের উৎস:
  • উচ্চ মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্রের চৌম্বক ও ভূ চুম্বকত্ব, তড়িৎপ্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া পড়তে পারেন।
  • এই অধ্যায় একটু বুঝে পড়তে হবে, ভালো ধারণা পাওয়ার জন্য ড. শাজাহান তপন স্যারের পদার্থ বিজ্ঞান বই (উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি) এর ৪র্থ ও ৫ম অধ্যায় এ খুব ভালো দেওয়া আছে।
  • এছাড়াও মাধ্যমিক পদার্থ বিজ্ঞান বইতেও প্রাথমিক ধারণা পাবেন।
4. অম্ল, ক্ষার ও লবণ (Acid, Base and Salt)
গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • অম্ল-ক্ষারকের ধারণা, বিভিন্ন মতবাদ;
  • অম্ল-ক্ষারের বৈশিষ্ট্য, ধর্ম, ব্যবহার, অম্ল-ক্ষার নির্দেশক;
  • দৈনন্দিন জীবনে অম্ল-ক্ষারের ব্যবহার ও সাবধানতা, এসিড বৃষ্টি;
  • এসিডের অপব্যবহারের সামাজিক প্রভাব;
  • পাকস্থলিতে অম্লত্বের কারণ এবং সঠিক খাদ্য নির্বাচন;
  • pH, pH পরিমাপ ও গুরুত্ব, কৃষি জমিতে pH এর গুরত্ব;
  • লবণের বৈশিষ্ট্য, ধর্ম, ব্যবহার;
  • দৈনন্দিন জীবনে লবণের ব্যবহার, প্রয়োজনীয়তা; কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে লবণের ব্যবহার প্রভৃতি।
বিশেষ পরামর্শ ও অধ্যয়নের উৎস:
  • এই অধ্যায়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে মূল পরীক্ষায় সবসময়ই প্রশ্ন আসে। তাই এ অধ্যায়ের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
  • বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী হলে তাদের জন্য তেমন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়; তবে অন্যান্য বিভাগ থেকে আসা সবার জন্য কিছুটা সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে সকলের জন্য সাজেশন হলো – অম্ল ও ক্ষার ও লবণের সংজ্ঞা, প্রোটনীয় ও আরহেনিয়াসের মত অনুযায়ী, এগুলোর বৈশিষ্ট্য এবং শনাক্ত করার জন্য টাইট্রেশন এ নির্দেশকের ব্যবহার উদাহরণসহ পড়তে হবে। এছাড়া আমরা খাবার এর সাথে যে এসিড গ্রহণ করি তার উৎসসহ নাম জানতে হবে।
  • অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বই এর দশম অধ্যায় (২০১৯ সংস্করণ), নবম শ্রেণির রসায়ন বিষয়ের ৯ম অধ্যায় (২০১৯ সংস্করণ), নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের ৭ম অধ্যায় (২০১৯ সংস্করণ), উচ্চমাধ্যমিক রসায়ন ১ম পত্র ৪র্থ অধ্যায় (ও নাগ), উচ্চমাধ্যমিক রসায়ন ২য় পত্র পরিবেশ রসায়ন এর এসিড বৃষ্টি অংশ (হাজারী ও নাগ) পড়তে পারেন।
  • মাধ্যমিক শ্রেণির রসায়ন বইয়ের নবম অধ্যায় ‘এসিড-ক্ষার সমতা’ ও দ্বাদশ অধ্যায় ‘আমাদের জীবনে রসায়ন’ ভালো করে টপিক অনুযায়ী দেখে নিবেন।
5. পানি (Water)
গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • পানির ধর্ম, পানির গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক, পানির তড়িৎ পরিবাহিতা; পানির গঠন, হাইড্রোজেন বন্ধন;
  • পানির উৎস, বাংলাদেশে মিঠা পানির উৎস;
  • পানির মানদন্ড (বর্ণ, স্বাদ, ঘোলা হওয়া, তেজস্ক্রিয় পদার্থের উপস্থিতি, ময়লা-আবর্জনার উপস্থিতি, দ্রবীভূত অক্সিজেন, BOD, COD, TDS, DO, তাপমাত্রা, pH এবং লবণাক্ততা);
  • পানির রিসাইক্লিং, পরিবেশ সংরক্ষণে পানির ভূমিকা, মানসম্মত পানির প্রয়োজনীয়তা;
  • পানির বিশুদ্ধকরণ (পরিস্রাবণ, ক্লোরিনেশন, স্ফুটন ও পাতন প্রভৃতি);
  • পানি দূষণ, দূষণের কারণ, প্রভাব, দূষণ প্রতিরোধ ও কৌশল, জনসচেতনতা প্রভৃতি;
  • মিঠা পানিতে বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব, পানির উৎস সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রভৃতি।
বিশেষ পরামর্শ ও অধ্যয়নের উৎস:
  • ৩৫তম বিসিএস থেকে ৪০তম বিসিএস ছাড়া সব বিসিএসেই এ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন এসেছে। তাই বলা যায়, এই অধ্যায়টি মোটামুটি গুরত্বপূর্ণ।
  • সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের ছাড়া অন্যরাও এ অধ্যায়ে ভালো করা করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তাই যারা সায়েন্সকে ভয় পান তারা এই অধ্যায়টি জোর দিয়ে পড়তে পারেন।
  • নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের ২য় অধ্যায় (২০১৭ সংস্করণ) পড়তে পারেন।
  • ৯ম -১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান বইতে পানি নামক অধ্যায় আছে, তাছাড়া ৯ম শ্রেণীর রসায়ন বই থেকে BOD, COD, TDS, DO ইত্যাদি টপিক দেখতে পারেন।
6. আমাদের সম্পদ (Our Resources)
গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • মাটি, মাটির প্রকারভেদ, মাটির গঠন, মাটির বৈশিষ্ট্য, মাটির pH;
  • বাংলাদের বিভিন্ন অঞ্চলের মাটি ও মাটি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিদ্যা, মাটি ক্ষার ও অম্ল হওয়ার কারন, বাফারিং;
  • মাটি দূষণের কারণ, প্রভাব, প্রতিরোধ;
  • প্রাকৃতিক গ্যাস ও এর প্রধান উপাদান; প্রাকৃতিক গ্যাস, পেট্রোলিয়াম ও কয়লার উৎস, প্রক্রিয়াকরণ ও ব্যবহার।
  • বনপালনবিদ্যা, আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা ও সংরক্ষণ প্রভৃতি।
বিশেষ পরামর্শ ও অধ্যয়নের উৎস:
  • নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের ৮ম অধ্যায় (২০১৭ সংস্করণ), নবম শ্রেণির রসায়ন বিষয়ের ৮ম অধ্যায় (২০১৭ সংস্করণ) পড়তে পারেন।
  • নবম – দশম শ্রেণির রসায়ন বইয়ের একাদশ অধ্যায় ‘খনিজ সম্পদ – জীবাশ্ম’ অংশে পড়বেন। এছাড়াও বায়োগ্যাস, সৌরশক্তি ও সুন্দরবন ও এর সম্পদ সংরক্ষণ ভালো করে পড়তে হবে। বোর্ড বইয়ের পাশাপাশি যেকোনো ভালো গাইড বই থেকেও দেখতে পারেন।
7. Polymer (পলিমার)
গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম পলিমার; পলিথিন, টেফলন, পিভিসি ইত্যাদি সংশ্লেষণ, ব্যবহার ও পরিবেশের উপর তাদের ভূমিকা, এদের ব্যবহার ও উৎস, প্রস্তুতকরণ; পলিমারকরণ পদ্ধতি;
  • তন্তু, সিল্ক, পশম, নাইলন, ও রেয়নের প্রস্তুতপ্রণালি, বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার;
  • রাবার ও প্লাস্টিকের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম; এদের ব্যবহার;
  • পরবিবেশ ভারসাম্যহীনতা রাবার ও প্লাস্টিকের ভূমিকা; রাবার ও প্লাস্টিক ব্যবহারে সাবধানতা প্রভৃতি।
বিশেষ পরামর্শ ও অধ্যয়নের উৎস:
  • নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের ৬ষ্ঠ অধ্যায় (২০১৭ সংস্করণ), উচ্চমাধ্যমিক রসায়ন ২য় পত্র এর ২.১৮ ও ২.১৯ এর পলিমার ও প্লাস্টিসিটি অংশ পড়তে পারেন। (২০১৮ সংস্করণ, হাজারী ও নাগ)।
  • তাছাড়া মাধ্যমিক শ্রেণির রসায়ন বইয়ের “আমাদের সম্পদ” অধ্যায়ে পলিমারকরণ নামক টপিক দেখতে পারেন।
8. Atmosphere (বায়ুমন্ডল)
গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • জীবমন্ডল, আয়োনোস্ফিয়ার ও বারিমন্ডল; বায়ু, বায়ুর উপাদান, আবহাওয়া ও জলবায়ু;
  • অক্সিজেন, কার্বন-ডাই- অক্সাইড ও নাইট্রোজেনের ভূমিকা; গ্রিন হাউজ গ্যাস, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, ওজোন ও ওজোনস্তর; নাইট্রোজেন চক্র;
  • পানযোগ্য ও দূষিত পানি, পাস্তুরাইজেশন প্রভৃতি।
বিশেষ পরামর্শ ও অধ্যয়নের উৎস:
  • এই অধ্যায় অনেক ছোট; কিন্তু এখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আসে।
  • এখানে বায়ুমন্ডল কী, তার উপাদান – বিশেষ করে ট্রপোমণ্ডল ও স্ট্রাটোমণ্ডল – এই দুই উপাদানের মধ্যে বায়ুর অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড ও ওজন ইত্যাদি সম্পর্কিত প্রশ্ন থাকে। তাই, এই টপিকগুলো ভালো করে পড়তে হবে।
  • কার্বন ডাই অক্সাইড এর জন্য কীভাবে গ্রিন হাউস ইফেক্ট হচ্ছে এবং ওজন স্তর কীভাবে ক্ষয় হচ্ছে, এর প্রভাব ও প্রতিরোধ ইত্যাদি যত্ন নিয়ে ভালো করে পড়তে হবে।
  • এছাড়াও বায়ুমন্ডল-এর নাইট্রোজেন থেকে কীভাবে নাইট্রিক এসিড তৈরি হয়, এর প্রভাব – এই টপিকগুলোও ভালো ভাবে পড়তে হবে। এই টপিকগুলো নবম দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান বই থেকে পাবেন এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির রসায়ন বইয়ের পরিবেশ রসায়ন অধ্যায় থেকেও পড়তে পারেন। এছাড়া বায়ুমন্ডল এর অনেক বিষয় বিস্তারিতভাবে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান অধ্যায়ে পাওয়া যাবে।
  • উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বইটিও দেখতে পারেন।
9. খাদ্য ও পুষ্টি (Food and Nutrition)
গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • খাদ্যের বিভিন্ন উপাদান; প্রোটিন; স্নেহ ও লিপিড; শর্করা; ভিটামিন; শর্করা ও প্রোটিনের প্রকারভেদ ও উৎস; রাফেজ;
  • পুষ্টি মান; সুষম খাদ্য উপাদান তালিকা; সুষম খাদ্যের পিরামিড; বডি মাস ইনডেক্স (BMI), জাঙ্ক ফুড;
  • খাদ্য সংরক্ষণ, খাদ্য সংরক্ষণের বিভিন্ন পদ্ধতি; খাদ্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদানের ব্যবহার ও এর শারীরিক প্রতিক্রিয়া প্রভৃতি।
বিশেষ পরামর্শ ও অধ্যয়নের উৎস:
  • অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের ত্রয়োদশ অধ্যায় (২০১৭ সংস্করণ), নবম শ্রেণির জীববিজ্ঞান বিষয়ের পঞ্চম অধ্যায় পড়তে পারেন (২০১৭ সংস্করণ) পড়তে পারেন।
  • অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের ত্রয়োদশ অধ্যায় (২০১৯ সংস্করণ), নবম শ্রেণির জীববিজ্ঞান বিষয়ের পঞ্চম অধ্যায় পড়তে পারেন (২০১৯ সংস্করণ) পড়তে পারেন।
  • উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বইগুলো অনেক তথ্যবহুল। একই শ্রেণির উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বইগুলোও দেখতে পারেন।
  • এ টপিকগুলোতে যতটা সম্ভব উদাহরণ দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজন হলে চিত্র ব্যবহার করতে হবে। খাদ্য ও পুষ্টি অংশটুকু নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বই থেকে শিখতে পারেন। ভিটামিন বা আমিষের অভাবে কী কী রোগ হয়, কোন খাদ্যে কোন উপাদানের পরিমাণ কতটুকু, দৈনিক কী পরিমাণ ফল খাওয়া উচিত—প্রয়োজন অনুসারে এসব তথ্য উপস্থাপন করতে হবে।
10. বায়োটেকনোলজি (Biotechnology)
গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • ক্রোমোসোম; তার আকার, গঠন, প্রকারভেদ এবং রাসায়নিক গঠন;
  • নিউক্লিয়িক এসিড, ডিএনএ, আরএনএ, প্রোটিন, জিন;
  • ডিএনএ টেস্ট, ফরেনসিক টেস্ট;
  • মানুষের জেনেটিক বিশৃঙ্খলা, জীবপ্রযুক্তি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং;
  • ক্লোনিং ও ক্লোনিংয়ের সামাজিক প্রভাব; ট্রান্সজেনিক উদ্ভিদ ও প্রাণি;
  • কৃষি, দুগ্ধজাত দ্রব্য উৎপাদন ও ঔষধ শিল্পে জীব প্রযুক্তির ব্যবহার;
  • জিন থেরাপি, জেনেটিক্যালি মোডিফাইড অর্গানিসম;
  • ন্যানোটেকনোলজি, ফার্মাকোলজি, ফার্মাকোকাইনেটিক্স প্রভৃতি।
বিশেষ পরামর্শ ও অধ্যয়নের উৎস:
  • অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের ২য় অধ্যায় (২০১৭ সংস্করণ),নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের একাদশ অধ্যায় (২০১৭ সংস্করণ) পড়তে পারেন।
  • নবম শ্রেণির জীববিজ্ঞান (২০১৭ সংস্করণ) বিষয়ের দ্বাদশ ও চতুর্দশ অধ্যায় পড়তে পারেন।
  • এছাড়াও একাদশ শ্রেণির জীববিজ্ঞান প্রথম পত্রের আবুল হাসান স্যারের বই এর সর্বশেষ সংস্করণের একাদশ অধ্যায় ও জীববিজ্ঞান প্রথম পত্রের আজমল স্যারের সর্বশেষ সংস্করণের একাদশ অধ্যায় জিনতত্ত্ব ও বিবর্তন পড়তে পারেন।
  • বায়োটেকনোলজি অংশটা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের বিজ্ঞান বই মিলিয়ে পড়লে ডিটেইল পাবেন। এর মধ্যে বেশির ভাগ টপিকই বংশগতি বিজ্ঞান নিয়ে। DNA, RNA বা ক্রমোজম বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে চিত্র ও রাসায়নিক সংকেতসহ দিতে হবে। উত্তরের শুরুর অংশে DNA-এর আবিষ্কারক, কত সালে আবিষ্কার করা হয়, এ ধরনের তথ্যভিত্তিক জিনিস দিয়ে শুরু করবেন। DNA, RNA, ভাইরাসগুলোর নাম, কোন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার কারণে কোন রোগ হয়—এগুলো উদাহরণসহ দিতে হবে। কোন কোন কাজে ন্যানোটেকনোলজির ব্যবহার রয়েছে—এগুলো পয়েন্ট আকারে দিতে হবে।
11. Disease and Healthcare (রোগ ও স্বাস্থ্যসেবা)
গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • সংক্রমণ, এন্টিবায়োটিক;
  • স্ট্রোক, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ডেংগু ,ডায়রিয়া;
  • মাদকাসক্তি, ভ্যাকসিনেশন, ফুড পয়েজনিং;
  • কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, সিটিস্ক্যান, এম আর আই;
  • এইডস, ক্যান্সার প্রভৃতি।
বিশেষ পরামর্শ ও অধ্যয়নের উৎস:
  • নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের তৃতীয় ও চতুর্দশ অধ্যায় পড়তে পারেন (২০১৭ সংস্করণ এনসিটিবি ওয়েবসাইটে পাবেন)।
  • এছাড়াও নবম শ্রেণির জীববিজ্ঞান বই এরব ষষ্ঠ অধ্যায় এর ৬.৪.৪ থেকে ৬.৫ অংশ পড়তে পারেন।
Install Live Written App Button

(খ) Computer and Information Technology (কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি)

এই অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  1. Computer Technology (কম্পিউটার প্রযুক্তি)
  2. Information Technology (তথ্য প্রযুক্তি)
1. Computer Technology (কম্পিউটার প্রযুক্তি)
গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • ডাটা ও ডাটা কমিউনিকেশন, তথ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ ও বন্টন;
  • ডাটাবেজ সফটওয়্যার ও কাঠামো, ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম;
  • মাল্টিমিডিয়া সিস্টেম, হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার;
  • LAN, MAN, WAN, GPS, টপোলজি, নেটওয়ার্কিং ডিভাইস (রাউটার, সুইচ, হাব প্রভৃতি);
  • প্রোটোকল, ইন্ট্রানেট, এক্সট্রানেট, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার;
  • WWW, ওয়েব প্রযুক্তি, জনপ্রিয় ওয়েবসাইটসমূহ;
  • ক্লাউড কম্পিউটিং, ইমেইল, ডাটাবেজ, সাইবার নিরাপত্তা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম;
  • ট্রান্সমিশন মিডিয়া, ব্যান্ডউইথ, অপটিক্যাল ফাইবার, ওয়াইফাই;
  • টেলিকমিউনিকেশন এবং স্যাটেলাইট যোগাযোগ, ভিস্যাট; ই-কমার্স;
  • সাম্প্রতিক আলোচিত তথ্য প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ প্রভৃতি।
বিশেষ পরামর্শ ও অধ্যয়নের উৎস:
  • একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির মাহবুবুর রহমান স্যারের বই এর ১ম, ২য় ও ৬ষ্ঠ অধ্যায় পড়তে পারেন।
  • ডাটা কমিউনিকেশন, ডাটাবেজ সফটওয়্যার, LAN, MAN, WAN নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তি বইতে সুন্দর করে লেখা আছে। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডারের দায়িত্ব, ফেসবুক-টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, ব্লগের মতো টপিকগুলো মজা নিয়ে শিখবেন। এর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য চার্ট করে ফেলবেন। তাহলে মনে রাখতে সুবিধা হবে।
  • তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে মৌলিক ধারণার পাশাপাশি কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক যেমন – ডাটাবেজ কী, এর ব্যবহার বা ক্ষেত্র, সুবিধা ও অসুবিধা ইত্যাদি ভালো করে পড়তে হবে। নেটওয়ার্ক এর মধ্যে LAN, MAN ও WAN এবং টপোলজি সম্পর্কে বিস্তারিত পড়া জরুরি। টপোলজি চিত্র দিয়ে ব্যাখ্যা করা জরুরি। নেটওয়ার্কিং এর বিভিন্ন হার্ডওয়্যার যন্ত্র যেমন- রাউটার, সুইচ, হাব ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত (সংজ্ঞা, চিত্র, ব্যবহার, তুলনামূলক সুবিধা, অসুবিধা) ইত্যাদি পড়তে হবে।
  • ইন্টারনেট অংশে ইন্ট্রানেট ও এক্সট্রানেট এর মৌলিক বিষয়, IPS and IP address ইত্যাদি, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ই-কমার্স এর সুবিধা ও গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্ভাবনা ভালো করে পড়তে হবে। মোবাইল ফোন বলতে স্মার্ট ফোন (অ্যান্ড্রয়েড, আইফোন), জিপিএস, স্মার্ট ওয়াচ ইত্যাদি ভালো করে পড়ে ফেলতে হবে।
2. Information Technology (তথ্য প্রযুক্তি)
গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • ডাটা ও ডাটা কমিউনিকেশন, তথ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ ও বন্টন;
  • ডাটাবেজ সফটওয়্যার ও কাঠামো, ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম;
  • মাল্টিমিডিয়া সিস্টেম, হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার;
  • LAN, MAN, WAN, GPS, টপোলজি, নেটওয়ার্কিং ডিভাইস (রাউটার, সুইচ, হাব প্রভৃতি);
  • প্রোটোকল, ইন্ট্রানেট, এক্সট্রানেট, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার;
  • WWW, ওয়েব প্রযুক্তি, জনপ্রিয় ওয়েবসাইটসমূহ;
  • ক্লাউড কম্পিউটিং, ইমেইল, ডাটাবেজ, সাইবার নিরাপত্তা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম;
  • ট্রান্সমিশন মিডিয়া, ব্যান্ডউইথ, অপটিক্যাল ফাইবার, ওয়াইফাই;
  • টেলিকমিউনিকেশন এবং স্যাটেলাইট যোগাযোগ, ভিস্যাট; ই-কমার্স;
  • সাম্প্রতিক আলোচিত তথ্য প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ প্রভৃতি।
বিশেষ পরামর্শ ও অধ্যয়নের উৎস:
  • একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির মাহবুবুর রহমান স্যারের বই এর ১ম, ২য় ও ৬ষ্ঠ অধ্যায় পড়তে পারেন।
  • ডাটা কমিউনিকেশন, ডাটাবেজ সফটওয়্যার, LAN, MAN, WAN নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তি বইতে সুন্দর করে লেখা আছে। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডারের দায়িত্ব, ফেসবুক-টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, ব্লগের মতো টপিকগুলো মজা নিয়ে শিখবেন। এর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য চার্ট করে ফেলবেন। তাহলে মনে রাখতে সুবিধা হবে।
  • তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে মৌলিক ধারণার পাশাপাশি কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক যেমন – ডাটাবেজ কী, এর ব্যবহার বা ক্ষেত্র, সুবিধা ও অসুবিধা ইত্যাদি ভালো করে পড়তে হবে। নেটওয়ার্ক এর মধ্যে LAN, MAN ও WAN এবং টপোলজি সম্পর্কে বিস্তারিত পড়া জরুরি। টপোলজি চিত্র দিয়ে ব্যাখ্যা করা জরুরি। নেটওয়ার্কিং এর বিভিন্ন হার্ডওয়্যার যন্ত্র যেমন- রাউটার, সুইচ, হাব ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত (সংজ্ঞা, চিত্র, ব্যবহার, তুলনামূলক সুবিধা, অসুবিধা) ইত্যাদি পড়তে হবে।
  • ইন্টারনেট অংশে ইন্ট্রানেট ও এক্সট্রানেট এর মৌলিক বিষয়, IPS and IP address ইত্যাদি, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ই-কমার্স এর সুবিধা ও গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্ভাবনা ভালো করে পড়তে হবে। মোবাইল ফোন বলতে স্মার্ট ফোন (অ্যান্ড্রয়েড, আইফোন), জিপিএস, স্মার্ট ওয়াচ ইত্যাদি ভালো করে পড়ে ফেলতে হবে।
Install Live Written App Button

(গ) Electrical and Electronic Technology ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক প্রযুক্তি

এই অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  1. Electrical Technology (ইলেকট্রিক্যাল প্রযুক্তি)
  2. Electronics Technology (ইলেকট্রনিকস প্রযুক্তি)
1. Electrical Technology (ইলেকট্রিক্যাল প্রযুক্তি)
গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • বৈদ্যুতিক উপাদানসমূহ, বিভব, তড়িৎ প্রবাহ, ওহমের সূত্র;
  • বৈদ্যুতিক ক্ষমতা ও শক্তি, কার্শফের ভোল্টেজ সূত্র, কার্শফের কারেন্টের সূত্র;
  • খোলা ও বন্ধ বর্তনী, সার্কিট ব্রেকার, GFCI এবং ফিউজ;
  • বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিসমূহ, ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার, আইপিএস এবং ইউপিএস;
  • এসি ও ডিসি ভোল্টেজের উৎপাদন; তাপীয়, পানিবাহী ও নিউক্লিয় পাওয়ার জেনারেটর;
  • বৈদ্যুতিক চুম্বক ও চৌম্বক ক্ষেত্র, তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশ;
  • বৈদ্যুতিক মোট ও তাদের ব্যবহার, ট্রান্সফর্মার, এসি তড়িৎ উৎপাদন এবং সরবরাহ প্রভৃতি।
2. Electronics Technology (ইলেকট্রনিকস প্রযুক্তি)
গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:
  • অ্যানালগ ও ডিজিটাল সংকেত, অ্যানালগ ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতিসমূহ, অ্যামপ্লিফায়ার ও অসিলেটর;
  • রোধ, রোধকের প্রকারভেদ, পরিবাহিতা, ওহমমিটার;
  • ধারক, ধারকত্ব, আবেশক, আবেশতা; ওয়েবফর্ম, ফেজর;
  • ডিজিটাল ডিভাইস ও বর্তনী, কাউন্টার ও ডিজিটাল ডিসপ্লে ডিভাইস;
বিশেষ পরামর্শ ও অধ্যয়নের উৎস:
  • ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক প্রযুক্তি অংশে অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের ৯ম অধ্যায় (২০১৭ সংস্করণ এনসিটিবি ওয়েবসাইটে পাবেন), নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের দ্বাদশ অধ্যায় পড়তে পারেন (২০১৭ সংস্করণ এনসিটিবি ওয়েবসাইটে পাবেন)।
  • নবম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান এর ১০ম, ১১তম, ১২তম, ১৩তম অধ্যায় পড়তে পারেন (২০১৭ সংস্করণ এনসিটিবি ওয়েবসাইটে পাবেন)।
  • এছাড়াও একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির শাহজাহান তপন স্যারের পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্রের ২০১৫ সংস্করণের ২য়, ৩য়, ৪র্থ, ৫ম ও ১০ম অধ্যায় পড়তে পারেন।
  • আগের বছরের প্রশ্ন পড়ার পর এখনো বিসিএস এ যে টপিকসগুলো বিসিএস এ এখনো আসেনি বা কম এসেছে সেগুলোর ব্যাসিকগুলো জেনে নিতে হবে (যেমন- জিএফসিআই, পোলার ফর্ম, জটিল সংখ্যা, মডুলাস ও আর্গুমেন্ট ইত্যাদি)।
  • ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক প্রযুক্তি অংশে প্রয়োজনে চিত্র ও সূত্রের সমীকরণ দিতে হবে।
  • বিশেষত ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি বিভাগ থেকে আগের বছরের প্রশ্নই ঘুরে ফিরে আসে। তাই বিগত বিসিএসে আসা সকল প্রশ্ন পড়ে ফেলবেন।
Install Live Written App Button